দেশের আলোচিত
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে যুক্ত হয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। প্রতিষ্ঠানটির
প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন
১ জুন।
ইভ্যালি নিয়ে
জল ঘোলা হওয়ার পর গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
এরপর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে যোগাযোগ করা হয় শবনম ফারিয়ার সঙ্গে। ইভ্যালি নিয়ে তার
অবস্থান জানতে চেয়েছেন অনেকে।
নিজের অবস্থান
ব্যাখ্যা করেছেন এ অভিনেত্রী। লিখিত বার্তায় জানিয়েছেন, জুলাইয়ের পর দাপ্তরিক কোনো
কাজ ছিল না ফারিয়ার। তাই আগস্টে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
বার্তার শুরুতে
শবনম ফারিয়া লেখেন, ‘দুদিন ধরে খেয়াল করছি আমার সঙ্গে কথা না
বলে কেউ কেউ বিভিন্ন রকমের সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করছে। সেসব খবরের শিরোনাম দেখে ভেতরের
খবর না পড়ে মন্তব্য করতে কিছু মানুষের সম্ভবত খুব ভালো লাগে! যা সত্যি খুবই দুঃখজনক।
তিনি আরও লেখেন,
‘ক্যারিয়ারের শুরু
থেকে আমি অনুভব করি, গণমাধ্যমকর্মীদের কেন যেন আমার প্রতি বিশেষ ভালোবাসা আছে। তবে
কয়েকজন কারণে অকারণে আমাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশে বিশেষভাবে আগ্রহী থাকেন। সম্ভবত আমি
সবসময় কল রিসিভ রিসিভ করতে পারি না, ভনিতা করি না, কাউকে তেলানোর ক্ষমতা আমার নেই এমন
আরও কিছু কারণ থাকতে পারে। তাই বেশির ভাগ সাংবাদিক ভাইদের প্রিয় তালিকায় আমার নাম
একদম শেষের দিকে।
ইভ্যালির প্রসঙ্গে
ফারিয়া উল্লেখ করেন, ‘কিছু বিষয় এখন পরিষ্কার করার সময় এসেছে।
আমি জুন-জুলাই দুই মাস তাদের গণসংযোগ বিভাগে কাজ করেছি। আমি সেখানে যোগদানের ১৫ দিন
পর থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি রিপোর্ট চলে আসায় তাদের কার্যক্রম অনেকটাই কমে এসেছিল।
জুলাইয়ের পর আমার দাপ্তরিক কোনো কাজই ছিল না! তাই আগস্টে আমি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে
আসি।
আপনাকে দেখে কেউ
অর্ডার করে থাকলে তাতে আপনার মতামত কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে ফারিয়া বলেন, ‘আমি যোগদানের
পরের সপ্তাহ থেকেই ‘সাইক্লোন অফার’ বন্ধ হয়ে ‘টি-টেন’ চালু হয়েছে। যেটি ছিল, যেখানে পণ্য পেলেই
টাকা দেবে! সুতরাং আমাকে দেখে অর্ডার দিয়ে ফেঁসে যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। কেউ নিজেকে
এসব বলে সান্ত্বনা দিলে কিংবা নিজ স্বার্থ হাসিলে শুধু হেনস্তা করার জন্য আমাকে টানলে
আমার সত্যিই কিছু বলার নেই।
আমি কখনো প্রকাশ্যে
এ প্রতিষ্ঠানের প্রমোট করিনি উল্লেখ করে এ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘কখনো বলিনি আপনারা
বিশ্বাস রাখেন কিংবা আস্থা রাখেন। কারণ সেখানে দাপ্তরিক কাজের বাইরে আমার কোনো কিছু
প্রচার প্রকাশের কোনো চুক্তি ছিল না। যেহেতু আমি পেশায় অভিনেত্রী সুতরাং আমাকে কোনো
কোম্পানির প্রচারে কাজে অংশ নিলে আলাদা সম্মানী দিতে হয়। সেখানে সেই সুযোগ নেই।
চাকরি ছাড়ার পর
আপনি জানাননি কেন? উত্তরে ফারিয়া বলেন, ‘আমি অহেতুক আলোচনার
অংশ হতে চাইনি। আরিফ আর হোসাইন ভাই যখন বললেন, আর এখানে কাজ করছেন না। তখনও তাকে নিয়ে
ট্রল করল। চাকরি ছাড়লেও সমস্যা, কাজ করলেও সমস্যা! কোথায় যাব? অপ্রয়োজনীয় আলোচনার
অংশ হতে ভালো লাগে না। কিন্তু আমার ভাগ্য এত খারাপ, কেন যেন আমারই সবসময় আলোচনা-সমালোচনায়
পড়তে হয়।
প্রশ্ন রেখে ফারিয়া বলেন, ‘কিছু গণমাধ্যম লিখছে, আমি নাকি অভিযোগ করেছি বেতন পাইনি! কাকে অভিযোগ করেছি? কখন অভিযোগ করেছি? কিভাবে করেছি? এই প্রমাণ কেউ দিচ্ছে না! আমার অভিযোগ থাকলে সেটা আমি প্রতিষ্ঠানটির এইচআর ডিপার্টমেন্টে করব। সাংবাদিক ভাইদের কেন করব? তারা কি আমাকে বেতন দেবে?