ফেব্রুয়ারি মানেই
বসন্ত উৎসব, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অন্য সব মাসের তুলনায়
এ মাসে বাংলাদেশে ফুলের চাহিদা থাকে অনেক বেশি। তাইতো দিবসগুলোকে সামনে রেখে দিন-রাত
ফুল বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত ফুল চাষিরা।
চাষিরা জানান,
আসছে বসন্ত বরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস এবং আগামী ২৬ মার্চ
স্বাধীনতা দিবস, এ দিবসগুলোতে ফুলের বেশ চাহিদা বেড়ে যায়। এবার এ সময়গুলোকে কেন্দ্র
করে ফুলচাষিরা, বিশেষ করে যশোরের গদখালি ফুল চাষিরা কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির
টার্গেট নিয়েছেন।
১০ ফেব্রুয়ারি
থেকেই গদখালি ফুল চাষিরা বাজারে ফুল সরবরাহ শুরু করেছেন। বসন্ত বরণ, বিশ্ব ভালোবাসা
দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের জন্য এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।দেশের সর্ব বৃহৎ
পাইকারী ফুলের বাজার এই গদখালি। এই কারণে গদখালিকে দেশের ফুলের রাজ্য বা রাজধানী বলা
হয়ে থাকে।
যশোর-বেনাপোল
রোড ছেড়ে ডানে, বায়ের গ্রামগুলোয় ঢুকে কিছুদূর এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে দিগন্ত জোড়া
ফুলের মাঠ। রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, গোলাপ আর গাঁদা ফুল চাষ হয় এসব গ্রামে।
প্রতিবছর ৫০০
কোটি টাকার ফুল উৎপাদন হয় এসব মাঠ থেকে। শত শত বিঘা জমি নিয়ে গাঁদা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস,
রজনীগন্ধা, জারবেরা, ডেইজি জিপসি, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ আরও বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের
চাষ।
এবছরও গদখালি
এলাকার প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে গোলাপসহ নানা রকম ফুল চাষ করেছেন স্থানীয় চাষিরা। এ
গ্রামের ৯০ শতাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন এই ফুল চাষ করে।
ফুলচাষিরা বলেন,
সারাদেশে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে যে ফুল বেচা-কেনা হয় তার অনেকটাই পূরণ করে বিরলিয়ার
উৎপাদিত ফুল। আসছে বসন্ত বরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস, ২৬ মার্চ
স্বাধীনতা দিবসে এ অঞ্চলের ফুলচাষিরা কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির টার্গেট নিয়েছেন।