আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চার লেন হচ্ছে নওগাঁর প্রধান সড়ক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মার্চ 2০২1 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ মার্চ 2০২1 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
বহুবছর ও বহু কাটখড় পোড়ানোর পর নওগাঁর মানুষের দীর্ঘদিনের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান সড়কটি দুই লেন করা হলেও তা মূল শহরের কিছু ব্যক্তি মালিকানার স্থাপনার কারণে দুই লেনের জন্য যে জায়গার প্রয়োজন তাও করা সম্ভব হয়নি

তিলোত্তমা শহর নওগাঁ, ছোট যমুনা নদী বিভক্ত করেছে এই নওগাঁ শহরকে। মূলত ছোট যমুনা নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে তিলোত্তমা এই শহর। আর শহরে চলাচলের জন্য একটি প্রধান সড়কই ভরসা। দিন যতই যাচ্ছে ততই নওগাঁ শহরে বসতি সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে ছোট ছোট যানবাহন কিন্তু সেই তুলনায় আধুনিকায়ন হচ্ছে না শহরের অভ্যন্তরের বড়-ছোট জনগুরুত্বপূর্ন সড়কগুলো। যার কারণে ছুটির দিন বাদে শহরের যে কোন রাস্তা কিংবা সড়কে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। শহরকে এই যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে শহরের প্রধান সড়ক প্রসস্থ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

১৮৭৭ সালে নওগাঁ মহকুমা গঠিত হয়। এরপর প্রায় ১০৭ বছর পর ১১টি উপজেলা নিয়ে ১৯৮৪ সালের ১মার্চ নওগাঁ জেলায় রুপান্তর হয়। নওগাঁ শহর থেকে ৫কিলোমিটার দূরে সান্তাহার রেল জংশন স্থাপন হলে তা মূলত ছিলো নওগাঁর জন সাধারণের চলাচলকে কেন্দ্র করে। সান্তাহারে রেল চলাচল শুরু হলে নওগাঁর গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়। প্রয়োজন দেখা দেয় পাকা সড়কের। তখন রাজশাহী জেলা বোর্ডের উদ্যোগে সান্তাহার থেকে একটি প্রসস্থ সড়ক নির্মান করা হয় মহাদেবপুর পর্যন্ত। সড়কটি ছিল প্রথম দিকে সুরকী বিছানো সড়ক। অনেক পরে সড়কটি সান্তাহার থেকে নওগাঁর কাজীর মোড় পর্যন্ত কনক্রিট করা হয়। বিভিন্ন সময় ধীরে ধীরে সড়কটি তার রুপ পাল্টাতে থাকে। এরপর বর্তমান অবস্থায় এসে পৌঁছে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও যান চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সড়কটি এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

নিনিত্যদিন অসহনীয় যানজট আর ফুটপাত বিহীন সড়কটি নওগাঁ শহরবাসীর জন্য আগে ছিল বিড়ম্বনার এখন তা হয়ে উঠেছে গলার কাটা। শত শত সিএনজি চালিত থ্রি হুইলার, ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক, বউ সোহাগী, রিক্সা, মটর সাইকেল, বাস, ট্রাকসহ নানান যানবাহনের জটে শহরটি যেনো দিন দিন মরণ ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। ছোট বড় দূর্ঘটনা এখন প্রতিদিনের বিষয়। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা হয়ে পড়েছে ওই যানজটের অন্যতম শিকার। এই দূর্ভোগ থেকে উত্তরনের একমাত্র উপায় হচ্ছে সড়ক প্রসস্থকরন।

বহুবছর ও বহু কাটখড় পোড়ানোর পর নওগাঁর মানুষের দীর্ঘদিনের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান সড়কটি দুই লেন করা হলেও তা মূল শহরের কিছু ব্যক্তি মালিকানার স্থাপনার কারণে দুই লেনের জন্য যে জায়গার প্রয়োজন তাও করা সম্ভব হয়নি। এবার নওগাঁবাসীর জন্য সুখবর বয়ে আনছে নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগ। নওগাঁর ঢাকা রোডের মোড় থেকে চৌমাশিয়ার (নওহাটা) মোড় পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার সড়কটি ৪লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনার গ্রহন করেছে নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগ। সড়কের প্রয়োজনে নির্মাণ করা হবে, ব্রীজ, কালর্ভাট, ড্রেন, ফুটপাত ও রোড ডিভাইডারসহ নানান অবকাঠামো। মোট ১০০ ফুট প্রসস্থ হবে বর্তমান সড়কটি। আগামী ১মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত ডিপিপি সাবমিট করা হবে বলে সওজ অফিস সূত্রে জনা গেছে।

অপরদিকে শহরের মধ্যে ছোট যমুনা নদীর উপরের লিটন সেতুটি ২লেনের। বর্তমান লিটন সেতুটি ব্যাপক সংস্কারের আওতায় আনা হবে। এই সেতুর আদলে পাশে আরেকটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। একই ভাবে শহরের অপর তুলশী গঙ্গা নদীর উপর ২লেনের যে সেতুটি আছে তার পাশে আরো একটি ২লেনের সেতু নির্মান করা হবে। সড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে গিয়ে সড়কের দু’ধারে ব্যক্তি মালিকানাধীন যে জমি ও অবকাঠামো অধিগ্রহন করা হবে তারা জমির মূল্যবাবদ ৩গুণ ও অবকাঠামোর জন্য ২গুন অর্থ পাবেন।

নওগাঁ সওজ সূত্রে জনা গেছে, নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দীন জলিল জন ও নওগাঁ-৪ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম নওগাঁ সড়ক বিভাগকে গত বছর নভেম্বর মাসের দিকে সড়ক প্রসস্থকরণ বিষয়ে একটি ডিও লেটার দেন। এই বিষয়ে একই মতামত ব্যক্ত করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। এরপর সড়ক বিভাগ ডিপিপি প্রস্তুতির কাজে হাত দেয়। ডিপিপির কাজ শেষ হয়েছে এবং আগামী ১মাসের মধ্যে তা সাবমিট করা হবে। এতে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯শ কেটি টাকা।

নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান সাজিদ জানান, এই বিষয়ে সাংসদ মহোদয়গনের কাছ থেকে ডিও লেটার পাওয়ার পর একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। নওগাঁর পশ্চিম ঢাকা রোড (বাইপাস মোড়) থেকে মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া মোড় পর্যন্ত সাড়ে ১৬কিলোমিটার সড়কটি ৪ লেনে উন্নীত করার প্রাথমিক পরিকল্পনার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী ১মাসের মধ্যে সরকারের সড়ক বিভাগের দপ্তরে ডিপিপি সাবমিট করা হবে। সড়ক প্রসস্থ করতে গিয়ে আর যা যা করার প্রয়োজন তার সব কিছুই করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: নওগাঁ

আরও খবর



বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় বিষণ্ন ঈদ গাজায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর ধর্মীয় এ উৎসবকে সামনে রেখে চারদিকে আনন্দ-উল্লাস। তবে বিশ্বে এমনো এক প্রান্ত রয়েছে যেখানে শুধুই স্বজন হারানোর হাহাকার। বাতাসে লাশের গন্ধ। বিধ্বস্ত কংক্রিটের ভাঁজে ভাঁজে রক্তের ছাপ। ধূলিসাৎ হয়ে গেছে মসজিদ, পার্ক, ঐতিহাসিক ভবনসহ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় এবার বিষণ্ন ঈদ গাজায়। বাড়িতে খাবার নেই। নতুন পোশাক নেই। জীবনেরও কোনো নিয়শ্চয়তা নেই। ইসরাইলের অমানবীয় অত্যাচারে আনন্দহীন ঈদ কাটাবে গাজাবাসী। আলজাজিরা।

গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা প্রত্যক্ষ করা হৃদয়বিদারক। ইহুদিবাদীরা তাদের পৈশাচিক আচরণ এবং ঘৃণ্য পেশা দিয়ে শোক ও বেদনাকে ছড়িয়ে দিয়েছে গাজায়। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে শুধুই দুর্ভিক্ষ। অনেকেই স্বজন হারিয়ে একাকী ঈদের দিনটি কাটাবে। তবুও অসংখ্য গাজাবাসীর আশায় দিন কাটাচ্ছে তাদের দুঃখের অবসান হবে। তাদের মতে, শহিদদের রক্ত ইসরাইলের বর্বর সামরিক দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির পথকে উন্মুক্ত করে দেবে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানকার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। সোমবার দলে দলে ফিলিস্তিনিরা বিধ্বস্ত শহরে ফিরছেন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আংশিক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর এই ফিরে আসা শুরু হয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। খান ইউনিসে অনেকেই নিজের শহরকে চিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল। সড়কগুলোতে বুলডোজার চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুত হওয়া নাজওয়া আয়াশ নামের আরেকজন বলেছেন, তার পরিবারের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের তৃতীয়তলায় তিনি যেতে পারছেন না। কারণ সিঁড়ি নেই। ধ্বংসস্তূপ বেয়ে উপরে ওঠে তার ভাই সন্তানদের জন্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। বাসেল আবু নাসের আরেক বাসিন্দা বলেছেন, শহরটি ধ্বংসনগরী হয়ে গেছে। জীবনের কোনো স্পন্দন নেই। তারা কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরাক সরকার। এছাড়া গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ এবং তাদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

রোববার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এ ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশ গাজার বাসিন্দাদের জন্য এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠাবে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতাল, পানি ব্যবস্থাপনা, বেকারি ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। তাই ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুবিধার্থে এই সহায়তা দিচ্ছে ইরাক।

অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ৩০০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অঞ্চলটিতে খাদ্য সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরাইলকে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরই মধ্যে দেশটি সোমবার ফিলিস্তিনি এই ভখণ্ডে ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করানোর কথা জানিয়েছে। তবে অঞ্চলটির অনাহারে ভোগা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য গাজায় সোমবার প্রবেশ করা এই সংখ্যক ট্রাক যথেষ্ট নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি বিবৃতিতে ইসরাইলের কোঅর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটরি (সিওজিএটি) বলেছে, ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ২২৮টি ট্রাকে খাদ্যপণ্য ছিল। এই ট্রাকগুলো মোট সংখ্যার ৭০ শতাংশ। রাফাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, অন্য ট্রাকগুলোও কারেম আবু সালেম সীমান্ত দিয়ে গিয়েছিল। এই সীমান্তটি ইসরাইলিদের কাছে কেরেম শালোম নামে পরিচিত। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা বহনকারী গাড়ি বহরের অধিকাংশ গাড়িই পানি, চিনি, আটা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই ছিল।


আরও খবর



মার্চের ২৯ দিনে এলো ১৮১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিবছরই রমজান মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। তবে এবার খুব বেশি রেমিট্যান্স আসেনি। চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২৯ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৮১ কোটি ৫১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। প্রতিদিন গড়ে আসছে ৬ কোটি ২৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ১৯ হাজার ৯৬৬ কোটি টকা।

রোববার ( ৩১ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি মার্চের প্রথম ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮১ কোটি ৫১ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৩ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫৪ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার আর ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। 

২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার,  ফেব্রুয়ারি ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। যা সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।


আরও খবর
ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে কি না জানা যাবে আজ

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ভৈরবে ট্রলারডুবি : ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। এ ঘটনায় একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার (২৫ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ২২ মার্চ সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনা নদীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। ঘটনার পর সুবর্ণা আক্তার (২০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। পরদিন ২৩ মার্চ উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৌসুমি বেগম (২৫) ও আরাধ্য (১২) নামে আরও দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ট্রলারটিতে কনস্টেবল সোহেল রানার পরিবারের পাঁচজন, ভৈরবের আমলাপাড়ার ফল ব্যবসায়ী ঝন্টু দে-র পরিবারের সাতজন এবং কলেজপড়ুয়া দুই বান্ধবী সুবর্ণা ও আনিকাসহ মোট ২১ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ঘটনার পরপর মোট ১২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বাকি ৯ জনের মধ্যে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজন নিখোঁজ রয়েছে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকার ঘোষণা এরদোয়ানের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। আজ বুধবার নিজ দল একে পার্টির (জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) সংসদীয় দলের সভায় তিনি বলেন, আমাকে একঘরে করে রাখলেও আমি ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকব। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭২ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এমন অবস্থায় এরদোয়ান বলেছেন, যতক্ষণ আমার শরীরে প্রাণ আছে আমি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকবো। তাদের সংগ্রামের সঙ্গে থাকবো।

হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মানতেও নারাজ এরদোয়ান। হামাস যোদ্ধাদের দেশপ্রেমিক বলে আখ্যা দেন তিনি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা একমাত্র সাহসী জাতি যারা হামাসকে স্বাধীনতাকামী সংগঠন মনে করি।

এরদোয়ান বলেন, যখন কেউ কথা বলেনি, আমরা বলেছি। জাতিসংঘে আমরা দাঁড়িয়ে বলেছি হামাস সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়।


আরও খবর



ভারতে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ১২

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের ছত্তিশগড়ে একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছন। আহত হয়েছেন আর ১৪ জন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে রাজ্যের দুর্গ জেলার কুমহারি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্গের কালেক্টর রিচা প্রকাশ চৌধুরী বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, কর্মীদের বহনকারী বাসটি রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমহারির কাছে একটি খাদে পড়ে যায়। এতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয় এবং ১৪ জন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি জানান, আহতদের মধ্যে ১২ জনকে এইমসে (রায়পুর) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি দুজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের সবার অবস্থা স্থিতিশীল।

সরকারি এ কর্মকর্তা জানান, বাসের মধ্যে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।

এদিকে, এই দুর্ঘটনা শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই। নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, কুমহারির কাছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বহনকারী একটি বাস দুর্ঘটনার খবরে আমি দুঃখিত। আমি বিদেহী আত্মার শান্তি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারকে শক্তি দেওয়ার জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করছি। আহত কর্মচারীদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।


আরও খবর