আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বরিশাল-ভোলা নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৩ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগের কোনো ঘোষণা ছাড়াই বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকে বরিশাল-ভোলা নৌপথে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। এর আগে বুধবার সন্ধ্যা থেকে বরিশাল-ভোলা নৌপথে স্পিডবোট চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। এদিকে, কী কারণে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রয়েছে তা বরিশাল নদীবন্দর কর্তৃপক্ষও জানাতে পারেনি।

তবে বিএনপির নেতারা বলেছেন, আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে নানা অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। গণসমাবেশে ব্যাপক লোকসমাগম ঠেকাতে সড়ক পথে বাস ও তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা আগেই দেওয়া হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বরিশাল-ভোলা নৌপথে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বরিশালের অভ্যন্তরীণ ও ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলাচল করা কয়েকটি লঞ্চের মালিক দাবি করেন, বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস সোমবার বিকেলে পোর্টরোড লঞ্চ মালিক সমিতি ভবনে গিয়ে আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর লঞ্চ বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশ দেন। এরপর সমিতির পক্ষ থেকে মালিকদের ফোন করে লঞ্চ বন্ধ রাখতে বলা হচ্ছে।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, আমি কেন লঞ্চ বন্ধ করতে বলবো? শুনেছি, মালিকদের কিছু দাবি আছে। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল কার্যালয়ের বন্দর কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ নৌরুট রয়েছে ১২টি। এরমধ্যে অন্যতম বরিশাল-ভোলা নৌরুট। প্রতিদিন এ রুটে ১৪টি লঞ্চ চলে। আর বরিশাল-ভোলা নৌরুটে ৩৬টির মতো স্পিডবোট চলাচল করে।

তিনি বলেন, পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে আজ সকাল থেকে বরিশাল-ভোলা নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে সকালে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তবে তারা ফোন রিসিভ করছেন না। তাই কী কারণে বরিশাল-ভোলা নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রয়েছে তা বলতে পারবো না। তবে অভ্যন্তরীণ বাকি ১১টি নৌরুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। রাতে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বড় কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে নানা অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সমাবেশ কেন্দ্র করে প্রথমে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরপর তিন চাকার যান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ সকাল থেকে বরিশাল-ভোলা নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, আশঙ্কা করছি ৪ ও ৫ নভেম্বর ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের লঞ্চের পাশাপাশি ট্রাক এমনকী খেয়াঘাটও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। বিষয়টি মাথায় নিয়েই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ভোলার লালমোহন, চরফ্যাশন ও ঝালকাঠি থেকে অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থক নগরীতে এসেছেন। ধারণা করছি, আজকের মধ্যে বেশিরভাগ নেতাকর্মী বরিশালে চলে আসবেন।


আরও খবর



পাঁচদিনে সোনার দাম কমলো ৬৪৯৭ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৬৩০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা।

শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯২ হাজার ৪০২ টাকা। ত‌বে সব ধর‌নের সোনার দাম কমলেও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বা‌ড়ি‌য়ে ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ও ২৭ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোরর ঘোষণা দিলো বাজুস। চার দিনে ভ‌রি‌তে সোনার দাম কমেছে ৬ হাজার ৪৯৮ টাকা।


আরও খবর



ওপার বাংলায় ফেলুবক্সীর লাবণ্য হয়ে আসছেন পরীমনি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টির প্রতি দারুণ অনুরাগী ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। রাবিন্দ্রিক সাজে প্রায়ই ফেসবুকে দেখা দেন তিনি। কখনও-সখনও পোস্ট করেন কবিগুরুর কবিতা বা গানের লাইন। তার সাহিত্যের চরিত্রে কাজ করতেও আগ্রহী পরী। হয়তো কোনো দিন রবিঠাকুরের বিখ্যাত উপন্যাস শেষের কবিতার নায়িকা লাবণ্য হিসেবে পরীমনিকে দেখা যাবে।

তবে আপাতত তিনি বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত দুই গোয়েন্দা ফেলুদা আর ব্যোমকেশ বক্সীর মিশ্রণে নির্মিতব্য সিনেমায় লাবণ্য হয়ে আসছেন। কলকাতার সিনেমায় কাজ করছেন পরী সে খবর বেশ পুরোনো। ছবির নাম ফেলুবক্সী’। সম্প্রতি প্রকাশ হলো সে সিনেমায় পরীর লাবণ্য চরিত্রের ফার্স্ট লুক।

ফেসবুকে নিজেই সেই লুকের ছবি পোস্ট করে সবার সঙ্গে ফেলুবক্সীর লাবণ্যকে পরিচয় করিয়ে দিলেন বাংলা সিনেমার ডানাকাটা পরী। দেবরাজ সিনহা পরিচালিত এ সিনেমায় অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, মধুমিতা সরকারদের সঙ্গে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। এতে কাজ করা প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, লাবণ্য চরিত্রটা যখন পড়লাম, তখন থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, এই চরিত্রটা সঠিকভাবেই ফুটিয়ে তুলতে পারব। এবার কতটা ভালো পেরেছি, সেটা দর্শক বলবেন।’

ছবিতে সব রহস্য পরীমনির চরিত্রটা কেন্দ্র করেই ঘনীভূত হবে। তবে পরিচালক বললেন, এখানে প্রোটাগনিস্ট সোহম। এই চরিত্রটা মজাদার, টেক স্যাভি, বিশ্বের নিত্যনতুন টেকনোলজির বিষয়ে নিজেকে আপডেট রাখে। এমনিতেই বাঙালির প্যাশান খাওয়াদাওয়া আর রহস্য সমাধান জমিয়ে রেসিপি পড়ার মতো করে রহস্যের কিনারা করে সে। ফেলুবক্সী নামটা শুনেই নিশ্চয় দর্শকরা বুঝতে পারছেন বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি চরিত্রের প্রভাব রয়েছেন তার মধ্যে। তবে আবার নাম শুনেই এ সিনেমা নিয়ে দর্শককে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বারণ করলেন নির্মাতা। কারণ চিত্রনাট্যের মজা নিতে ছবিটা দেখতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।


আরও খবর
নতুন রেকর্ড গড়লেন টেইলর সুইফট

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

জুমার দিন বা শুক্রবার মুসলমানদের কাছে পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ দিন, সপ্তাহের ঈদের দিন। ইসলামে বিশেষ মর্যাদা রয়েছে এ দিনের। সব দিনের মধ্যে জুমাবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। কোরআন ও হাদিসে এ দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার কথা উল্লেখ রয়েছে। জুমার দিনে অনেকেই বিভিন্ন আমল করার চেষ্টা করেন, শুধু আল্লাহকে খুশি করার জন্য।

রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন অন্য দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এমনকি এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। (সুনানে ইবনে মাজা)

আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা)

জুমার দিন একজন মুসলমান বিশেষ চারটি আমলে ‍গুরুত্ব দিতে পারেন। আমলগুলো হলো

সূরা কাহাফ তিলাওয়াত:

জুমার দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।

হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)

হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে ৮ দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা:

জুমার দিনের ফজিলতপূর্ণ আরেকটি আমল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। রাসুল (সা.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এ দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এ দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এ দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব তোমরা এ দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা, তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

তাড়াতাড়ি মসজিদে আগমন:

হজরত আউস ইবনে আউস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)

দোয়া করা:

জুমার দিনের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। তাই এদিন আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা জরুরি। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ক‍াছে যা চাই আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস : ১৩৮৯)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এখন প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালো।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তীব্র দাবদাহের কারণে জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।

চলতি বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। শুধু চলতি বছর নয়, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর টানা প্রায় ১৩ দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশপাশেই থাকছে। টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বর্তমানে সে তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। দাবদাহের কারণে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আজও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে উত্তাল গাজীপুর

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও বার্ষিক ছুটির টাকার দাবিতে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী জরুন এলাকায় কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে। সোমবার (০১ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে কোনাবাড়ী-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেডের আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, ফেব্রুয়ারির বকেয়া বেতন, ছুটির টাকা ও ঈদ বোনাস দিতে চেয়েও দেয়নি। এ কারখানায় প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক আছে। বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও বার্ষিক ছুটির টাকা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানায় শ্রমিকরা।

সাইফুল ইসলাম নামে এক শ্রমিক বলেন, আর কয়েক দিন পর ঈদ। এখনও বেতন-বোনাস পাচ্ছি না। ছেলেমেয়ে নিয়ে কীভাবে ঈদ করব? কয়েক দিন পর ছুটি হয়ে যাবে, টাকা না দিলে বাড়ি যাব কীভাবে? আজকের মধ্যেই আমাদের টাকা পরিশোধ করতে হবে।’

তবে এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আশরাফ উদ্দিন বলেন, একটি কারখানার শ্রমিকরা বেতন-বোনাসের দাবিতে আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে সকাল থেকে বিক্ষোভ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। মালিক-শ্রমিক দুই পক্ষের সঙ্গেই আলাপ-আলোচনা চলছে৷’


আরও খবর