‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান
গ্রেফতার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়েছে।
রোববার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর
ডিবির কার্যালয়ে আসেন তিনি। ডিবি পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
ডিএমপির গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার
(ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের
নিজ কার্যালয়ে ডিএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ
সাংবাদিকদের বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, সেসব
বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের
স্ত্রীকে রোববার ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তার স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।
তিনি বলেন, নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম
ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার ‘সাইকো’তে (মানসিক রোগী) পরিণত হয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তার উত্থান
কীভাবে হলো, তথাকথিত ‘মানবতার ফেরওয়ালা’ কীভাবে হলেন,
তার অর্থের উৎস, কীভাবে আসে, কীভাবে তিনি দরিদ্র মানুষকে সংগ্রহ করতেন এবং কেনই-বা
তাদের টর্চার সেলে এনে পেটাতেন, সবকিছু বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া
ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহয়তা করতেন, তাদেরকেও
শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মিল্টন সমাদ্দারের তিন-চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের
সন্ধান মিলেছে। সেসব অ্যাকাউন্টে কারা টাকা পাঠাতেন, তদন্ত করে জানানো হবে বলেও জানান
হারুন অর রশীদ।
এর আগে গত বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর
মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা-মিরপুর বিভাগ।
পরে রাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায়
বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে মিল্টনকে তিনদিনের
রিমান্ড দেন আদালত।
সম্প্রতি, কিছুদিন ধরে মিল্টনের বিরুদ্ধে
নানা প্রতারণার অভিযোগ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মিল্টন ফেসবুকে ভিডিও
দিয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এরই মধ্যে তার সঙ্গে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট
কয়েকজন তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।