
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাহিদামতো সরবরাহ না থাকায় পেট্রল ও অকটেনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জেলা শহরের কিছু স্থানে পেট্রল-অকটেন পাওয়া গেলেও উপজেলাগুলোর প্রায় সব ফুয়েল স্টেশন বন্ধ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিপো থেকে চাহিদামতো সরবরাহ না পাওয়ায় সংকট সৃষ্টি দেখা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ডিজেল ও কেরোসিনের সরবরাহ ঠিক রয়েছে।
জেলা শহরের শিবতলা এলাকার মোটরসাইকেল চালক সজিব আলী বলেন, বিভিন্ন ফুয়েল স্টেশন ঘুরে ঘুরে পেট্রল না পেয়ে কাল থেকে বাধ্য হয়ে গাড়িতে অকটেন ব্যবহার করছিলাম। কিন্তু আজ ফুয়েল স্টেশনে গিয়ে দেখি অকটেনও নেই।
শিবগঞ্জ উপজেলার রাজ্জাক নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, ঈদের পরদিন থেকেই এখানকার কোনো ফুয়েল স্টেশনে পেট্রল-অকটেন নেই। তবে শিবগঞ্জ ফুয়েল স্টেশনে সকালে কিছু মানুষকে পেট্রল দিয়েছে। ফের দুপুর থেকে বন্ধ।
রানিহাটি এলাকার আশরাফ নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, ছোট দুই ছেলেকে নিয়ে জেলা শহরে গিয়েছিলাম ঘুরতে। কিন্তু আশার পথে তেল শেষ হয়ে যায়। পরে বিভিন্ন ফুয়েল স্টেশনে ঘুরেও তেল না পেয়ে অটোরিকশাতে বাড়িতে এসেছি।
মেসার্স শিবগঞ্জ ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার জহিরুল কাইউম বাবর বলেন, গত এক মাস থেকে চাহিদা অনুযায়ী তেল পাচ্ছি না। যা তেল ছিল ঈদের পরেরদিন শেষ হয়ে গিয়েছিল। আগে থেকে টাকা দিয়ে ১২ হাজার লিটার তেলের অর্ডার দিয়ে তিন হাজার লিটার তেল পেয়েছিলাম গত পরশু। তা আজকে দুপুরেই শেষ হয়ে গেছে। তাই এখন বন্ধ। গত কয়েকদিন ধরে সিরাজগঞ্জসহ বেশ কিছু স্থানে খোঁজ নিয়েও তেল পাইনি।
গোমস্তাপুর উপজেলার খয়রাবাদ এলাকার মেসার্স রায়হান ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার রায়হান আলী বলেন, শনিবার বিকেল থেকেই এখানকার কোনো ফুয়েল স্টেশনে তেল নেই। তবে আমাদের কাছে এক হাজার লিটার পেট্রল ছিল। কিন্তু সকাল থেকে এত মোটরসাইকেল তেল নিতে এসেছে যে দুপুরেই শেষ হয়ে গেছে। সিরাজগঞ্জ ডিপোতে কথা বলেছি। পরশু ছড়া তেল তারা দিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
জেলা শহরের পিটিআই এলাকার খান ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার বাবু আলী বলেন, গত সাতদিন থেকেই পেট্রল ও অকটেন সংকট। তবে আমার ফুয়েল স্টেশনে তেল ছিল। কিন্তু এখন প্রায় শেষের পথে। আর পরশু সাড়ে ৯ হাজার লিটার পেট্রল ও অকটেনের অর্ডার দিয়েছিলাম। কিন্তু পেয়েছি মাত্র সাড়ে চার হাজার লিটার। তাও কালকে আসবে। নানা অজুহাতে ডিপো থেকে তেল দিচ্ছে না।