প্রতিপক্ষের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন আহত শিক্ষার্থী রাজু মোল্লা (২৩)। মামলায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ ছাত্রসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলো-ইংরেজি বিভাগের তানজিদ মঞ্জু, সিহাব উদ্দিন, মাকের্টিং বিভাগের রমজান হোসেন, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের হাসিব রায়হান মুন্না, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের রফিকুল ইসলাম ইমু, নাইমুর রহমান, ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের ফারদিন খান, গণিত বিভাগের দেলোয়ার হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ফাত্তাহুর রাফি, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ের আলভীর ইসলাম এবং হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শাওন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের জন্য বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে সশস্ত্র অবস্থায় আবাসিক হলের কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর, ভাঙচুর, ক্ষতিসাধন, অবৈধভাবে আটকে মারধরসহ চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বরাতে বন্দর থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, মামলার বিবাদীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারে বাদীর বিরোধ রয়েছে। এর জেরধরে গত শনিবার রাতে শের-ই বাংলা হলের বাদীর ২০০৭ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করেন আসামিরা। ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আসামিরা বাদী রাজু মোল্লাকে এলোপাথাড়িভাবে মারধর করেন। তারা কক্ষে থাকা ৮৬ হাজার টাকা মূল্যের ল্যাপটপ ভাংচুর করে এবং টেনে-হিঁচড়ে ২০০৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে আটক করে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দা দিয়ে মাথায় আঘাত করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর রাজুর কক্ষের অপর দুই শিক্ষার্থী মিলন হোসাইন ও সিফাত হোসাইনকে ডেকে নিয়ে আসামিরা মারধর করে। পরে হলের প্রভোস্ট আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ওসি আরও বলেন, মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।