আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

চালের চেয়ে ময়দার দাম বেশি

প্রকাশিত:রবিবার ২২ মে 20২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ মে 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে আটা-ময়দার দাম। সাত-আট মাস ধরে এ দুটি পণ্যের দাম বাড়তির দিকে। টিসিবির দেওয়া তথ্যমতে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ময়দার (প্যাকেট) দাম এখন ৭০ টাকার বেশি। আর খোলা আটার দাম ৪৬ টাকার বেশি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই আটা-ময়দার দাম অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকে। সম্প্রতি ভারত থেকে গম আমদানি বন্ধের খবরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের আটা-ময়দার বাজারে। ময়দার দাম এখন চালকেও ছাড়িয়ে গেছে। যদিও এ সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে চালের দামও। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের ৪৪ টাকা কেজি দরের মোটা চাল এক টাকা বেড়ে এখন ৪৫ টাকায় এবং ৫৫ টাকা কেজি দরের মাঝারি মানের চালের দাম ৫৬ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। সরকারের বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য এটি। সংস্থাটির হিসাবে, গত এক মাসে ৩১ শতাংশ বেড়েছে খোলা আটার দাম। আর গত এক বছরে খোলা ময়দার দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি।

টিসিবির হিসাবে, বাজারের সবচেয়ে ভালো চালের দাম এখন ৬৮ টাকা কেজি। কিন্তু খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ময়দার (প্যাকেট) দাম এখন ৭০ টাকার বেশি। টিসিবি বলছে, এখনও ৪৫ টাকা কেজি দরে মোটা চাল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ৫৫ টাকার নিচে ময়দা পাওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি ক্রেতাদের প্রতিকেজি খোলা আটা কিনতে এখন খরচ পড়ছে ৫০ টাকার বেশি। টিসিবির হিসাবে, সবচেয়ে কম দামি খোলা আটার দামও এখন ৪৬ টাকার বেশি। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে খোলা ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে ৬০ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরে যে ময়দা ৩৬ টাকা কেজিতে পাওয়া যেত, এখন সেই ময়দা ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। আর এক বছরে প্যাকেট ময়দার দাম বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের এই সময়ে ৪৫ টাকা কেজি প্যাকেট ময়দা এখন ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

টিসিবি বলছে, গত এক বছরে খোলা আটার দাম বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের এই সময়ে ৩২ টাকা কেজি খোলা আটা এখন ৫০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে।

রাজধানীর খুচরা বাজারে দেখা গেছে, আটা ও ময়দায় মানভেদে দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত বাড়ছে। আর এক মাসের ব্যবধানে তা কেজিতে ১০ টাকা ছাড়িয়েছে। সয়াবিন তেল নিয়ে ভোগান্তির মধ্যেই আটা, ময়দার এই দাম বৃদ্ধিতে শঙ্কিত ভোক্তারা। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশে বছরে ৭৫ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে ১১ লাখ টন গম দেশে উৎপাদিত হয়। বাকিটা আমদানি করা হয়। আমদানির বড় অংশ আসতো রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। বাকিটা ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়াসহ আটটি দেশ থেকে আমদানি করা হতো। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে দেশে মোট গম আমদানির ৬৩ শতাংশ, কানাডা থেকে ১৮ শতাংশ ও বাকিটা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়। তবে গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ভারত থেকে গম আমদানি বেড়েছে। এই সময়ে মোট গম আমদানির ৪৫ শতাংশ রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে, কানাডা থেকে ২৩ শতাংশ, ভারত থেকে ১৭ শতাংশ আমদানি করা হয়। বাকিটা অন্য দেশগুলো থেকে আমদানি করা হয়।

জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশ দুটি থেকে আর গম আমদানি করা যায়নি। এরপর দেশের ব্যবসায়ীরা গম আমদানিতে ভারতমুখী হয়। কিন্তু এখন ভারতও গম রফতানি বন্ধ করেছে। যদিও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত গম রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিলেও চিন্তার কোনও কারণ নেই। সরকার আরও পাঁচটি দেশ থেকে গম আমদানির পথ খুঁজছে। ইতোমধ্যে কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে গম আমদানির বিষয়ে কথা হয়েছে। এ ছাড়া ভারতও গম দেবে। তাই গম নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না।

উল্লেখ্য, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে গত ১ জুলাই থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে মোট ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার টন গম আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে গত ১ মার্চ থেকে ১২ মে পর্যন্ত গম আমদানি হয়েছে ৬ লাখ ৮৭ হাজার টন। বর্তমানে সরকারের কাছে মজুত আছে ১ লাখ ১২ হাজার টন গম।

বাড়ছে রসুনের দাম: অস্বাভাবিক দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে রসুন। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ১৬ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের সপ্তাহ থেকে এই পণ্যটির দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। নতুন করে দেশি রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকার মতো। অর্থাৎ গত সপ্তাহে যে রসুন ৯০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যেত, এখন সেই রসুন কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকা দিয়ে। দেশি রসুনের পাশাপাশি আমদানি করা রসুনের দামও বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকার মতো। অর্থাৎ গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ১৪০ টাকা কেজি দরের রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে।

বেড়েছে ডিমের দাম: গত সপ্তাহের পর এ সপ্তাহেও বেড়েছে ডিমের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে। এখন এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১০ টাকা।

সয়াবিন ও পেঁয়াজ: এদিকে খোলা সয়াবিন তেল গত সপ্তাহের মতো প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা। আর বোতলের পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৮০ থেকে ৯৮৫ টাকা। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের দাম: এদিকে ঈদের আগে কেজি ৭০০ টাকায় উঠে যাওয়া গরুর মাংসের দামে কোনও পরিবর্তন আসেনি। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তবে বেশ কিছু মহল্লার সাপ্তাহিক ব্যবসায়ীরা গরুর মাংসের কেজি বিক্রি করছেন ৭২০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হলেও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কমে এখন ১৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ টাকা। আর ঈদের আগে ছিল ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি আগের মতোই ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

মাছের দাম: গত সপ্তাহের মতো রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। পাবদার কেজি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকায়। ৫০০-৬০০ গ্রামের ইলিশের কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা।

কয়েকটি সবজির কেজি ১০০ টাকা: খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের পর থেকেই কাঁচা সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেশি। এরপর আবার বৃষ্টির কারণেও বাজারে তেমন সবজি আসছে না। ঢাকায় আনার পথে বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে প্রতিকেজি সবজিতে ১৫-২০ টাকা দাম বেড়েছে খুচরা বাজারে। এরমধ্যে তিনটি সবজির কেজি এখন ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া আরও কয়েকটি সবজির কেজি ১০০ টাকার কাছাকাছি। বাকি সবজিগুলোর দামও বেশ চড়া। ৫০ টাকার নিচে হাতে গোনা দুই-একটি সবজি পাওয়া যাচ্ছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা এখন সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর। এই সবজিটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে গাজরের কেজি ছিল ৭০ টাকা। গত সপ্তাহে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটির দাম বেড়ে এখন ১০০ টাকা। কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে। এক সপ্তাহ আগে এই সবজিটির কেজি ৬০ টাকার মধ্যে ছিল। এছাড়া করলা ও বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। ঢেঁড়স ও পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ঝিঙে ও চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।

নিউজ ট্যাগ: আটা-ময়দা

আরও খবর



বাপ-দাদার শেখানো পেশায় যাদের জীবন জীবিকা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

এক সময় মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, ঘটি, মটকা, সরা, চারি, কাসা, কলস, ব্যাংক, প্রদীপ, পুতুল, কলকি, দেবদেবীর মূর্তি ও ঝাঝরের বিকল্প ছিল না তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের রুচির পরিবর্তনে মাটির তৈরি সামগ্রীর স্থান দখল করে নিয়েছে প্লাস্টিক, মেলামাইন, স্টিল আর অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি নানা রকম আধুনিক সামগ্রী। তাই বর্তমানে বাজারে চাহিদা কম থাকায় এবং কাঁচামালের চড়ামূল্য ও পুঁজির অভাবে টিকতে না পাড়ায় সংকটে পড়েছে পাবনার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পীরা।

মৃৎশিল্পীরা জানান, বর্তমান মানুষের ব্যবহারিক জীবনে মৃৎশিল্পের তেমন কোন আর ভূমিকা নেই। প্রযুক্তি বিকাশের এ যুগে এই শিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধিত না হওয়ায় বর্তমানে এই পেশায় টিকে থাকা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে কালের আবর্তে বাপ-দাদার পেশা হারিয়ে যেতে চললেও এখনোও টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পাবনা চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের গৌড়িপুর পালপাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পীরা।

সরেজমিনে গৌড়িপুর পালপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, ভোরের আলো ফুটতেই মাটির হাঁড়ি পাতিল তৈরি করে রোদে শুকাতে দিচ্ছে কুমাররা, কেউ বা ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন সামগ্রী তৈরীতে, কেউ বা করছেন রং এভাবেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মব্যস্ততা।

পালপাড়ায় গিয়ে কথা হয় মায়া রাণীর সাথে তিনি জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে মাটির তৈজসপত্র তৈরী করে আসছেন তিনি। আগে মাটির সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন আর তেমন কোন চাহিদা নেই, তাই শীত মৌসুমে পিঠাপুলির সামগ্রী তৈরী করেই কোনোমতে চলছে তার সংসার।

এমনিতেই ব্যবসা চলে কম তার উপরে নেই রাস্তাঘাট তাই গৌড়িপুর পালপাড়া থেকে নিমাইচড়া বাজার পর্যন্ত পাকা সড়কের দাবি জানান তিনি।

মৃৎপাত্র পোড়ানোর সময় কথা হয় দুলাল পালের সাথে কথা হইলে তিনি জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে বাপ-দাদার শেখানো পেশায় কাজ করছেন। আগের দিনে বাজারে মৃৎপাত্রের প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন অনেকটাই কম। অন্য কোন কাজ না জানায় এই পেশাই আঁকড়ে ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।

দুলাল পাল আরও বলেন, পেশাগত প্রয়োজনে ব্যাংক ঋণ পাননা তারা। সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ পেলে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন তিনি। স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা মনে করেন, ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্পকে বাঁচাতে সরকারের বহুমুখী উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন।

কথা হয় বিকাশ পাল, সম্বল পাল, দরদী পাল ও সুবর্ণা পালের সঙ্গে, তারা এই প্রতিবেদককে জানান, এক সময়ে এই গ্রামে মৃৎশিল্পের রমরমা ব্যবসা ছিল। আগে গৌড়িপুর গ্রামে প্রায় ১১০টি ঘর মৃৎশিল্পের কাজ করতো কিন্তু বর্তমানে বেশির ভাগ পালরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় এখন ১০-১৫ টি ঘরে প্রায় ৩০-৩৫ জন পাল এই কাজের সাথে জড়িত বলে জানান তারা।

তারা আরও জানান, মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা সরকারি কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা বা প্রণোদনা কোন দিন পেয়েছেন কি না তা তাদের জানা নেই। তারা বলেন, এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও মৃৎশিল্পীদের শিল্প জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যদি আধুনিক করে গড়ে তোলা যায় তা হলেই কেবল গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব বলে তারা মনে করেন।

কথা হয় গোপাল চন্দ্রপালের সঙ্গে তিনি বলেন, আগের দিনে মৃৎশিল্পের প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন এঁটেল মাটি, রঙ, যন্ত্রপাতি ও জ্বালানি ছিল সহজলভ্য। কিন্তু বর্তমানে এসব প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা এখন হিমশিম খাচ্ছেন। তারা জানান, পূর্বে যেখানে বিনামূল্যে মাটি সংগ্রহ করা যেত বর্তমানে সেই মাটি ১০-১২ হাজার টাকায় কিনতে হয়। আগে খড় কিনতে তাদের কোন টাকা পয়সা লাগতো না, এখন সেই এক বুঝা খড় ৩০০ টাকায় কিনতে হয় তাদের।

গোপালচন্দ্র পাল বলেন, বর্ষা মৌসুমে তাদের হাতে তেমন কোন কাজ না থাকায় সে সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি সংগ্রহ করে থাকেন তারা। তবে অনেক সময় মাটি কিনতে আইনি জটিলতায় পড়তে হয় তাদের।

বাড়ির উঠোনে পাত্রগুলোতে রং করতে দেখা যায় উজ্জ্বল কুমার পালকে, তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সাধারণত মৃৎপাত্রগুলো কুমার পরিবারের নারী-পুরুষ উভয়ে মিলেমিশে তৈরি করে থাকেন। এই তৈরিকৃত সামগ্রী বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে কিনেন। অনেকে আবার বাড়ি বাড়ি ফেরি করেও বিক্রি করেন। বর্ষা মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকায় কুমারদের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ যায়। সে সময় কুমাররা সারা বছর কাজ করার জন্য এঁটেল মাটিসহ প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহে নেমে পড়েন। শুধু পাবনা নয়, গোটা দেশে এ পেশায় নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে কারও যেন কোন মাথাব্যথাই নেই।

বাড়ির উঠোনে মাটির পাত্র তৈরি করছেন অনিতা পাল ও প্রার্থনা পাল তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আগের দিনে তাদের ব্যবসা অনেক ভালো চলতো বর্তমানে মানুষ প্লাস্টিক, এ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করায় এখন কম চলে। তারা বলেন, আগে কলসিসহ বিভিন্ন তৈজসপত্র তৈরী করলেও বর্তমানে তা ব্যবহার কম হওয়ায় এখন শুধু ঝাঁঝর, কাসা, হাঁড়ি পাতিল তৈরী করে থাকেন তারা। 

এবিষয়ে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভিন সুলতানা মুক্তি বলেন, তারা কখনও আমার কাছে কোন দাবি নিয়ে আসেনি। আমি আমার এলাকার অনেক সড়কের কাজ করেছি, তাদের সড়কের বিষয়েও কাজ করার চেষ্টা করবো এবং আমি সবসময় তাদের পাশে থাকবো।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




ঠাকুরগাঁওয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের অবস্থান, চলছে কর্মবিরতি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতার সুরাহা চেয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে পৌরসভার সকল কাউন্সিলগণ। প্রতিবাদ স্বরূপ তারা দুইদিন থেকে কর্মবিরতিতে রয়েছেন। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

সোমবার (১১ মার্চ) বেলা ১১টায় কর্মবিরতিতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাইয়ূম। পৌরসভার ১৫ জনের সকলেই এই কর্মবিরতি পালন করছেন বলে তিনি জানান।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, পৌরসভায় সর্বমোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে যার কোনোটিতে কোনো উন্নয়ন নেই। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। জনগণ আমাদেরকে ভোট দিয়েছে এমন পরিস্থিতিতে এই ব্যর্থতার দায় মেয়রকে নিতে হবে। সেই সাথে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি রয়েছে। পৌরসভার হেল্প ডেস্কে সীমাহীন অব্যবস্থাপনায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পৌর নাগরিকদের। আমরা এগুলার সুরাহা ও জবাবদিহিতা চাই। এর আগে আমাদের কর্মবিরতি থামবেনা।

পৌরভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক ইসলাম বলেন, আমাদের মেয়র গত ৩ বছরে ৪৭বার ঢাকা গেছে যা সম্পূর্ণ পৌরসভার খরচে। ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো মেয়রের ইতিহাসে এমনটা নেই। নিজের ভোগবিলাসে সে পৌরসভার টাকা খরচ করে, এই টাকাতো তার নিজস্ব সম্পদ না। এরকম চলতে থাকলে আমাদের এলাকার উন্নয়ন কিভাবে হবে, আমি আমার ভোটারদের কি জবাব দিবো।

৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লুৎফর বলেন, গত দুইদিন থেকে কর্মবিরতিতে থাকার ফলে পৌরসভার কোনো কাজ করছেনা কাউন্সিলররা। এতে সেবা নিতে এসে বার বার ফিরে যাচ্ছে সেবা গ্রহীতারা। কাউন্সিলরদের এই অবস্থান বিপাকে ফেলেছে পৌরবাসীকে। দ্রুতই এই জটিলতার সুরাহা চাই।

আরেক বাসিন্দা রফিক বলেন, বেশ কয়বার আমি জন্ম নিবন্ধন এর কাগজ নিয়ে গেলেও কাজ করাতে পারিনি। জন্ম নিবন্ধন ছাড়া এখন শিশুর টিকা দেয়া যায় না। আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলরদের সাথে আলোচনা চলছে। আশাকরি দ্রুতই এর একটা সুরাহা হবে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




রোববার টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নিতে আগামীকাল রোববার (১৭ মার্চ) টুঙ্গিপাড়া যাবেন তারা। এদিকে এই সফর ঘিরে নেয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।

মুক্তির মহানয়কের জন্মবার্ষিকী। তাই তার জন্মভিটায় উৎসব আমেজ। সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজন করা হয়েছে শিশু সমাবেশ। থাকবে নাচ-গান ও কবিতা আবৃত্তি। যার অংশ হতে পেরে খুশি ক্ষুদে শিল্পীরা। ক্ষুদে শিল্পীরা জানায়, তারা জাতির পিতাকে খুব ভালোবাসে। জাতীয় শিশু দিবস তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে পারফর্ম করতে পারবে বলে আনন্দিতবোধ করছে তারা।

এরই মধ্যে শেষ হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শোভা বর্ধনের কাজ। জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। উৎসাহের কমতি নেই নেতাকর্মীদের মাঝেও। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে এরইমধ্যে নিরাপত্তাসহ সব প্রস্তুতি শেষ করেছে প্রশাসন।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে নিরাপত্তাময় ও উৎসবমুখর করার লক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, শ্রদ্ধা জানিয়ে ঢাকা ফিরবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। তবে গোপালগঞ্জে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

নিউজ ট্যাগ: গোপালগঞ্জ

আরও খবর



ফেব্রুয়ারিতে ৫৮৩ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৪৪

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে ৫৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৪ জন নিহত ও ৮৬৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭৯ জন নারী ও ৮২ শিশু রয়েছেন।

বুধবার (১৩ মার্চ) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসের দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৮৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৬ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩২ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ।

ফেব্রুয়ারি মাসের দুর্ঘটনায় ১০৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২০ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৪ জন, যা মোট নিহতের ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ।

এই সময়ে চারটি নৌ-দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। ৩৪টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত এবং ৬৬ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্টনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে বুধবার (১৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




পিরোজপুরে আইনজীবীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভা চলাকালীন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আক্রমণে পাঁচজন আইনজীবীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার পিরোজপুর কোর্ট চত্ত্বরে জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশার সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট সরদার ফারুক আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট চন্ডী চরণ পাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম ডি আউয়াল, অ্যাডভোকেট আহাসানুল কবির বাদল, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট দিলীপ কুমার মাঝি, জিপি অ্যাডভোকেট প্রেমানন্দ হালদার, অ্যাডভোকেট শ.ম হায়দার, অ্যডভোকেট শওকত, অ্যাডভোকেট তরুণ ভট্টাচার্য।

এসময় বক্তারা হামলাকারী ও হুকুম দাতাদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

উল্লখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার  জেলা আইনজীবী সমিতির তলবি সভা এবং এডহক কমিটি গঠণকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন খানের নির্দেশে বহিরাগতদের হামলায় ৫জন আইনজীবী গুরুতর আহত হয়। ওই দিন দুপুরে সভা চলাকালীন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে অ্যাডভোকেট তরুণ ভট্টাচার্য ও আহাসানুল কবির হিমুসহ আরো ১জনকে আহত করে। আহত ৩জনকে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নেয়া হয়। পরবর্তীতের আহতদের দেখতে যাওয়ার পথে আরও দুই আইনজীবী রাজ্জাক খান বাদশা ও সাইদুর রহমান টিটুকে আহত করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী সামতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলাউদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হুমায়ূণ তালুকদার, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাজাহান হাওলাদার, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলাউদ্দিন হাওলাদারসহ অজ্ঞাত ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪