বুয়েট শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির (২৮) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তার ১৫ বন্ধুকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার সকালে ঢাকার দোহার উপজেলার মৈনট ঘাটের কাছে পদ্মা নদী থেকে সানির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১৬ জুলাই) হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামছুল আলম আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মনিরুজ্জামান শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন- শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, রুবেল, সজীব, নুরজামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দোহার উপজেলার মৈনট ঘাটে ১৫ বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে যান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানি। সেখানে পদ্মা নদীতে ঘোরার সময় এক পর্যায়ে তিনি নিখোঁজ হন বলে জানান তার বন্ধুরা।
বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের পঞ্চম সেশনের ছাত্র সানির বাবার নাম হারুন অর রশিদ। তাদের বাড়ি রাজধানীর হাজারীবাগে।
নিখোঁজ হওয়ার পর সানির সন্ধানে নামে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ওইদিন রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন শুক্রবার বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে সানির বড় ভাই হাসানুজ্জামান একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১০। ওই মামলায় আসামি করা হয় সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ১৫ বন্ধুকে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতে পাঠায় পুলিশ।