আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

চা-চাষে সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে নীলফামারীতে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চা-চাষে সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে দেশের উত্তরের জেলা নীলফামারীতে। কিশোরগঞ্জ উপজেলার কেশবা, নিতাই ও বাড়িমধুপুর এলাকার কয়েকজন গড়ে তুলেছেন চা বাগান। এক বছরের মাথায় বাগান থেকে তুলছেন চা-পাতা। তবে কোম্পানিগুলোর কাছে পাতা বিক্রি করে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশ উৎপাদনকারীরা।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ২০১৪ সালে মাত্র ৩০ শতাংশ জমিতে চারা রোপনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় চা বাগানের। পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিষদের চার একর জমিতে চা বাগান করা হয়।

সেটি দেখে উদ্বুদ্ধ হন জাহাঙ্গীর আলম ও আখতারুজ্জামানসহ বেশ কয়েক। বর্তমানে এ জেলায় ৫০ একর জমিতে চা-গাছের চাষ করা হচ্ছে। সাথী ফসল হিসেবে বাগানে রোপণ করা হয়েছে সুপারি গাছ। এসব বাগানে কাজ করে আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে শ্রমিকদের।

চা শ্রমিকরা বলেন, গ্রামে যখন ছিলাম খুব অভাব ছিল। এখন এখানে কাজ করে খুব ভালো আছি। প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে মজুরি পাই। এতে সংসার ভালো চলছে। তবে প্রক্রিয়াজাত কারখানা না থাকায় চা-পাতা বিক্রি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় বাগান মালিকদের। তাই নীলফামারীতে সরকারিভাবে কারখানা প্রতিষ্ঠার দাবি তাদের।

বাগান মালিকরা বলেন, দূরত্বের কারণে কেজি প্রতি ২ টাকা করে বাড়তি খরচ হয়। আমাদের এই অঞ্চলে যদি একটি চা প্রসেসিং সেন্টার হতো তাহলে খুব ভালো হতো। নীলফামারীর মাটি ও আবহাওয়া চা গাছ আবাদের জন্য অনুকূল হওয়ায় ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন এ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ চা বোর্ড এর ঊর্ধ্বতন খামার সহকারী জায়েদ ইমাম সিদ্দিকী বলেন, সিলেট অঞ্চলে পাঁচ বছরে যে চা পাতা উৎপাদন হয়। সেখানে কিশোরগঞ্জ উপজেলাতে তা এক বছরে উৎপাদন হয়। সরকারি বেসরকারি সহায়তা পেলে নীলফামারীতে চা-বাগানের মাধ্যমে ঘুচবে বেকারত্ব আর একইসঙ্গে আসবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সবার।


আরও খবর



আদালত অবমাননা: দুই আইনজীবীর বিষয়ে আদেশ ২১ এপ্রিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে, এমন বক্তব্য দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদলের আদেশের জন্যে আগামী ২১ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এ দিন ধার্য করেন।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক হলেন অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও সদস্য সচিব হলেন অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল। আদালতে তাদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

গত ১ ডিসেম্বর অ্যাডহক কমিটির প্যাডে প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি দেন তারা। চিঠিতে বলা হয়, দেশে একটি অনির্বাচিত, জবাবদিহিহীন এবং অস্বচ্ছ ফ্যাসিবাদী শাসনের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। এর ফলে জনগণ প্রজাতন্ত্রের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। জনগণ নজিরবিহীন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ তামাশার সংসদে সদস্য নির্বাচন করতে যাচ্ছে।

এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসেবে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এমন একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে আইনজীবী, জনগণ স্বাধীন, বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখছে। আশা করছি মানবাধিকার রক্ষাকারী হিসাবে বিচার বিভাগ কার্যকরভাবে ভূমিকা পালন করবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ এবং বিচার বিভাগকে উভয়ই সরকারের ফ্যাসিবাদী নিপীড়নের সহায়ক হয়ে উঠেছে। সাধারণ নাগরিকদের প্রাপ্য জামিন আবেদন নামঞ্জুর এবং দ্রুতগতিতে বিচার পরিচালনা করা ন্যায়বিচারকে কবর দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিতে অথবা নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সেসব মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অনুপস্থিতে মামলা খারিজ বা বিরূপ আদেশ দেয়া উচিত হবে না।

এই চিঠিতে আদালত অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করায় এর ব্যাখ্যা দিতে তাদের তলব করা হয়। আদেশ অনুযায়ী দুই আইনজীবী ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগে হাজির হন। সেদিন তাদের পক্ষে সময় আবেদন করলে আদালত ব্যাখ্যা দিতে দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দেন। এ সময়ে তারা সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদেশ দেন।

তার ধারাবাহিকতায় মামলাটি আবার শুনানির জন্য ওঠে। আজ দুই আইনজীবী নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

নিউজ ট্যাগ: আদালত অবমাননা

আরও খবর



সাতশত শিক্ষার্থীর মাঝে রাজশাহী জেলা পরিষদের চেক বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী জেলা পরিষদের আয়োজনে প্রায় ৭ শত শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর সিএন্ডবি মনিবাজার চত্বরের শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান করা হয়।

রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। রাজশাহী বেতারের উপস্থাপক আব্দুর রোকন মাসুমের সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য শিউলী রানী সাহা, সুলতানা পারভীন রিনা ও সাজেদা বেগম, সদস্য আব্দুর রশিদ, মাইনুল ইসলাম, তফিকুল ইসলাম, দীলিপ কুমার সরকার, আবুল কালাম আজাদ, আবু জাফর প্রাং, আসাদুজ্জামান মাসুদ, জনাব আলী ও মহিদুল ইসলাম।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকগণ, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা  উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কৃতি শিক্ষার্থীদের এসএসসি পর্যায়ে ৪ হাজার ও এইচএসসি পর্যায়ে ৫ হাজার টাকার চেক হাতে তুলে দেয়া হয়।


আরও খবর



এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড: ৫ বছরেও শুরু হয়নি বিচার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ার। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কেড়ে নেয় ২৬টি প্রাণ। আহত হন ৭১ জন। সেই ঘটনায় মামলা হয়।

ঘটনার প্রায় তিন বছর ৯ মাস পর ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সমীর চন্দ্র সূত্রধর। তবে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর মামলাটির দিন ধার্য। ওই দিন চার্জশিটটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তবে আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ না করে মামলাটি পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

ওই দিন আদালত আদেশে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন মানুষ মৃত্যুবরণসহ অসংখ্য মানুষ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারনামীয় গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন। মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হওয়ায় পিবিআইয়ের একজন দক্ষ অফিসার দ্বারা মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

এরপর পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। গত ২২ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে আদালতে একই আসামিদের অভিযুক্ত করে ও লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত পিবিআই এর দেওয়া ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-এফআর টাওয়ার ভবনের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকা এস এম এইচ আই ফারুক, তাজভিরুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর রহমান, মিসেস ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুল নবী ও রফিকুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে ফারুক জমির মূল মালিক। বিএনপি নেতা তাজভীরুল ইসলাম ভবন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। অন্য ৬ জন ভবন পরিচালনা কমিটির সদস্য।

ওই সময় আসামিদের মধ্যে মনিরুজ্জামান, মাহমুদুল নবী, সেলিম উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম ও ওয়ারদা ইকবাল পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে আসামিরা বিভিন্ন সময় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। বর্তমানে সব আসামি জামিনে আছেন। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ মামলার তারিখ ধার্য ছিলো। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত নথিটি সিএমএম বরাবর পাঠানোর আদেশ দেন। সিএমএম মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য আদেশ দিবেন। এদিকে লিয়াকত আলী খান মুকুলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

নিউজ ট্যাগ: এফআর টাওয়ার

আরও খবর



জলদস্যুদের সঙ্গে সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ভেতরে থাকা ২৩ জন নাবিকদের উদ্ধারে সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনার শেষে তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাহাজটি হাইজ্যাক করা জলদস্যুদের সঙ্গে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। আমরা সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে চেষ্টা করছি এবং যেখানে জানানো প্রয়োজন, সেখানে জানিয়েছি। তাদের উদ্ধারে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। বিষয়টি মন্ত্রিসভায়ও আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রিপোর্টিং সেন্টার ইন কুয়ালালামপুর, ইন্ডিয়ান ফিউশন সেন্টার ইন নিউ দিল্লি, সিঙ্গাপুর, ইউএসএ, ইউকে এবং চীনসহ সব এরিয়ার নেভাল শিপে আমরা রিপোর্ট করেছি। অন্যান্য সূত্রের মাধ্যমেও আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য জাহাজটাকে এবং নাবিকদের মুক্ত করা। কিন্তু স্ট্র্যাটেজি কী হবে, এটা পাবলিক বলার বিষয় নয়। ইতোপূর্বে একই কোম্পানির একটি জাহাজ জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। তিন মাস পর সেই জাহাজ ও ক্রুদের উদ্ধার করা হয়েছিল।

এর আগে, ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।

জানা গেছে, নাবিকদের ছাড়তে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার চেয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি নাবিকদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

জাহাজটি প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীকে পাঠানো সর্বশেষ এক অডিও বার্তায় বলেন, আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। টাকা না দিলে তারা একে একে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও।

দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। পরে বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় এমভি আবদুল্লাহ। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার।


আরও খবর



চবিতে সিলিং পড়ে শিক্ষার্থী আহত, হল প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাহজালাল হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। হলে অবস্থানরত এক শিক্ষার্থীর গায়ে সিলিং পড়ে আহত হলে শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে এই আন্দোলন শুরু হয়।

জানা যায়, শাহজালাল হলের বর্ধিত অংশের ১/৬ রুমের সিলিং পড়ে দুপুরে আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী নিশাত। আহত নিশাতকে হাসপাতাল নিয়ে গেলে তার পিঠে ও হাতে ৩টি সেলাই দেওয়া লাগে। খবর ছড়িয়ে পড়লে হল গেইটে তালা দিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।

আন্দলনরত ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ হাসান তৌকির গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের কয়েকজন বন্ধু দুপুরে রুমে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় ওপর থেকে সিলিং খুলে পড়ে। সে সজাগ থাকা সত্ত্বেও হাতে ও পেটে জখম হয়। এর আগেও আশপাশের রুমের সিলিং খুলে পড়েছে। রুমগুলোর দরজা ভাঙা, ওয়াশরুমের বাজে অবস্থা। আমরা এসব নিয়ে বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছে, আমরা দিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আর হলে নামমাত্র একজন প্রভোস্ট আছেন, কিন্তু তাকে কখনো দেখা যায় না। তাই আমরা প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছি।

শাহজালাল হলের আবাসিক শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর নাজমুল আলম মুরাদ গণমাধ্যমকে বলেন, তারা হল সংস্কারসহ (শিক্ষার্থীরা) অনেকগুলো দাবি জানিয়েছে। আমরা উপাচার্যের কাছে তাদের বিষয়গুলো জানিয়েছি। দ্রুতই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হবে।


আরও খবর