আজঃ বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টায় জেলার ঈদের প্রধান জামাত শুরু হয়।

সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রায় ৯৪ বছর ধরেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে সাদ্রাসহ ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকেন। ঈদকে ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

আরও পড়ুন: যেসব দেশে ঈদ উদ্‌যাপিত হচ্ছে আজ

এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা মাঠে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১০ টায়। সাদ্রা গ্রামে সাদ্রা দরবার শরীফে ঈদের জামায়াতে ইমামতি করবেন আল্লামা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।

 


আরও খবর



এনটিআরসিএ : পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগের পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত সুপারিশের ফল প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। আজ বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

নির্ধারিত লিংকে প্রবেশ করে প্রার্থীরা চূড়ান্ত সুপারিশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। (http://103.230.104.210:8088/ntrca/c5/app/login.php?type=19&sfnsn=wa) প্রবেশ করে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রার্থীরা চূড়ান্ত সুপারিশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।

জানা যায়, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চলমান অবস্থায় নিয়োগের জন্য গতকাল মঙ্গলবার সম্মতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকসংকট দূরীকরণ ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চলমান অবস্থায় কয়েকটি শর্তে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সম্মতি দেওয়া হলো।

শর্তগুলো হলো

১. নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষক সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির ভেরিফিকেশনে কোনো বিরূপ মন্তব্য বা আপত্তি উত্থাপিত হলে অবিলম্বে সুপারিশপত্র বাতিল হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

২. প্রার্থীর পুলিশ অথবা নিরাপত্তা ভেরিফিকেশনে বিরূপ মন্তব্য পাওয়া গেলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) মন্ত্রণালয়ে জানাতে হবে।

৩. বিরূপ মন্তব্যসম্পন্ন শিক্ষককে অব্যাহতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রার্থীকে জানাতে হবে।


আরও খবর
স্টেট ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




প্রধান উপদেষ্টাসহ পাঁচজনের দপ্তর পুনর্বণ্টন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে দেখা গেছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহামদ ইউনূস ছয়টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব পালন করবেন।

এগুলো হলো ১. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; ২. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; ৩. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; ৪. খাদ্য মন্ত্রণালয়; ৫. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং ৬. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে নতুন করে আরও একটি করে মন্ত্রণালয় পেয়েছেন উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, হাসান আরিফ, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং শারমীন এস মুরশিদ।

উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

উপদেষ্টা হাসান আরিফ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নতুন করে ভূমি মন্ত্রণালয় যুক্ত হয়েছে। বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ও সামলাবেন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ নতুন করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় পেয়েছেন।


আরও খবর



১০ ট্রাকভর্তি জনতা নিয়ে ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ‘লং মার্চ’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে লং মার্চ শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুনিয়র সহ-সমন্বয়কদের নিয়ে গঠিত ইনকিলাব মঞ্চ। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিপুল পরিমাণ ছাত্র-জনতা নিয়ে রাজধানীর শাহবাগ থেকে ১০টি ট্রাকযোগে শুরু হয় এ লং মার্চ।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক নদীতে ভারতের বাঁধ নির্মাণ, ইচ্ছেমতো পানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাংলাদেশে বন্যা ও নদীর নাব্যতা হ্রাসবৃদ্ধিতে প্রভাব খাটানোর প্রতিবাদে এ কর্মসূচি। এ লং মার্চ প্রথমে যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তায় পথসভা করবে। পরে দুপুর ২টায় কুমিল্লার চান্দিনায় একটি পথসভা করবে। আর বিকাল ৪টায় কুমিল্লার টাউন হলে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে পদযাত্রা নিয়ে বিবির বাজার পৌঁছাবে মার্চটি।

এদিন সকাল থেকে লং মার্চে যোগ দিতে শাহবাগে জড়ো হন অসংখ্য শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ট্রাকযোগে লংমার্চ শুরু করে ইনকিলাব মঞ্চ।

সংগঠনের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির বলেন, দেশ আজ গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে নতুন এক দিগন্তে উপনীত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকাকালে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জনগণ আওয়াজ তোলার সাহস করেনি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ভারত পানিসন্ত্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ওপর প্রতিনিয়ত সীমাহীন জুলুম করেই যাচ্ছে।

ভারতের এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বিপুল জনমত তৈরি করতে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ইনকিলাব মঞ্চের এই লং মার্চ।

এর আগে, গত ৩০ গণধিক্কার ও ভাঙার গান শীর্ষক অনুষ্ঠানে লং মার্চের পোস্টার প্রদর্শন করে এ ঘোষণা দেন প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী।


আরও খবর



সারাদেশে বাদ পড়ছেন ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করতে যাচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়। এসব কর্মকর্তা দেশের ৬৪ জেলার অধস্তন আদালতে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার তাদের বাদ দিয়ে নতুন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। এ লক্ষ্যে নিয়োগপ্রত্যাশীদের তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি জীবনবৃত্তান্তসহ অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু করছে আইন মন্ত্রণালয় ও সলিসিটর কার্যালয়। চলতি সপ্তাহে একযোগে বা পর্যায়ক্রমে বিদ্যমান আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করে নতুন নিয়োগ হওয়ার কথা রয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতার বলেন, কিছু কিছু তালিকা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন মন্ত্রণালয়ের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আইন উপদেষ্টার কাছে নিয়োগপ্রত্যাশী অনেকে নাম ও তালিকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু এসব বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পর আইন কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। সে হিসেবে এবারও পরিবর্তন হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তালিকা তৈরি হচ্ছে। শিগগিরই বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া আইন কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতো বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আদালতের বিচারকাজেও। বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের চাপের মুখে বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া আইন কর্মকর্তারা শুনানিতে অংশ নিতে পারছেন না। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাদের অধিকাংশ এখন আদালতেও আসছেন না। একইভাবে গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ অন্য নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পক্ষেও আদালতে আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করতে চাইলেও তাঁকে বা তাদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছাড়াই আদালতে বিচারকাজ চলছে। কিছু ক্ষেত্রে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানিতে অংশ নিলেও তারা আসামির বিরুদ্ধেই শুনানি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় লিগ্যাল এইডের আইনজীবীদের নিয়োগের জন্য আদালতগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয় ও সলিসিটর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় জিপি-পিপি, অতিরিক্ত পিপি-অতিরিক্ত জিপিসহ প্রায় ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তা রয়েছেন। আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদকাল সরকারের সন্তুষ্টিকাল পর্যন্ত। এ প্রেক্ষাপটে ৬৪ জেলা আদালতে আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগপ্রত্যাশীর তদবির শুরু হয়েছে। সারাদেশ থেকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আইনজীবীরা প্রায় প্রতিদিনই আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য আইন উপদেষ্টার কাছে তালিকা দিচ্ছেন। বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শীর্ষ নেতারা এরই মধ্যে তালিকা দিয়েছেন। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম দিয়েছেন।

আইন কর্মকর্তাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে দাবি উঠেছে। তবে কোনো সরকারই স্থায়ী নিয়োগের জন্য আইন করেনি। ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন কর্মকর্তা নিয়োগে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের লক্ষ্যে আইনের খসড়া করলেও পরবর্তী সময়ে সেটা আর বাস্তবায়ন হয়নি।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, বর্তমানে জিপি, পিপি ও বিশেষ পিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ১৫ হাজার ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা। জিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া মামলার শুনানির জন্য পিপি ও বিশেষ পিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ৬০০ টাকা ও অর্ধদিবসের জন্য ৩০০ টাকা। অতিরিক্ত  জিপি ও অতিরিক্ত পিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ৯ হাজার টাকা। অতিরিক্ত জিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা এবং অতিরিক্ত পিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ৫০০ টাকা ও অর্ধদিবসের জন্য ৩০০ টাকা। এজিপি, এপিপি ও এলজিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ৬ হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ৪ হাজার টাকা। এজিপি ও এলজিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। মামলার শুনানির জন্য এপিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ২৫০ টাকা; অর্ধদিবসের জন্য ১৫০ টাকা।


আরও খবর



নতুন করে বন্যার শঙ্কা নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে দেখা যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার থেকে গরম বেড়ে গেছে। দেশের বেশির ভাগ জায়গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত এক দিনে দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। আজ শনিবারও (৩১ আগস্ট) এমন গরম থাকতে পারে; সঙ্গে দেশের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। অবশ্য আগামী দু-একদিনে খুব বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এরপর আগামী সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) থেকে বৃষ্টি আবারও বাড়তে পারে এবং টানা কয়েক দিন বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এতে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর থেকে শনিবারের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টিপাত চলতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে এই সময়ে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। এরপর আগামী সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি বেশি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, এই মুহূর্তে মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় রয়েছে। এ কারণে বৃষ্টি কমে গেছে। তবে আগামী সোমবারের মধ্যে মৌসুমি বায়ু আবারও শক্তি অর্জন করতে পারে। এতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে, যা কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার দেশের বেশির ভাগ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। অর্থাৎ তাপপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে। সিরাজগঞ্জের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। এদিন সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রাঙামাটিতে; ২৭ মিলিমিটার। চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ৬ মিলিমিটার। দেশের বাকি এলাকায় বৃষ্টি হয়নি। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল প্রায় ৯০ শতাংশ। এ ধরনের আর্দ্রতায় গরমের অনুভূতি বেশি হয়। আজ শনিবার ও আগামীকাল রোববার একই ধরনের গরমের কষ্ট অনুভূত হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শুক্রবার দেশের সব নদনদীর ১১৬টি পয়েন্টের মধ্যে ১৬টিতে পানি বেড়েছে। বাকিগুলোতে কমছে। সবকটি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।


আরও খবর