মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া রজনীগন্ধা ফেরিকে চার দিনেও উদ্ধার করা যায়নি। শুক্রবার বিকেল থেকে ফেরিটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। তবে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। প্রায় ৫০ ফুট পানির নিচে শনাক্ত হওয়া ফেরিটি উদ্ধারের জন্য রশি বেঁধে টেনে তোলার চেষ্টা চলছে। ফেরিটি উদ্ধারে কত সময় লাগতে পারে, সেটাও বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে ফেরিডুবির ঘটনায় রজনীগন্ধা ফেরির সহকারী মাস্টার হুমায়ুন কবীর এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এর আগে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম একটি কাভার্ডভ্যান ও দুই পণ্যবাহী ট্রাক উদ্ধার করে।
নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের প্রধান শাহ পরান
জানান, নদীতে ডুবে যাওয়া ফেরিতে কিছু বেলুনের মাধ্যমে হাওয়া দিয়ে পরিষ্কার করে উদ্ধারের
জন্য রশি বেঁধে টানা হচ্ছে। ফেরিটি উদ্ধারের জন্য কত সময় লাগতে পারে তা বলা যাচ্ছে
না। ধারণা করা হচ্ছে, রোববার ফেরিটিকে পানির ওপরে জাগানো যেতে পারে। গত বুধবার থেকে
নদীতে ডুবে থাকা পণ্য বোঝাই ছয়টি ট্রাক এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
এর আগে গত বুধবার সকাল ৮টার দিকে পাটুরিয়া
৫ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে রজনীগন্ধা ফেরিটি ঘন কুয়াশার কারণে নোঙর করে থাকা অবস্থায় পদ্মা
নদীতে ডুবে যায়। পরে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম ওইদিন সকাল থেকে
অভিযান চালিয়ে একটি কাভার্ডভ্যান ও দুটি পণ্যবাহী ট্রাক উদ্ধার করে। প্রত্যয় শুক্রবার
আসার পর শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি।
আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম শাহ
খালেদ নেওয়াজ বলেন, উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তমের ধারণক্ষমতার চেয়ে ওজন বেশি থাকার
কারণে ফেরিটি উদ্ধার করতে পারেনি।
শুক্রবার দুপুরে প্রত্যয় এসে বিকেল ৩টা
থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। ডুবুরি দল নদীতে ডুবে থাকা ফেরিটি শনাক্ত করেছে। আমরা দ্রুত
ফেরি ও ট্রাকগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি। এখনও ছয়টি পণ্যবাহী ট্রাক ও রজনীগন্ধা ফেরির
সহকারী মাস্টার এবং আরিচা অঞ্চলের ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি হুমায়ুন কবীর নিখোঁজ
রয়েছেন।