রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফের পক্ষপাতের অভিযোগ জাপা প্রার্থীর বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ূন কবিরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করেছেন জাতীয় প্রার্থীর প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস।
তবে তার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা জানায়, কোনো অভিযোগ দিতে হলে প্রার্থী বা প্রার্থীর মনোনীত নির্বাচনী এজেন্টকে দিতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার (২০ মে) দুপুরে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগ দেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। তবে অভিযোগপত্রটি জাতীয় পার্টির নির্বাচনী সমন্বয়ক মহসিন উল ইসলাম হাবুল নিয়ে গেলে তা গ্ৰহণ করেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ নিয়ে গেলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা তা রাখেননি। তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ নিয়ে যেতে বলেছেন।’
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সরকারি সফর দেখিয়ে বরিশালের পার্শ্ববর্তী জেলা ঝালকাঠিতে অবস্থানসহ বরিশাল নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওতায় একটি ওষুধ কোম্পানির ডাক বাংলো থেকে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি জাতীয় পতাকাবাহী গাড়ি নিয়ে সিটি করপোরেশন ঘুরে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী যেন নির্বাচনের দিন ১২ জুন পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনী এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী জেলায় অবস্থান করতে না পারেন সে আবেদনও জানান জাপা প্রার্থী।
এ বিষয়ে ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিলে তিনি তা খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু একপাক্ষিকভাবে প্রমাণ নিয়ে যেতে বলেছেন। প্রমাণ নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কি অভিযোগকারীর?
এ মেয়রপ্রার্থী অরও বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করছেন না। তিনি সবার প্রতি সমান মনোভাব দেখাচ্ছেন না। যে কারণে শনিবার দুপুরে নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
এর আগেও রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করেছেন তাপস। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিভিন্ন স্থানে সভা করলেও তাকে কিছু বলা হয়নি। অথচ নগরীর কাউনিয়ার একটি ওয়ার্ডে জাতীয় পার্টির সভা করার কথা থাকলেও তা পুলিশ পাঠিয়ে বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, কোনো প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করা হয়েছে একটি সাদা কাগজে। এছাড়া এ অভিযোগ করবে প্রার্থী বা প্রার্থীর মনোনীত নির্বাচনী এজেন্ট। এর বাইরে কেউ অভিযোগ করলে তা হবে না।