করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের চাহিদা পূরণে বুয়েট উদ্ভাবিত 'অক্সিজেট' নামক স্বল্পমূল্যের সি-প্যাপ ভেন্টিলেটর ডিভাইস অনুমোদনের জন্য কোনো আবেদনই করা হয়নি বলে জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রশাসন বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাঈম গোলদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে যে, বুয়েটের উদ্ভাবিত 'অক্সিজেট' নামক সি-প্যাপ ভেন্টিলেটর ডিভাইস বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি মিলছে না বলে বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ওই ডিভাইসটির পারফরম্যান্স ট্রায়ালের অনুমোদনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে কোনো আবেদন করা হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ ধরনের দেশীয় উদ্ভাবনাকে সবসময় অনুপ্রেরণা প্রদান করে। গত ১২ জুন বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর সহকারী অধ্যাপক ড. তৌফিক হাসান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে তাদের উদ্ভাবিত 'অক্সিজেট' নামীয় মেডিকেল ডিভাইসটির বিষয়ে মৌখিকভাবে জানালে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মাধ্যমে ডিভাইসটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য দেশের মেডিকেল ডিভাইস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জেএমআই, এএনসি, গেট ওয়েল, ইনসেপ্টা মেডিকেল ডিভাইস এর শীর্ষ পর্যায়ের টেকনিক্যাল কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় এবং বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের পথকে সুগম করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ড. তৌফিক হাসানকে ক্লিনিক্যাল পারফরম্যান্স ট্রায়াল প্রটোকল অনুমোদন গ্রহণের নিমিত্তে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আবেদন করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত তার আবেদন পাওয়া যায়নি।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আরও জানায়, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের চাহিদা পূরণে বুয়েট উদ্ভাবিত 'অক্সিজেট' নামক স্বল্পমূল্যের সি-প্যাপ ভেন্টিলেটর ডিভাইস অনুমোদনে গুরুত্বারোপ করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার ডিভাইসটি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নজরে নিতেও স্বাস্থ্য সচিব, আইনজীবীসহ সংশ্নিষ্টদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন একক ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই পর্যবেক্ষণ দেন।