কেভিন ডি ব্রুইন
স্বস্তি ফেরালেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি শিবিরে। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের
প্রথম পর্বে তাঁর গোলেই ম্যান সিটি ১-০ হারাল আতলেতিকো দে মাদ্রিদকে। পিছিয়ে রইল না
য়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুলও। তারা ৩-১ হারিয়েছে বেনফিকাকে। গোল করলেন ফরাসি ডিফেন্ডার
ইবাহিমা কোনাতে, সাদিয়ো মানে এবং দিয়াজ। বেনফিকার গোলদাতা নুনেজ।
ম্যাচের আগেই
পেপ গুয়ার্দিওলা জানিয়েছিলেন, নিজেদের মাঠে খেললেও সিমিয়োনের আতলেতিকোকে সামলানো মোটেও
সহজ কাজ হবে না। ম্যাচে তার প্রতিফলনই দেখতে পাওয়া যায়। তবে ৭০ মিনিটে ফিল ফডেনের বাড়ানো
বল ধরে বেলজিয়াম তারকা দ্য ব্রুইন আসল কাজ সেরে ফেলেন। তার পরেই আতলেতিকোর লড়াই স্তিমিত
হয়ে পড়ে। প্রথম পর্বের ম্যাচ জিতে কিছুটা হলেও এগিয়ে রইল ম্যান সিটি।
তবে অ্যাওয়ে ম্যাচে
লিভারপুল ছিল আক্রমণাত্মক মেজাজে। ১৭ মিনিটে কোনাতের গোলে এগিয়ে যায় ক্লপের দল। ৩৪
মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে যান সেনেগাল তারকা সাদিয়ো মানে। ম্যাচ শেষের তিন মিনিট আগে
ফের গোল করেন লুইস দিয়াজ়। মঙ্গলবার প্রথম লেগের জয়ের সুবাদে কার্যত সেমিফাইনালে ওঠা
অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলল লিভারপুল।
এ দিকে, আজ, বুধবার
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বে লা লিগায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে
চলা রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে চাপে টমাস টুহল। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে
চেলসি ম্যানেজার বলেছেন, “এটা তো মানতেই হবে, সাম্প্রতির সময়ে মাঠের
বাইরে এমন কিছু ঘটনা গটে গিয়েছে, যা সম্পর্কে আমাদের ন্যুনতম ধারণাও ছিল না। কিন্তু
ম্যানেজার হিসেবে আমার এবং এই দলের ফুটবলারদের তা নিয়ে কিছুই করণীয় নেই। নিজেদের সংহত
রেখে রিয়ালের মতো দলের বিরুদ্ধে সেরা ফুটবল খেলতে হবে। যোগ করেছেন, “মনে রাখতে হবে,
এই রিয়াল দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে। ঘরের মাঠে খেললেও আমাদের স্বস্তিতে থাকার উপায় নেই।
স্ট্যামফোর্ড
ব্রিজে খেলতে নামার আগে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরেও আছে চাপা উৎকণ্ঠা। করোনার কারণে ম্যানেজার
কার্লো আনচেলোত্তি দলের সঙ্গে আসতে পারছেন না। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চেলসির লড়াকু
মনোভাব। ক্লাবের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিয়াল স্ট্রাইকার করিম বেঞ্জেমা যেমন
বলেছেন, চেলসিকে কেউ যদি খাটো নজরে দেখার কথা ভেবেও থাকেন, তা হলে তিনি ফুটবল সম্পর্কে
ততটা ওয়াকিবহাল নয়। মাঠের বাইরের যাবতীয় অবাঞ্ছিত ঘটনাকে দূরে সরিয়ে টুহল যে ভাবে দলকে
এক সূত্রে বেঁধেছেন, সেটা অসাধারণ। আমি বরং মনে করি, এই চেলসি আগের চেয়ে অনেক বেশি
ভয়ঙ্কর। তাই আমাদের বাড়তি সতর্কতা নিয়ে খেলতেই হবে।