আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

চাল ৪২ আর ধান ২৮ টাকায় কিনবে সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০১ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আমন মৌসুমে দেশের বাজার থেকে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান ও চাল সংগ্রহ করবে সরকার। এর মধ্যে ৫ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৩ লাখ টন ধান কেনা হবে। প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা আর ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ টাকা। এছাড়া সার কিনতে ৪৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে মঙ্গলবার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারন কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকের এ তথ্য জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের দাম ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে তাদের উৎপাদন খরচ পরবে ৪০ টাকা। আর ধানের ক্ষেত্রেও উৎপাদন খরচের চেয়ে দেড় টাকা বেশি দরে কিনবে সরকার।

১০ নভেম্বরের মধ্যেই ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে পর্যাপ্ত মজুদ করা না গেলে আমদানিতে জোর দেওয়া হবে।

মন্ত্রী জানান, এবারও আগের মতো লটারির মাধ্যমে ধান কেনা হবে এবং কৃষক সরাসরি টাকা পাবে। সেখানে মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্মের বিষয় থাকেব না। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করেই এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজারে চালের দাম এখনো বেশি কেন জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গত এক দুই মাস আগে চালের যে দাম বেড়েছিলো সেখানেই থেমে আছে নতুন করে আর দাম বাড়েনি। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত জুলাই থেকে ৫ লাখ ৩০ হাজার টন আমদানির কথা ছিলো সেখানে আমদানি হয়েছে মাত্র ১ লাখ টন। গম সাড়ে ৬ লাখ টন আমদানির কথা থাকলেও আসছে ১ লাখ টন। তবে দেশে খাদ্য সংকটের মতো পরিস্থিতি হবে না।

বিশ্বখাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার উদ্বেগের কথা জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বিষয়টি সামাল দিচ্ছেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, ওএমএসের মতো কর্মসূচিতে যে দামে খাদ্য বিক্রি করে সে দাম বাড়ানো হবে না। বাজারে যারা বেসরকারিভাবে আটা বিক্রি করে তারা বাড়িয়ে থাকে। স্বল্প আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে সরকারি পণ্যে দাম বাড়ানো হয় না।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যদি এবার বেসরাকরিভাবে গম আনতে না পারে তাহলে আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমদানির পথ আর্জেন্টিনা, কানাডাতে খোলা আছে। কম আমদানি হলে চাপ পরবে চালের ওপর। বলেন, অভ্যন্তরীণ ফসল দিয়ে আমাদের চাহিদার বড় অংশ মিটে যায়।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের টার্গেট সরকারিভাবে ১০ লাখ টন আমদানি করবো। ভিয়েতসাম মিয়েনমার থ্যাইল্যান্ড থেকে। ৫ লাখ টনের জন্য চুক্তি হয়েছে। রাশিয়ার চুক্তি হয়েছে ৫ লাখ টন গমের। যার মধ্যে ১ লাখ টন এরইমধ্যে চলে আসছে।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমন ১ কোটি ৫০ থেকে ৬০ লাখ উৎপাদন হবে এবার। এ বছর শ্রাবন মাসে একদিন বৃষ্টি হয়েছে খুব চিন্তিত ছিলাম আমরা যে ধান লাগানো যাচ্ছে না। আমন সেনসেটিভ ফসল। এর জন্য পানি জরুরি। শেষের দিকে সেচ দিয়ে মোটামুটি উৎপাদন করেছে।

সব মিলিয়ে আমনের পরিস্থিতি ভালো। আমাদের টার্গেটের চেয়ে কম হয়নি। এবার একটা বিষয় হয়েছে সেটা হলো, সাধারণত নিচু জমিতে ধান লাগানো যায় না, এবার শুষ্ক আবহাওয়া থাকায় বিলের সেই তলানিতেও আমন রোপণ করা হয়েছে এবং ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। উৎপাদন কিছুটা কম হতে পারে তাতে সমস্যা হবে না।

এবার ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণেও কোনো সমস্যা হবে না বলে আশ্বস্ত করেন কৃষিমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী কৃষি উৎপাদন বিষয়ে কোনো ঝুঁকিতে যেতে চান না। এজন্য সরকার সার কিনতে ৪৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সার কিনতে গত পাঁচ বছর যেটা ৮ হাজার কোটি টাকা করে আমরা ভর্তুকি দিয়ে আসছিলাম, সেটা গত অর্থবছর দিয়েছি ২৮ হাজার কোটি টাকা। এবার আমরা জুন পর্যন্ত স্টিমেট (প্রাক্কলন ব্যয়) করেছি, আমাদের দিতে হবে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। এ টাকা কোথা থেকে আসবে? হয় কোনো গুপ্তধন লাগবে, নয়তো আলাউদ্দিনের আশ্চর্য প্রদীপ লাগবে! বাংলাদেশ এ টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবে? তা সত্ত্বেও আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। উনি বলেছেন-এটা তোমার চিন্তার বিষয় না, আমরা কৃষি উৎপাদনের বিষয়ে কোনো ঝুঁকিতে যাব না। কৃষির উৎপাদনটাকে আমাদের সাসটেইন (দীর্ঘস্থায়ী) করতে হবে। যদি ৪৬ হাজার কোটি টাকা লাগে আমরা দেবো, তুমি সার কিনো।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাই, ইনশাআল্লাহ সারের কোনো সংকট হবে না। কাজেই প্রকৃতি যদি আমাদের সহায়ক থাকে, বোরোতেও কোনো ঝুঁকি হবে না এটুকু আমি আপনাদের বলতে পারি।

গত বছর অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৪০ টাকা চাল আর ২৭ টাকা দরে ধান সংগ্রহ করা হয়। এবার বেশি কেন এমন প্রশ্নের জবাব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, আমরা একটা জিনিস হিসাব করেছি যে, কৃষকের উৎপাদন খরচ আসলে কত। সেটা চিন্তা করেই ৪২ টাকা দামটা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিন্তার কোনো কারণ নেই কোনো কৃষককে ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত করা হয়নি। একটা স্বস্তিদায়ক দামই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক-মাধ্যমিকে অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছে শিক্ষা প্রশাসন? এমন প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি জবাব মেলেনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া এবং বিকল্প উপায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালানোর কথা জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারককারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।

শিক্ষা প্রশাসন বলছে, তীব্র গরমে ছুটি বাড়ানো কিংবা অনলাইনে ক্লাস নেওয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এ নিয়ে আলোচনা করেনি। আলোচনা চললেও প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও।

তবে মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদরাসা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে জোর আলোচনা রয়েছে। হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে ক্লাস চালু করতেও মত দিচ্ছেন অনেকে। পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টসহ ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা করতে পারেএমন কাজ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তারা।

তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা বা খোলা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত।

তিনি বলেন, ছুটি বাড়ানো, ক্লাস কমিয়ে হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে নেওয়া কিংবা অনলাইনে ক্লাস চালু করাসব বিষয় সামনে রেখেই আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। যে সিদ্ধান্তই আসুক, তা শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক হবে। নেতিবাচক সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।

অন্যদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি আর বাড়ছে না বলেই জানিয়েছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাপপ্রবাহ যদি না কমে, সেক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে। শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে অ্যাকটিভ (সক্রিয়) রাখার জন্যও শিক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। আলাপ-আলোচনা চলছে। ক্লাস একেবারে বন্ধ রাখার চেয়ে অনলাইন ক্লাস কিংবা বাড়ির কাজ (অ্যাসাইনমেন্ট) দিয়ে শিক্ষার্থীদের কীভাবে পড়ালেখার মধ্যে রাখা যায় সেটা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে কোনো ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।


আরও খবর



ইসরায়েলের কোনও দূতাবাস নিরাপদ নয়: ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হওয়ার পর কোনো ইসরায়েলি দূতাবাস আর নিরাপদ নয়’।

খবর অনুসারে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়।

ইরানের বার্তা সংস্থাটি একটি গ্রাফিকসও প্রকাশ করেছে যাতে দাবি করা হয়েছে, নয় ধরণের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছাড়াও ছয়জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের আরেক জেনারেল আছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, কূটনৈতিক মিশনে দিবালোকের এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অনুশোচনা’ করিয়ে ছাড়বে তেহরান।


আরও খবর



আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন ৩ বিচারপতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তারা হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার তারা শপথ নেবেন বলে জানা গেছে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

এদিকে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন।

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে ৫ জন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন করে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল ৮ জন।


আরও খবর



বিরল ঘটনাটি স্থায়ী হবে ৩ মিনিট ৪০ সেকেন্ড

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

আগামীকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) ভরদুপুরে বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সময় চাঁদের ছায়া সূর্যকে তিন মিনিট ৪০ সেকেন্ড সম্পূর্ণ ঢেকে রাখবে। পূর্ণগ্রাস এই সূর্যগ্রহণের সময় উত্তর আমেরিকার তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান অন্ধকারে ছেয়ে যাবে। এ ধরনের বিরল আরেকটি ঘটনা দেখতে মানবজাতিকে অপেক্ষা করতে হবে ২০৪৪ সাল পর্যন্ত। বিরল এ সূর্যগ্রহণ দেখতে প্রস্তুত এসব দেশের কোটি মানুষ।

বেলা ১টা ৫২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে শুরু হয়ে ধীরে ধীর সূর্যকে ঢাকতে থাকবে চাঁদ। তবে ৩টা ৭ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে পূর্ণগ্রাস শুরু হয়ে শেষ হবে ৩টা ১১ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে। অর্থাৎ তিন মিনিট ৪০ সেকেন্ড স্থায়ী হতে পারে মহাজাগতিক ঘটনাটি।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরল রেখায় অবস্থান করে যে চাঁদ সূর্যের আলোকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়। এ সময় কয়েক মিনিটের জন্য আকাশ এতটাই অন্ধকার হয়ে যায় যে মনে হয় সেটা রাতের আকাশ। আর একেই বলা হয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগামী ৮ এপ্রিল যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে এমনটি আগামী দুই দশকে আর দেখা যাবে না। তবে আশঙ্কা রয়েছে বিরল এই সূর্যগ্রহণটি মেঘ ও বজ্রঝড়ে ঢাকা পড়তে পারে।

এদিকে, প্রায় সাড়ে চার দশক পর প্রথমবারের মতো বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে কানাডাবাসী। পূর্ণাঙ্গ এই সূর্যগ্রহণ দেখতে দেশটির নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কাজে জড়ো হতে পারে অন্তত ১০ লাখ দর্শনার্থী।

বিরল এই সূর্যগ্রহণ সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে মেক্সিকোর মাজাটলান, টরিওন; টেক্সসাসের সান অ্যানটোনিও, অস্টিন, অকো, ফর্ট ওর্থ এবং ডালাস, আরকানসাসের লিটল রকি, মিসৌরির এটি লুইস, কেন্টাকির লুইসভিলে, ইন্ডিয়ানার ইন্ডিয়ানাপোলিস, কলম্বাবাসের ডেটন, ওহিওর টোলেডো এবং কেলিল্যান্ড, মিশিগানের ডেট্রয়েট, পেনসিলভানিয়ার ইরি, নিউ ইয়র্কের বাফেলো, রোসেস্টার এবং সিরাকাস এবং কানাডার হেমিলটন, টরেন্টো ও মন্ট্রিয়াল থেকে দেখা যাবে এই বিরল সূর্যগ্রহণ।

তবে বিরল সূর্যগ্রহণ দেখা নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পূর্ণ এই সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এক্ষেত্রে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য বিশেষ ধরনের গ্লাস দিয়ে এটি দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। সাধারণ কোনো সানগ্লাস এ ক্ষেত্রে নিরাপদ হবে না। এজন্য বিশেষভাবে তৈরি সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে।


আরও খবর



যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। নারী-শিশু-সব বয়সী মানুষ এর শিকার হয়ে জীবন দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) সম্মেলনের ৮০তম সেশনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনো বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে, তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এ সময় রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলা ও মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিলো মানবিক প্রেক্ষাপট থেকে। কিন্তু তারাই বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।


আরও খবর