আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বসুন্ধরার কুরআনের নূর প্রতিযোগিতায় সেরা হাফেজ জাকারিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ মে ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১০০ দিনের মহা আয়োজনের পর এলো দেশসেরা হাফেজের নামের ঘোষণা। ১০ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে দেশের সর্ববৃহৎ হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা উত্তরের মারকাজুল ফয়জুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী হাফেজ নুরুদ্দীন মোহাম্মদ জাকারিয়া। পুরস্কার হিসেবে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় ১০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় বিজয়ী ঢাকা উত্তরের মো. শাহরিয়ার নাফিস সালমান পেয়েছে সাত লাখ টাকা। তৃতীয় কুমিল্লার শামসুল উলুম তাহফিজুল হিফজ কুরআন মাদরাসার মো. মোশাররফ হোসাইন পেয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। চতুর্থ ও পঞ্চম হয়েছে ঢাকা দক্ষিণের মারকাজুত তাহফিজ মাদরাসার দুই শিক্ষার্থী মো. নাসরুল্লাহ আনাছ ও মোহাম্মদ বশীর আহমদ। পুরস্কার হিসেবে তারা পেয়েছে দুই লাখ টাকা করে। সেরা আটের বাকি তিনজন ময়মনসিংহের মো. লাবিব আল হাসান, সিলেটের মো. আবু তালহা আনহার ও ঢাকা দক্ষিণের আবদুল্লাহ আল মারুফ পেয়েছে এক লাখ টাকা করে। এ ছাড়া বিজয়ীদের বিশেষ সম্মাননা ও সনদপত্র দেওয়া হয়। এ ছাড়া তারা বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে পিতা-মাতাসহ পবিত্র ওমরাহ হজ পালনের সুযোগ পাবে।

আরও পড়ুন: 'কুরআনের নূর, পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা' প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠিত

এদিকে প্রতিযোগিতার নবম থেকে ৪৫তম স্থান অধিকারীরাও পেয়েছে আর্থিক সম্মাননা।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি-বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের নগদ অর্থ ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। এ উপলক্ষ্যে আইসিসিবির নবরাত্রি হলে বিশ্ববরেণ্য সম্মানিত আলেম-উলামাগণের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির এই অনন্য আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। পবিত্র রমজান মাসজুড়ে বেসরকারি টেলিভিশন নিউজটোয়েন্টিফোর চ্যানেলে হাফেজদের এ প্রতিযোগিতা সম্প্রচারিত হয়।

আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বন্ধুর হাতে কলেজছাত্র খুন

শনিবার সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমাদ মাদানি (রহ.)-এর সুযোগ্য নাতি আওলাদে রাসুল (সা.) সায়্যিদ মুফতি আফফান মানসুরপুরী (হাফিজাহুল্লাহ)। তিনি ভারত থেকে এসে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সুদূর মিশর থেকে আসেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি শায়খ ড. আহমাদ আহমাদ নাইনা (হাফিজাহুল্লাহ), চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মুইনুল ইসলাম মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহহিয়া (দা.বা.), জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই রিয়ালিটি শো আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল। দীর্ঘ ১০০ দিনের মহা আয়োজনে অংশ নেয় অন্তত ১০ হাজার হাফেজ; যাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে। সব মিলিয়ে ১১টি জোনে বিভক্ত করে শুরু হয় অডিশন রাউন্ড। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় জোনে প্রাথমিক অডিশনের মধ্য দিয়ে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আজ সেই মহা আয়োজনের সফল সমাপ্তি হলো।

দেশবরেণ্য ইসলামিক স্কলার ও অভিজ্ঞ হাফেজদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকমণ্ডলী দায়িত্ব পালন করেন এবং নিখুঁতভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচন করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান ইসলামিক স্কলারসহ হাজারও উপস্থিতির সামনে ঘোষণা করা হয় দেশসেরা হাফেজের নাম।


আরও খবর



কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১০ মার্চ) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রসীমা আইন জাতির পিতাই প্রথম করেছিলেন। ৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্বে আসা কোনো সরকারই কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়নি। সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এটি সম্ভব করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

তিনি বলেন, নতুন দুটি জাহাজ ও হেলিকপ্টার যুক্ত হচ্ছে কোস্ট গার্ডে। যুক্ত হবে আধুনিক মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স সিস্টেম। অচিরেই ত্রিমাত্রিক বাহিনী হতে চলেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়েছিলেন শোষিত, বঞ্চিত, ক্ষুধার্ত, নিপীড়িত বাঙালির জীবন উন্নত করতে। সে লক্ষ্য নিয়ে তিনি দেশ স্বাধীন করেন। আমাদের দেশে বিশাল সমুদ্রসীমা তিনি নিশ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশে যেন নৌকাঘাটি হয় ৬ দফা তিনিই দাবি করেছিলেন। সমুদ্র সীমানা আইন জাতিসংঘ করেছিল ১৯৮২ সালে, আর জাতির পিতা করে ১৯৭৪ সালে, এটা বিশ্বের দৃষ্টান্ত ছিল। 

সরকারপ্রধান বলেন, ১৫ আগস্টে জাতির পিতা হত্যা করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, জিয়া সরকার, এরশাদ সরকার বা খালেদা জিয়ার সরকার কেউ কিন্তু সমুদ্র সীমায় আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। ৯৬ সালে সরকার গঠন করার পরই আমরা উদ্যোগ নেই। সমুদ্র সীমায় আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করি। পাঁচ বছর পরে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারি নাই। ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত কেউ আর উদ্যোগ নেয়নি। ২০০৯ সালের সরকার গঠন করেই সমুদ্রসীমা আমাদের যে অধিকার তার নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আল্লাহ রহমতে আমরা সেটা করতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেকেই একটি ঠিকানা পাবে, উন্নত জীবন পাবে। সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে। সমুদ্রসীমায় যে সম্পদ রয়েছে, তা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য ইতোমধ্যে সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনোমি ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংযোগস্থল হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে কোস্টগার্ডকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বানও জানান তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিস্যাট নেট কমিউনিকেশন সিস্টেমসহ ৫টি স্টেশন ও একটি আউটপোস্টের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী।


আরও খবর



ইফতারের পর রাজধানীতে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরছে। কিছু এলাকায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে শীতল বাতাসও। এতে শীত অনুভব হচ্ছে। তবে ঘরমুখো যাত্রী ও পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল থেকে আকাশ মেঘলা ছিল। মেঘের আড়ালে মাঝে মাঝে সূর্য উঁকি দিলেও গরমের প্রভাব ছিল না। ইফতারের পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে শীলাও পড়তে দেখা যায়।

বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন ঘরমুখো মানুষ ও পথচারীরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জানা গেছে, বৃষ্টি শুরু হলে অনেকে রাস্তার আশপাশের দোকানপাট, ভবন এবং বিভিন্ন স্থাপনার নিচে আশ্রয় নেন।

রমজানের শুরু থেকেই রাজধানীতে বেশ গরম অনুভূত হচ্ছিল। রোজাদারদের জন্য কখনও কখনও তা বেশ কষ্টকরও হয়ে ওঠে। এর মধ্যে মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিরতি দিয়ে বৃষ্টি পড়ছে।

সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৫৬ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় রংপুরে ৩৪, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩৫, নীলফামারির ডিমলায় ৩০ এবং রাজধানী ঢাকায় ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং অন্যদিকে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টি একটু কমতে পারে।


আরও খবর



বাউফলে এসএসসি পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে মেঘলা (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মেঘলা আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের আতষখালী গ্রামের জাকির সিকদারের মেয়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মেঘলা এ বছর আতষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

বুধবার নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে মেঘলা। বিকাল সোয়া ৫টায় তাকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পৌনে ৬টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শাহরিয়ার শুভ বলেন, এক ব্যক্তি অসুস্থ মেঘলাকে নিয়ে এসে বলেন সে কীটনাশক পান করেছে। এরপর তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। 

তবে ঠিক কি কারণে মেঘলা কীটনাশক পান করেছে বা কেন মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মেঘলার লাশের পাশে কোনো স্বজনকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মেঘলার গ্রামে খবর নিয়ে জানা গেছে, তার বাবা জাকির সিকদার ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। মেঘলা ছাড়া তার পরিবারে মা ও দুই ভাই রয়েছেন।

বাউফল থানার ওসি শোনিক কুমার গায়েন বলেন, ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে সঠিক কারণ বের করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: পটুয়াখালী

আরও খবর



কাতার সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কাতারে সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (৬ মার্চ) তিনি দেশে ফিরেছেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

সফরকালে সেনাপ্রধান কাতারের রাজধানী দোহায় ৪-৫ মার্চ অনুষ্ঠিত দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্স (ডিআইএমডিএক্স-২০২৪)-এ অংশগ্রহণ করেন।

এ সম্মেলনে স্ব-স্ব স্থলবাহিনীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি, পেশাদারি সম্পর্ক উন্নয়ন, আঞ্চলিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার, সংঘাতপূর্ণ সমস্যাগুলো মোকাবিলা, যৌথ প্রশিক্ষণ এবং স্থলবাহিনীগুলোর আধুনিকায়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বিষয়ে আলোচনা হয়।

পাশাপাশি সেনাপ্রধান কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ (সশস্ত্র বাহিনী প্রধান) এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন। তিনি ৩ মার্চ সরকারি সফরে কাতার যান।


আরও খবর



বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে সৌদিতে ৫ পাকিস্তানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে প্রবাসী এক বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার দায়ে পাকিস্তানের পাঁচ নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে আসামিদের দণ্ড কার্যকর করা হয়।

সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে দুই নিরাপত্তারক্ষীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন তারা। এদের মধ্যে একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। গুরুতর আহত বাংলাদেশির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। তদন্তের পর ওই পাঁচজনকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়, যেখানে তারা দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। পরবর্তীতে আসামিদের আবেদন সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যায়। পরে রাজকীয় অধ্যাদেশে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়া হয়।

সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিরাপত্তারক্ষীকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ জানা যায়নি। দণ্ডিতদের মধ্যে পাঁচজনই পাকিস্তানের নাগরিক।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে মানুষ হত্যা ও সন্ত্রাসী হামলার পাশাপাশি মাদক চোরাচালান ও পাচারের ক্ষেত্রে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

গত বছর ডিসেম্বরে আর্থিক বিরোধের জেরে মুখে কীটনাশক স্প্রে করে এক ভারতীয় নাগরিককে হত্যার দায়ে দুই প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রায়ে বলা হয়, ভুক্তভোগীকে প্রলোভন দেখিয়ে ওই দুই আসামি তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার মুখে কাপড় প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ এবং মুখে কীটনাশক স্প্রে করে। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় ওই ব্যক্তি।


আরও খবর