আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

চার বিভাগে আওয়ামী লীগের ১৫১ প্রার্থী চূড়ান্ত

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আগামী নির্বাচনের জন্য আরও চারটি বিভাগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের ১৫১টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়। এদিনও বর্তমান এমপিদের কয়েকজন মনোনয়নবঞ্চিত হন। তাদের জায়গায় নতুন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে দুদিনে ছয় বিভাগের ২২৩টি আসনে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ করল ক্ষমতাসীন দলটি। আগের দিন বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত হয়েছিল রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ৭২টি আসনের প্রার্থী। তবে প্রথম দিনের মতো গতকালও দল মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। এমনকি কৌশলগত কারণে এদিন কোন কোন বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে, সেটাও জানানো হয়নি। বলা হয়েছে, ৩০০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করার পর আগামীকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এদিকে, আগামীকাল রোববার গণভবনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ডেকেছে আওয়ামী লীগ।

গতকাল শুক্রবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড। এদিন দুদফা বৈঠক হয়। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে তিন ঘণ্টারও বেশি চলা প্রথম বৈঠকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ৫৭টি এবং সন্ধ্যা থেকে রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত আরেক দফা বৈঠকে বসে ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের ৯৪টি আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের তৃতীয় দিনের বৈঠক বসবে। সেখানে সিলেট ও চট্টগ্রামের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। এ দুই বিভাগের আসন সংখ্যা ৭৭।

প্রথম দফার বৈঠক শেষে বিকেলে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কৌশলগত কারণে আজ কোন কোন বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে, তা আর প্রকাশ করা হচ্ছে না। একসঙ্গে ৩০০ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। শনিবার সম্ভব না হলে রোববার এ তালিকা প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা যখন বিভাগের নাম ঘোষণা করি, তখন ভিড় বেড়ে যায়। নির্দিষ্ট বিভাগ শুনলে পীড়াপীড়ি শুরু হয়ে যায় কীভাবে নাম বের করা যায়। সে কারণে বিভাগের নাম ঘোষণা করছি না। আমরা দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারটাও সুনির্দিষ্ট করে এখনই বলছি না। কারণ এর মধ্যে আমরা যেসব প্রার্থী দিয়েছি, সেসব মনোনয়নে ভুলত্রুটিও থাকতে পারে। সেটাও সংশোধনের একটা সুযোগ রেখেছি। এ কারণে আমরা ঠিক করেছি, ভিন্নভাবে জেলাওয়ারি বা বিভাগওয়ারি প্রার্থিতা ঘোষণা করব না। একসঙ্গে ৩০০ আসনের প্রার্থিতা ঘোষণা করতে চাই।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজকের সভায়ও কিছু পুরোনো এমপি বাদ গেছেন; নতুনরাও মনোনয়ন পেয়েছেন। সম্ভাব্য জয়ী প্রার্থী আমরা বাদ দিইনি।

দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে বর্তমান এমপিদের বাদ পড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, যারা সম্ভাব্য জয়ী কিংবা জয়ের সম্ভাবনা নেই এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন, তারাই বাদ পড়ছেন। নারী-পুরুষ সব প্রার্থীর মনোনয়নের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, কাজী জাফরউল্লাহ, রমেশ চন্দ্র সেন, ওবায়দুল কাদের, রশিদুল আলম এবং ডা. দীপু মনি। দাপ্তরিক কাজের প্রয়োজনে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বৈঠকে যোগ দেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল চূড়ান্ত হওয়া চার বিভাগের আসনগুলোর বেশির ভাগ আসনেই বর্তমান এমপিদের ফের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন বাদ পড়েছেন। জনপ্রিয়তা হারানোসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ায় এসব এমপি এবার দলীয় মনোনয়নের জন্য বিবেচনায় আসেননি। তাদের জায়গায় কয়েকজন তরুণ নেতাকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্রগুলো বলছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনেই প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে রাখছে আওয়ামী লীগ। এমনকি ১৪ দলীয় জোট শরিক এবং মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির এমপিদের আসনেও দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হচ্ছে। পরে জোটগত আসন সমঝোতা হলে শরিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়া আসন থেকে দলীয় প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি এখন পর্যন্ত একরকম অনিশ্চিত থাকায় একাদশ সংসদের প্রধান বিরোধী দলের এমপিদের আসন বিষয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান এখনও পরিষ্কার হয়নি। জাতীয় পার্টি এরই মধ্যে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়ে আলাদাভাবে প্রার্থী বাছাই শুরু করেছে।  

গতকাল চূড়ান্ত হওয়া আসনগুলোর প্রার্থী নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে, এমন প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরাও নানা দোলাচলে ভুগছেন। এখন মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরে বাদ পড়েন কিনা এমন দুশ্চিন্তাও দেখা দিয়েছে অনেকের মধ্যে। আবার বিভিন্ন মাধ্যমে একই আসনে একাধিক ব্যক্তির পক্ষে মনোনয়ন পাওয়ার দাবি করায় এ নিয়ে বিভ্রান্তিও দেখা দিয়েছে নেতাকর্মীর মধ্যে। অনেক প্রার্থীর মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার দাবি করে বিভিন্ন এলাকায় কর্মী-সমর্থক মিষ্টি বিতরণ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অভিনন্দনের বন্যা বয়ে গেছে।

তবে এখন অনেক প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হলেও দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা চূড়ান্ত পর্যায়ে এই প্রার্থী তালিকায় রদবদল আনতে পারেন বলেও জানিয়েছে দলীয় সূত্রগুলো।

শুক্রবার সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাগুরা-১ এবং চিত্রনায়ক ফেরদৌস ঢাকা-১০ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যশোর-২ আসনে দলের বর্ষীয়ান নেতা ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের জামাতা ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন, বরিশাল-২ আসনে তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস এবং বরিশাল-৪ আসনে ড. শাম্মী আহমেদ মনোনয়ন পেয়েছেন। এসব আসনের পুরোনো এমপিরা বাদ পড়েছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, ঢাকা-৬ আসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা-৮ আসনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং ঢাকা-৭ আসনের বর্তমান এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের জায়গায় তাঁর ছেলে ইরফান সেলিমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী কুষ্টিয়া-১ আসন থেকে আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ, কুষ্টিয়া-৩ আসনে মাহবুবউল-আলম হানিফ, মাগুরা-২ আসনে ড. বীরেন শিকদার, বাগেরহাট-১ আসনে শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনে শেখ সারহান নাসের তন্ময়, বাগেরহাট-৩ আসনে হাবিবুন নাহার, খুলনা-১ আসনে পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা-২ আসনে শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, খুলনা-৩ আসনে মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-৪ আসনে আবদুস সালাম মুর্শেদী, খুলনা-৫ আসনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আলী আজগার টগর, মেহেরপুর-১ আসনে ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২ আসনে সাহিদুজ্জামান খোকন, ভোলা-১ আসনে তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আসনে আলী আজম মুকুল, ভোলা-৪ আসনে আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বরিশাল-১ আসনে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, বরিশাল-৩ আসনে সরদার খালেদ হোসেন স্বপন, বরিশাল-৫ আসনে জাহিদ ফারুক শামীম, বরিশাল-৬ আসনে মেজর জেনারেল (অব.) হাফিজ মল্লিক, পিরোজপুর-১ আসনে শ ম রেজাউল করিম, পিরোজপুর-৩ আসনে আশরাফুল ইসলাম, পটুয়াখালী-১ আসনে অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, পটুয়াখালী-২ আসনে আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালী-৩ আসনে এস এম শাহজাদা এবং পটুয়াখালী-৪ আসনে মহিবুর রহমান মহিব দলের মনোনয়ন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর
আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররমে ৫ জামাত

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। পরে এক ঘণ্টা পর পর বাকি ৪টি জামাত হবে। শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বেলা পৌনে এগারোটায়।

রোববার (৭ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

প্রথম জামাত : সকাল ৭টা, ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন এই মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

দ্বিতীয় জামাত : সকাল ৮টা, ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন এই মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান ।

তৃতীয় জামাত : সকাল ৯টা, ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন এই মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত : সকাল ১০টা, ইমাম হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী, মুফাসসির। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মুকাররমের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত : সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে, ইমাম হিসেবে থাকবেন আজিমপুরের মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মুকাররম মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

এই ৫টি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশননের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




স্কুলে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন শিক্ষকরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যে মঙ্গলবার শিক্ষকদের স্কুলে বন্দুক নিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষকরা স্কুলে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন। তবে তা প্রকাশ্যে দেখাবেন না। বিলটি এবার যাবে রিপাবলিকান গভর্নর বিল লি-র কাছে অনুমোদনের জন্য। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।

একবছর আগে ন্যাশভিলের স্কুলে গুলিচালানোর ঘটনায় তিন শিশু-সহ ছয়জনের মৃত্যু হয়। তারপর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।

বিলে বলা হয়েছে, স্কুলের ভেতরে কেউ যদি বন্দুক নিয়ে যেতে চান, তাহলে তাকে প্রতি বছর ৪০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তিনি প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন না। বন্দুক গোপন রাখতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই বন্দুক নিয়ে আসার অনুমতি দেবেন। তার আগে পুলিশকে বিষয়টি জানাতে হবে এবং বন্দুকধারীর পরিচয় দিতে হবে।

রিপাবলিকানদের সংখ্যাধিক্য থাকা টেনেসি হাউসে বিলটি ৬৮-২৮ ভোটে পাস হয়েছে। বিলটি যখন পাস হয়, তখন দর্শক গ্যালারি থেকে স্লোগান দেয়া হয়, আপনাদের হাতে রক্ত লেগে থাকবে।

রিপাবলিকান নেতা রিয়ান উইলিয়ামস বলেছেন, একটি প্রতিরোধক তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে। অঙ্গরাজ্যজুড়ে গুলির ঘটনা থামানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সব ডেমোক্র্যাট সদস্য ও চারজন রিপাবলিকান বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেন।

ডেমোক্র্যাট নেতা জাস্টিন জোনস বলেন, রিপাবলিকান সহকর্মীরা আমাদের রাজ্যকে বন্দুকের নলের সামনে রাখছেন। তারা বন্দুক প্রস্তুতকারকদের সাহায্য করছেন। নৈতিক দিক থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।

জিফোর্ড ল সেন্টারের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক অঙ্গরাজ্যে স্কুলের কর্মী ও শিক্ষকরা স্কুলের মাঠে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যেতে পারেন।

গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে বন্দুকধারীদের তাণ্ডবে অনেক শিশু ও শিক্ষকের প্রাণ গেছে। টেনেসি অঙ্গরাজ্যের নাশভিল শহরে গোলাগুলির এক বছর পর বিলটি পাস হলো।

নিউজ ট্যাগ: যুক্তরাষ্ট্র

আরও খবর



বৃষ্টিতে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ভারতের নারীদের দেখেশুনে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ম্যাচের মাঝখানে হঠাৎ হানা দেয় বৃষ্টি। বৃষ্টিতে বন্ধ রয়েছে ম্যাচটি। বন্ধ হওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান।

ব্যাট হাতে বাংলাদেশের হয়ে অপরাজিত আছেন মুর্শিদা খাতুন। ২৮ বলে ২৫ রান করেছেন এই ওপেনার। তার সঙ্গে আছেন সদ্য ক্রিজে নামা রিতু মনি। দুই বল খেললেও এখনও রানের খাতা খোলেননি রিতু।

ওপেনিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১৪ রানে দিলারা আক্তারের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৬ বলে ১০ রান করে দীপ্তি শর্মার বলে রেনুকা সিংয়ের ক্যাচে পরিণত হন দিলারা। আগের ম্যাচে একাই বাংলাদেশকে টেনে নেওয়া জ্যোতি এদিন ব্যর্থ হন ভালো ইনিংস খেলতে। ১১ বলে ছয় রান করে রাধা যাদবের বলে লেগবিফোর হন তিনি।

টসের পর অধিনায়ক জ্যোতি বলেছিলেন, প্রথম ম্যাচে আমাদের বোলাররা ভালো করেছেন। ব্যাটিংটা ঠিকঠাক হয়নি। আজ আশা করি ব্যাটাররা নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে ঠিকঠাক। সবাই সবার জায়গা থেকে ইফোর্ট দিলে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা থাকে।


আরও খবর



আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়া ৬১ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো শোকজের চিঠিতে তাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে বা কেউ জবাব না দিলে তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে। চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাঠে রয়েছেন এসব শোকজ পাওয়া নেতা।  এর আগে প্রথম দফার ভোটে যাওয়া ৮০ নেতাকে বহিষ্কার করে দলটি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে শোকজ করা ৬১ নেতার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ২০ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ১৬ জন রয়েছেন। এছাড়া এ ধাপের ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ১২ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে ৪ জন।  জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে কমসংখ্যক নেতা ভোটে অংশ নিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, শোকজ করার কারণ হলো তাদেরকে আরেকটি সুযোগ দিতে চায় দল। এর মধ্যেও যদি কেউ ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা শোকজ চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএনপির নেতা হিসাবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ‘প্রস্তুত’ ইউরোপের ৩ দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তত রয়েছে ইউরোপের ৩ দেশ। স্পেন, আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তৃতীয় দেশটি হচ্ছে নরওয়ে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে নিজেরা প্রস্তুত বলে জানায় আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। সূত্র: আল জাজিরা

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ডাবলিনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড শীঘ্রই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়, তবে স্পেন এবং আরও ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বলেন, স্পেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোয়ারও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, তার দেশও অন্যান্য দেশের মতো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

সানচেজ বলেন, ইচ্ছুক দেশগুলো তাদের ঘোষণা দেবে যখন পরিস্থিতি উপযুক্ত হবে এবং তারা নতুন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার সমর্থন করবে।

এর আগে ইউরোপের দেশ মাল্টা ও স্লোভেনিয়া জানিয়েছিল, তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সাথে মাল্টা ও স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যৌথভাবে এ ঘোষণা দেয় তারা।


আরও খবর