করোনার কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা
২১ মাস ছাড়ের পরিকল্পনা করছে সরকার। তবে চাকরিপ্রত্যাশী একদল তরুণ চাকরির বয়সসীমা ৩২
বছর করার দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে তারা বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর না
করা হলে আগামী ২১ আগস্টের পর শাহবাগে লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রয়োজনে আমরণ
অনশন।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করার
দাবিতে এর আগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী,
শিক্ষামন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি ও খোলা
চিঠিও দেয়া হয়েছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের পক্ষে পাবনা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থী মো. মানিক হোসেন রিপন বলেন,
সরকারের পক্ষ থেকে করোনায় বয়সজনিত ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে, এটি ভাল। তবে
ব্যাকডেট দেয়ার মাধ্যমে চাকরিপ্রত্যাশীদের ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব নয়। করোনা শুধুমাত্র
৩০ বছর অতিক্রম করে যাওয়া চাকরিপ্রত্যাশীদেরই ক্ষতি করেনি, বরং সকল বয়সীদের ক্ষতি
করেছে।
যেসব শিক্ষার্থী বিগত দেড় বছর ধরে অনার্স
বা মাস্টার্স পর্যায়ে আটকে আছে তারাও সমান ভুক্তভোগী। কেননা তারাও তাদের বয়স থেকে
২টি বছর হারিয়ে ফেলেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে জগন্নাথ
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থী মারজিয়া মুন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালে
নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লিখিত প্রতিশ্রুতি ছিল বাস্তবতার নিরিখে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা
বৃদ্ধির বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। করোনা জীবনের যে সময় কেড়ে নিচ্ছে
এর চেয়ে বড় বাস্তবতা আর কী হতে পারে। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির বছরে
উপহার হিসেবে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩২ বছর করার
দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত
ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তানভীর হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান।