আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

চাকরির সুযোগ দিচ্ছে বাংলালিংক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চাকরির খবর

Image

বেসরকারি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকে ইন্টিগ্রেটেড নেটওয়ার্ক লিড ইঞ্জিনিয়ার’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলালিংক

পদের নাম: ইন্টিগ্রেটেড নেটওয়ার্ক লিড ইঞ্জিনিয়ার

পদসংখ্যা: ০১ জন

শিক্ষাগত যোগ্যতা:বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স/টেনিকমিউনিকেশন)

অভিজ্ঞতা: ০৬-১০ বছর

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

চাকরির ধরন: ফুল টাইম

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ

বয়স: নির্ধারিত নয়

কর্মস্থল: ঢাকা

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা www.banglalink.bdjobs.com এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

নিউজ ট্যাগ: চাকরির খবর

আরও খবর



ইসরায়েলে যেভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তায় এত ধস আগে কখনো নামেনি। ১৪ নভেম্বর একটি জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলের ইহুদিদের মধ্যে তাঁর জনসমর্থন মাত্র ৪ শতাংশের মতো। এমন পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর বিরোধী, এমনকি তাঁর ঐতিহাসিক মিত্ররাও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাত শেষে তাঁর পদত্যাগ চাইছেন।

 ইসরায়েলের কোনো প্রধানমন্ত্রীই নেতানিয়াহুর মতো এমন নড়বড়ে অবস্থায় পড়েননি বলে মনে করেন ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ খালেদ এলগিনদি। তিনি বলেন, নেতানিয়াহুর আমলে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গোয়েন্দা ব্যর্থতার মুখে পড়েছে ইসরায়েল। এতে করে রাজনৈতিক জীবনে যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অবশ্য আগে থেকেই সমালোচনার মুখে ছিলেন নেতানিয়াহু। গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনে জিতে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থী সরকার গঠন করেন তিনি। এরপর দেশটির বিচারব্যবস্থায় সংস্কারের চেষ্টা করে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, এরপরও ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর যেটুকু সমর্থন ছিল, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর তার প্রায় সবই হারিয়েছেন তিনি।

জিম্মিদের উদ্ধারে ব্যর্থতা

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যায় নিয়ে যান হামাস সদস্যরা। এসব ঘটনার জন্য ইসরায়েলের ৯৪ শতাংশ মানুষ নেতানিয়াহু সরকারকে অন্তত আংশিক দায়ী করছেন।

হামাসের সঙ্গে সংঘাত শুরুর কয়েক দিন পরই ইসরায়েলের জনগণের বড় একটি অংশ মনে করত, সংঘাত শেষে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত। নেতানিয়াহুকে নিয়ে তাদের এই অসন্তোষ পরে বেড়েছে বৈকি কমেনি। বেশির ভাগ সমালোচনা হয়েছে হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্ত করার ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর আগ্রহের ঘাটতি নিয়ে।

গত শুক্রবার এমন দুই জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েল। এর আগে কাতারসহ কয়েকটি দেশের মধ্যস্থতায় আরও চার জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। তবে সাময়িক যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বেশিসংখ্যক জিম্মিকে মুক্ত করার হামাসের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। বলেছেন, সব জিম্মিকে মুক্তি দিলেই কেবল গাজায় হামলা বন্ধের বিষয়টি ভাববেন তিনি।

গাজায় হামলার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুকেই সমর্থন দিয়ে আসছেন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ জাচারি লকম্যান বলেন, ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তবে বাইডেন প্রশাসনের ধৈর্য একসময় শেষ হয়ে যেতে পারে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, ইউরোপসহ অন্যান্য অঞ্চলেও যুদ্ধবিরতির পক্ষে জনসমর্থন বাড়ছে।

দলের ভেতর অসন্তোষ

নেতানিয়াহু হয়তো এখন বাইডেনের সমর্থন পাচ্ছেন, তবে তাঁর নিজের ঘাঁটিই নড়বড়ে হয়ে পড়ছে। ইসরায়েলের নেতিভত শহরে নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টিসমর্থিত মেয়র ইয়েহিয়েল জোহার সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেন, সংঘাত শেষের পর লিকুদ পার্টির ভেতরে বড় একটি দল থাকবে, যারা বতর্মান পরিস্থিতি বদলে দেবে।

নেতানিয়াহুকে নিয়ে লিকুদ পার্টির মধ্যে অসন্তোষ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অনেকেই দল ছেড়ে যাচ্ছেন। এমনই একজন দলের সদোত নেগেভ আঞ্চলিক কাউন্সিলের প্রধান তামির ইদান। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সময় তিনি লিকুদ পার্টির সদস্য কার্ড ছিঁড়ে ফেলেছেন।

ইসরায়েলের গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে ইসরায়েল হাইয়োম নামে ডানপন্থী একটি সংবাদপত্র প্রায়ই নেতানিয়াহুকে সমর্থন দিয়ে থাকে। সেই সংবাদপত্রও লিখেছে, এই ব্যর্থতার দায় আপনাকে (নেতানিয়াহু) নিতে হবে এবং এটি আপনি অন্য কারও ওপর চাপাতে পারবেন না।

এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র কট্টর ডানপন্থীদের সমর্থনেই নেতানিয়াহু সরকার টিকে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তারা নেতানিয়াহুকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে তারা গাজা পরিস্থিতির দিকে সবার দৃষ্টি থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে পশ্চিম তীরে অভিযান চালাচ্ছে।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ খালেদ এলগিনদি বলেন, নেতানিয়াহু তাঁর রাজনৈতিক জীবন বাঁচাতে লড়াই করছেন। সবার নজর গাজার দিকে। এই সুযোগে জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচের মতো কট্টর ডানপন্থীরা পশ্চিম তীরে যা খুশি তা-ই করতে পারছেন। সেখানে বসতি স্থাপনকারীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে। একই কাজ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। খুব কম মানুষের নজর সেখানে রয়েছে। তাই কট্টর ডানপন্থীরা পশ্চিম তীরে তাঁদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন।

তবে এখানেও ফাটল দেখা দিচ্ছে। গত শুক্রবার গাজায় প্রতিদিন দুই ট্রাক জ্বালানি প্রবেশের অনুমোদন দেয় নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন সরকারের মন্ত্রিসভা। যদিও এই জ্বালানি গাজার ২৩ লাখ মানুষের জন্য খুবই সামান্য বলে মনে করা হচ্ছে। এরপরও ইসরায়েল সরকারের এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন বেন-গভির ও স্মোত্রিচ।

শিকারে প্রস্তুত বিরোধীরা

ইসরায়েলে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন নেতানিয়াহু। এ সময় তাঁর অনেক শত্রু তৈরি হয়েছে। নেতানিয়াহুকে শিকারে একপ্রকার মুখিয়ে রয়েছেন তাঁরা। এমনই একজন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গাৎস। নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা যতই কমছে, ততই উত্থান হচ্ছে তাঁর।

গাৎস বর্তমানে নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। নেতানিয়াহু হামাসের হামলার দায় ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও সামরিক বাহিনীর ওপর চাপালে, তাঁর কড়া সমালোচনা করেন গাৎস। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ জাচারি লকম্যানের মতে, ইসরায়েলে দীর্ঘদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদ দখলের স্বপ্ন দেখছেন গাৎস।

লকম্যানের ভাষায়, ইসরায়েলের রাজনীতির কেন্দ্রে গাৎস নিজেকে এমন একজন নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন, যিনি ডান, বাম ও মধ্যপন্থীদের এক ছাতার নিচে আনতে পারবেন। আর নেতানিয়াহুর মতো অনেক বোঝাই তাঁকে বইতে হচ্ছে না। যেমন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা রয়েছে, যা গাৎসের নেই।

১৪ নভেম্বরের এক জরিপে অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, নেতানিয়াহু, নাকি গাৎসকাকে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেশি যোগ্য মনে করেন? দেখা যায়, জরিপে নেতানিয়াহুর চেয়ে ২২ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন গাৎস। তবে তিনি নেতানিয়াহুকে সরাতে পারবেন কি না, তা এখনই সুর্নিদিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ, হামাসের হামলার পর তিনি নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছেন। নেতানিয়াহুর অনেক সমালোচক এই কাজ করেননি।

নেতানিয়াহুর আরেকজন বিরোধী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ। গত বুধবার তিনি দাবি তুলেছেন নেতানিয়াহুকে সরিয়ে লিকুদ পার্টির অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার। খালেদ এলগিনদি বলেন, আগে সংঘাত শেষের পর নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছিল। তবে এখন সংঘাতের সমাপ্তির আগেই তাঁর পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে।

তবে রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার ইতিহাস আছে নেতানিয়াহুর। গত বছরের নির্বাচনে এ দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগ ঘাড়ে নিয়েও নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। খালেদ এলগিনদি বলেন, আমার মনে হয় না রাজনৈতিকভাবে বর্তমান পরিস্থিতি সামলে উঠতে পারবেন নেতানিয়াহ। হামাসের হামলা ও জিম্মিদের নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এমনকি ৭ অক্টোবরের আগে থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা কমছে। এরপরও এসব সমস্যা সামাল দেওয়ার কৌশল যদি কারও জানা থাকে, তিনি শুধু নেতানিয়াহুই।


আরও খবর



দুই দিনের মধ্যেই বকেয়া বেতন পাচ্ছেন নারী ক্রিকেটাররা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image
গত জুন মাসের বৈঠক শেষে দেশের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসে। সব ক্যাটাগরিতেই বাড়ানো হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ করে। কিছু ক্ষেত্রে ২০ শতাংশের বেশি।

দেশের পুরুষ ক্রিকেট দল যখন বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে একের পর এক ম্যাচ হেরে দেশকে হতাশায় ডুবিয়েছেন, ঠিক তখন নারী ক্রিকেটাররা দিয়েছেন খানিক স্বস্তির সুবাতাস। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজে জয় পেয়েছিল জ্যোতি-ফারজানারা। তবে এর মাঝেও ছিল আক্ষেপ। লম্বা সময় ধরে বেতন পাচ্ছেন না নারী ক্রিকেটাররা, এমন অভিযোগও শোনা গিয়েছিল জোরেশোরে।

বলা হচ্ছিল, গত ৫ মাস বেতন হচ্ছে না নারী ক্রিকেটারদের। এটা সত্য কিনা জানতে যোগাযোগ করা হয় বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরি নাদেলের সঙ্গে। জবাবে তিনি বলেন, 'এটা সত্য আসলে। তবে আমি বিষয়টি জানতাম না, বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। ৫ মাস আগে নতুনভাবে বেতনের তালিকা দিয়েছিলাম, এরপর বোর্ডে এপ্রুভ করার পরে হবে বেতন। আমরা তো দিয়ে দিয়েছি সব। আমাকে কেউ আসলে আর ইনফর্ম করেনি পরে।'

নাদেলের সঙ্গে বিসিবি সভাপতির নির্দেশ দ্রুত এর সমাধান করার, 'এটা বোর্ড থেকেই পরে একাউন্টসে পাঠানোর কথা। তবে মেয়েরা এটা নিয়ে কোনো কথা বলে নি, কোনো ইস্যু বানায়নি। তাদের সাথে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। বোর্ডে আমার পক্ষ থেকে যা দেওয়ার সেটা আমি দিয়েছি। সিইওকে বলেছি দ্রুত এর সমস্যা সমাধান করতে। পাপন ভাইকেও বলেছি, ওনিও এটার সমাধানের জন্য আদেশ দিয়েছেন।

তাহলে কবে নাগাদ এই বকেয়া বেতন পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা এমন প্রশ্নে নাদেল বলেন, 'বলা যাচ্ছে কাল পরশুর মধ্যেই মেয়েরা বকেয়া বেতন পেয়ে যাবে। দুই দিনের মধ্যেই তারা বেতন পেয়ে যাবে।'

উল্লেখ্য, গত জুন মাসের বৈঠক শেষে দেশের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসে। সব ক্যাটাগরিতেই বাড়ানো হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ করে। কিছু ক্ষেত্রে ২০ শতাংশের বেশি। একই সঙ্গে সবগুলো রাউন্ড ফিগার করে দেওয়া হয়েছে।

আগে 'এ' ক্যাটাগরিতে ছিল ৮০ হাজার, সেটা বর্তমানে এক লাখ। বি ক্যাটাগরি ৬০ হাজার থেকে এখন ৭৫ হাজার, সি ক্যাটাগরি ৩৫ হাজার থেকে এখন ৫০ হাজার ও ডি ক্যাটাগরি ২৫ হাজার থেকে এখন ৩০ হাজার টাকা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে ম্যাচ ফিও। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ম্যাচে ৫০ হাজার এবং ওয়ানডে ম্যাচের ফি এক লাখ টাকা করা হয়েছে। আগে অবশ্য ম্যাচ ফি দেওয়া হতো ডলারে। টি-টুয়েন্টিতে ১৫০ ডলার এবং ওয়ানডেতে ৩০০ ডলার ম্যাচ ফি পেত মেয়েরা।


আরও খবর



সোনারগাঁওয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ১২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় নির্বাচনী বাগবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ ১২জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এর আগে বুধবার রাতে নির্বাচনী বাগবিতণ্ডার জেরে সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনের টেক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য ওসমান গণি ও ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শুক্কুর মাহমুদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ দ্বন্দ্বের জের বর্তমানেও চলছে। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সারের মনোনয়ন নিয়ে বুধবার রাতে ইউপি সদস্য ওসমান গণির ছেলে মেহেদী হাসান, জাকারিয়ার সঙ্গে শুক্কুর মাহমুদের সমর্থক বাবুলের জেরে কথা কাটাকাটি ও তর্কবিতর্ক হয়। এ নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন টেঁটা, বল্লম, রামদা, হকিস্টিক, লোহার রড, চাপাতি নিয়ে একে অপর পক্ষের ওপর হামলা করে।

হামলায় ইউপি সদস্য ওসমান গণির পক্ষের রমিজউদ্দিন, মোসলেউদ্দিন, চাঁন বাদশা, বাহাউদ্দিন, স্বপন, মোক্তার, মেহেদী ও শুক্কুর মাহমুদের পক্ষের কামরুল ইসলাম, ওমর আলী , আব্দুল হক, হামিদ আলী, দেলোয়ার হোসেন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

শুক্কুর মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওসমান মেম্বারের পক্ষের জাকারিয়া জাতীয় পার্টির নেতা। তিনি জাতীয় পার্টির এ ওয়ার্ডের সভাপতি। সোনারগাঁও আসনে আবদুল্লাহ আল কায়সার মনোনয়ন পেয়েছেন। এ বছর ও তিনি মনোনয়ন ধরে রাখতে পারবেন না এমন মন্তব্য নিয়ে তার পক্ষের বাবুলের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। সকালে পুনরায় হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় তার পক্ষের টেঁটাবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়েছে।

সোনারগাঁ থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, হামলা ও সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনয় মামলা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



‘ফ্রিস্টাইলে’ স্বতন্ত্র প্রার্থী রাখবে না আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image
যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছিলেন তারা কোনো অবস্থাতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন না। কেউ করলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

কৌশলগত কারণে স্বতন্ত্র বা ডামি প্রার্থীর বিষয়ে নমনীয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত একেবারে ফ্রি স্টাইলে রাখবে না আওয়ামী লীগ। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট করতে আপাতত এমন সিদ্ধান্ত থাকলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে তৃণমূলে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেবে দলটি। সেখানেই স্পষ্ট করা হবে কোথায় বা কারা হতে পারবেন ডামি প্রার্থী। এর বাইরে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করলে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে দলের সেই অবস্থানও স্পষ্ট করা হবে। এর সঙ্গে রয়েছে জোট শরিক ও মিত্রদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়টিও। শরিকদের ছেড়ে দেওয়া আসনে দলের প্রার্থী বা ডামি প্রার্থী রাখা হবে কিনা তাও সুনির্দিষ্ট করবে দলটি। তবে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে আরও কিছু সময় নিতে চায় ক্ষমতাসীন দলের হাইকমান্ড।

দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, সময়ের ব্যবধানে কৌশল ও সিদ্ধান্ত সুনির্দিষ্ট করেই প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে। সেটা মেনেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্বাচন করবেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নয়, ডামি প্রার্থীর কথা বলা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী আর ডামি প্রার্থী এক জিনিস নয়। ডামি প্রার্থী জেতার প্রার্থী নয়। এটা বলা হয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাতে নির্বাচন না হয় সেজন্য। আর স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাখ্যা অন্য জিনিস। নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করতে অনেকেই ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছিলেন তারা কোনো অবস্থাতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন না। কেউ করলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এ বিষয়ে তৃণমূলকে সহজ-সরল ভাষায় পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেওয়া হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগ চায় উৎসব ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে নির্বাচন হোক। স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়ানোর বিধান আছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আগ্রহ আছে, তাদের অনেকেই মনোনয়নপত্র কিনেছেন। কৌশলগত কারণে দলের পক্ষ থেকে অনেক কথা বলা হয়। আবার কৌশলগত কারণেই আমরা সুনির্দিষ্ট রূপরেখা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। ফলে সময়ের ব্যবধানে কৌশল ও সিদ্ধান্ত সুনির্দিষ্ট করেই নির্দেশনা দেওয়া হবে। সেটা মেনেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্বাচন করবেন। ফলে এটা নিয়ে চিন্তিত বা বিচলিত হওয়ার সময় এখনো হয়নি।

তিনশ আসনের বিপরীতে ৩৩৬২টি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছিল আওয়ামী লীগ। প্রতিটি আসনে গড়ে প্রার্থী ছিল ১১ জনের বেশি। তাদের মধ্যে ২৯৮ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে দলটি। ফলে প্রতি আসনে অন্তত ১০ জন দলের মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। বিএনপিবিহীন ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বাধা দেওয়া হবে না-এমন ইঙ্গিত আসার পর জেলায় জেলায় নৌকার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মনোনয়নবঞ্চিত বর্তমান এমপিসহ দলের নেতাদের অনেকেই। এতে তৃণমূলে তৈরি হচ্ছে সংকট। দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী এবং দলেরই স্বতন্ত্র নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্তি নেতাকর্র্মীরা। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর গত তিন দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি লাগাম টানা না গেলে ভয়াবহ কোন্দলে বিপর্যস্ত হবে দলের তৃণমূল।

এছাড়া নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত রাখলে অনেক স্থানেই দলের প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা কমে যাবে। কারণ একই আসনে দলের একাধিক প্রার্থী থাকলে আওয়ামী লীগের ভোট ভাগ হবে। আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, বিএনপি ও তাদের মিত্ররা ভোটে না থাকলে, তাদের সমর্থকরা যারা ভোট দিতে আসবেন তাদের অনেকেই নৌকার বিরুদ্ধে যে প্রার্থী দাঁড়াবেন তাকে ভোট দেবেন। ফলে দলের প্রার্থীরা একটা বড় ধরনের চাপে পড়বেন।

তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দলের প্রার্থীদের অসুবিধার বিষয়টিও তারা গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। ডামি প্রার্থীর সুযোগ নিয়ে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ তারা দেবেন না। এখনো তো সময় আছে। সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনা করেই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে দলের প্রার্থীদের এখনই শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

দলীয় সূত্র বলছে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা এড়াতে ডামি প্রার্থীর কথা বলা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে-ভোটের আমেজ ধরে রাখা এবং ভোটে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানো। তার মানে এই নয়, দলের এমপি-নেতা যে কেউ চাইলেই যে কোনো আসনে নির্বাচন করতে পারবেন। ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত কোন আসনে কোন দলের কতজন প্রার্থী থাকে সেই বিষয়টি দেখেই আসনভিত্তিক আলাদা সিদ্ধান্ত নেবে তারা। সব আসনেও রাখা হবে না ডামি প্রার্থী। পরিস্থিতি বিবেচনায় দলের এই সিদ্ধান্তগুলো সুনির্দিষ্ট করা হবে। যারা নির্দেশনা মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর



পাকিস্তানে শপিংমলে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৯

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানে একটি শপিংমলে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। শনিবার (২৫ নভেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

স্থানীয় সংবাদামাধ্যমে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের শহর করাচির একটি শপিংমলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জিও নিউজ জানিয়েছে, শনিবার সকালে জনপ্রিয় এ শহরের বহুতলবিশিষ্ট আরজে শপিংমলে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস অন্তত ৫০ জনকে ভেতর থেকে উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া অনেকে এখনও ভবনের ভেতরে আটকা রয়েছেন। 

আরও পড়ুন>> নিজেদের তৈরি যুদ্ধবিমানে উড়লেন মোদি

করাচির মেয়র মুর্তাজা ওয়াব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পর নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। এ ছাড়া এ ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর