আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে সুখী দশ দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

দিনের শেষে, জীবনে সুখের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছুই নয়। শুধু ব্যক্তিগত জীবনে ভালো থাকলেই কিন্তু আপনি সুখী নন! আপনি কোন দেশ বা পরিবেশে বাস করছেন তার উপরও কিন্তু সুখ নির্ভর করে। সুখের একটি প্রায়শই অবমূল্যায়িত কারণ হলো আমরা যে পরিবেশে বাস করি। বছরের পর বছর ধরে অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, একটি দেশ তার বাসিন্দাদের জন্য কী কী সুযোগ সুবিধা দেয় সেটিও কিন্তু গড় স্তরের সুখের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে প্রতিবছরই বিশ্বের শীর্ষ সুখী দেশের তালিকা তৈরি করা হয়। বিভিন্ন দেশের মাথাপিছু জিডিপি, সামাজিক সমর্থন স্তর, স্বাস্থ্যকর আয়ু, জীবন পছন্দ করার স্বাধীনতা, উদারতা ও দুর্নীতির উপলব্ধি ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করেই সুখের সূচক নির্ধারণ করা হয়। র‌্যাংকিংয়ে একটি দেশ যত উঁচুতে থাকবে, সেই দেশের একজন গড় বাসিন্দা তত বেশি খুশি বলে বিবেচিত। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এ বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে সুখী দেশ কোনগুলো-

ফিনল্যান্ড: ইউরোপ স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের ফিনল্যান্ডের জনসংখ্যা ৫৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬০ জন। জানলে অবাক হবেন, এবার ৬ষ্ঠ বারের মতো দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে।

ডেনমার্ক: এই দেশের সুখ সূচক স্কোর ৭.৬২। সুখের সূচকে দ্বিতীয় স্থানে আছে দেশটি। ডেনমার্ক ধনী ও অত্যন্ত আধুনিক একটি দেশ। এ দেশের নাগরিকরা ইউরোপের সবচেয়ে উঁচু জীবনযাত্রার মান বজায় রাখেন। ফ্যাশন, শিল্পকারখানার ডিজাইন, চলচ্চিত্র ও সাহিত্য ডেনীয়রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

সুইজারল্যান্ড: সুইজারল্যান্ডের আল্পাইন পর্বতের সৌন্দর্য সবাইকে খুশি ও সুখী করে তোলার জন্য যথেষ্ট। সুইজারল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছে। এই দেশের জনসংখ্যা ৮৭ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩৭।

আইসল্যান্ড: সুখী দেশের তালিকায় আছে আইসল্যান্ডও। যদিও সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ বেশ রূঢ়, তবুও দেশটির মানুষ অনেক সুখী। এই দেশের জনসংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার।

নেদারল্যান্ডস: ১৭ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৪৪৭ জনসংখ্যার উচ্চ জনসংখ্যা সত্ত্বেও ৫ম স্থান অর্জন করেছে সুখী দেশ হিসেবে। এর আগে ২০১৭ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব সুখ প্রতিবেদনে দেশটির বিশ্বের ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ সুখী দেশের মর্যাদা দেওয়া হয়, যা দেশটির জীবনযাত্রার উচ্চমানের প্রতিফলন।

নরওয়ে: নরওয়ের জনসংখ্যা ৫৫ লাখ ১১ হাজার ৩৭০ জন। বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থান অর্জন করেছে এই দেশ। নরওয়ের মোট আয়তন ৩ লাখ ৮৫ হাজার ২০৭ বর্গকিলোমিটার। নরওয়ে ১৯টি রাজ্য (কাউন্টি) নিয়ে গঠিত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। নরওয়ে বছরের ৮ মাস বরফের নিচে ঢাকা থাকে। বছরের দুই মাস এখানে সূর্য ওঠে না। নভেম্বরের ২১ তারিখ থেকে জানুয়ারির ২১ তারিখ পর্যন্ত সময়টাকে তাই ডার্ক পিরিয়ড বলা হয়। এই সময় আকাশে নর্দার্ন লাইট বা অরোরা বুরিয়াল দেখা যায়। আকাশেল আলোর খেলা দেখতেই সেখানে ভিড় করেন পর্যটকরা।

সুইডেন: সুইডেন ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম স্টকহোম। সুইডেনের আয়তন ৪ লাখ ৫০ হাজার ২৯৫ বর্গকিলোমিটার। এটি ইউরোপের তৃতীয় সর্ববৃহৎ দেশ। সেখানকার মোট জনসংখ্যা ১০ কোটি ২ লঅখ ১৮ হাজার ৯৭১ জন। সুখের সূচকে সুইডেন ৭.৩৬ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে।

লুক্সেমবার্গ: পশ্চিম ইউরোপের একটি স্থলবেষ্টিত দেশ এটি। এর পশ্চিম ও উত্তরে বেলজিয়াম, পূর্বে জার্মানি ও দক্ষিণে ফ্রান্স। লুক্সেমবার্গ এটি ইউরোপের ক্ষুদ্রতম সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি। এর মোট জনসংখ্যা ৬ লাখ ৩৪ হাজার। লুক্সেমবার্গের জনসংখ্যার বেশিরভাগই বিদেশি। বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকার ৮ম স্থানে আছে দেশটি। সুবিশাল দুর্গ ও পুরোনো শহরটির ব্যতিক্রমী সংরক্ষণের কারণে ১৯৯৪ সালে লুক্সেমবার্গ শহরটিকে তার পুরোনো কোয়ার্টার ও দুর্গগুলোকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।

নিউজিল্যান্ড: নিউজিল্যান্ড দুইটি প্রধান বৃহৎ দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যেগুলিকে উত্তর দ্বীপ ও দক্ষিণ দ্বীপ বলে। ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন দেশ নিউজিল্যান্ডের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে ফিজি, টোঙ্গা ও নুভেল কালেদোনি উল্লেখযোগ্য। পৃথিবীর সর্বাধিক বাসযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের শহরগুলো অন্যতম। বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে নবম স্থানে আছে নিউজিল্যান্ড। ২০২০ সালের আদমশুমারি অনুসারে, সেখানকার জনসংখ্যা ৫ লাখ ৯৩ হাজার ২৩০ জন।

অস্ট্রিয়া: সুখের সূচকে অস্ট্রিয়া ৭ হাজার ২৬৮ স্কোর করেছে ও তালিকায় ১০ তম স্থানে আছে। ২০২২ সালে অস্ট্রিয়ার মোট জনসংখ্যা ৯ লাখ ৬৬ হাজর ৭১০ রেকর্ড করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: সুখী দেশ

আরও খবর



ফের খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি, রাতেই নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের হঠাৎ গুরুতর অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে তাকে ফের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।

খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়ে নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতা চেয়ে এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছেন তার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যেতে পারেন।

এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে গত ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পরদিন ১৪ মার্চ বাসায় ফেরেন তিনি।


আরও খবর



টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং বাদিবন্যা পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গল কাটতে ও গরু চরাতে গিয়ে তারা অপহৃত হন।

অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচিপাড়া এলাকার বেলালের দুই ছেলে জুনাইদ (১২) ও মোহাম্মদ নূর (১০), একই এলাকার লেদুর ছেলে শাকিল (১৫), শহর আলীর ছেলে ফরিদ আলম (৩৫), নুরুল ইসলামের ছেলে আকতার (২৫), নাজির হোসেনের ছেলে ইসমাইল প্রকাশ সোনায়া (২৪), রৈক্ষং এলাকার কালা মিয়ার ছেলে ছৈয়দ হোছাইন বাবুল (৩৩) এবং একই এলাকার আকবরের ছেলে ফজল কাদের (৪৫)।

অপহরণ হওয়া শাকিলের বাবা লেদু মিয়া বলেন, প্রতিদিনের মতো আমার ছেলে শাকিল গরু চরাতে যায় হোয়াইক্যং বাদিবন্যা পাহাড়ে। দুপুরে অপহরণকারী আমাকে ফোন করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমি গরিব মানুষ মাটি কেটে সংসার চালাই। টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে তারা। আমার ভাই ফরিদ আলমও অপহরণের শিকার। প্রশাসনের কাছে ভাই ও ছেলেকে জীবিত উদ্ধারের দাবি জানাই। 

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, তিনি মুক্তিপণ দাবি করার বিষয়টি জানেন না।

এর আগে ২১ মার্চ ভোরে হ্নীলার পানখালীর পাহাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি হন পাঁচ কৃষক। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসেন তারা। ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদরাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করা হয়। তবে এখনও তাকে উদ্ধার করা যায়নি।

জানা যায়, গত এক বছরে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে ১০৩ জনকে অপহরণ করা হয়। তাদের মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা।

নিউজ ট্যাগ: টেকনাফ

আরও খবর



নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরও ৫০ বিজিপি সদস্যের অনুপ্রবেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) প্রায় ৫০ জন সদস্য। বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়া জানায়, গত কয়েক দিন ধরে দুই-একজন করে মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা সদস্য প্রবেশ করছিল। তবে আজ সকাল থেকে বিভিন্ন সময় ১৮ জন অনুপ্রবেশ করে। আর রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরকান আর্মির সঙ্গে ওই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বেশ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির একপর্যায়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) প্রায় ৫০ সদস্য বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে।

এ নিয়ে গত কয়েকদিনে মিয়ারমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও সেনা সদস্য মিলে প্রায় ৮০ জনের মত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সেনা-বিজিপির ১৮ সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মঙ্গলবার সকালে রেজু আমতলীপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২ জন এবং জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন বাংলাদেশে ঢুকেছেন। এরপর দুপুরে বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে আসেন আরও ১ জন প্রবেশ করে।

সর্বশেষ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরও ৫ জন ঢোকেন। এ ১৮ জনের মধ্যে বিজিপির ছাড়াও সেনা সদস্য রয়েছেন। আজ রাতে আরও প্রায় ৫০ জনের মত সদস্য নতুন করে অনুপ্রবেশ করে।

তবে কোনো বাহিনীর কত জন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এখন নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবির হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


আরও খবর



দুই মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর থেকেই দেখা দিয়েছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। এতে ঈদে ঘরমুখো হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এদিন দুপুরে ছুটি পেয়ে গাজীপুর থেকে লাখ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক ঈদযাত্রায় শামিল হয়েছেন। এত এত যাত্রীর তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা খুবই কম। পরিবহন সংকটে পড়ে বাস, ট্রাক, পিকআপ ও ড্রাম্প ট্রাকে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনেকে।

গাজীপুর ছাড়াও গাবতলী, আশুলিয়া, বাইপাল, সাভার ও নবীনগর এলাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো চন্দ্রা এলাকা পার হয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ পরিস্থিতি বাড়তে থাকলে ভুগতে হবে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের।

অপরদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে স্বল্প দূরত্বের চলাচলকারী বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও পিকআপ। এসব পরিবহনগুলো দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে ইচ্ছে মতো ভাড়া হাঁকিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, আজ দুপুর থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

তিনি বলেন, যাত্রী উঠানামা করাতে গাড়িগুলো দাঁড়াচ্ছে, এতে সামান্য সময়ের জন্য যানজটের তৈরি হচ্ছে। গাড়িগুলো চলে যাওয়ার পর মুহূর্তেই আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে যানজট কমাতে পুলিশ কাজ করছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত এই পথে গাজীপুর অংশে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



আজ খুলছে সরকারি অফিস

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) খুলছে সরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

গত ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া রোজার ঈদের চার দিন এবং পহেলা বৈশাখের একদিনসহ মোট পাঁচ দিনের ছুটি শুরুর আগে শেষ কর্মদিবস ছিল ৯ এপ্রিল।

আজ থেকে আগের নিয়মে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে সরকারি অফিস-আদালত।

এবার রমজান মাস ৩০ দিন ধরে ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণ করে ছুটির তালিকা করেছে সরকার। এ ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটি ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের ছুটি ছিল।


আরও খবর