বরগুনার আমতলীতে পিকনিকের বাস খাদে পড়ে মো. ইসমাইল হোসেন (৫২) নামের একজন নিহত হয়েছে। এ সময় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৮ জন আহত হয়েছে। আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ভোর ৫ টার দিকে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের চাওড় ইউনিয়নে ঘটখালী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এসময় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইসমাইল হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ইসমাইল হোসেন নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার সল্পের চর গ্রামের শামসুদ্দিন বেপারীর ছেলে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় আহত সকলের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সল্পের চর গ্রামের বাসিন্দা।
আহতরা জানান, ঢাকার নারায়ণগঞ্জে বন্দর থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে পিকনিক করতে বুধবার রাতে কুয়াকাটা রওনা দেয়। তাদের বহনকারীর সেন্টমার্টিন বাসটি আমতলী উপজেলা চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালী নামক স্থানে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় ওই বাসে ৪৫ জন যাত্রীর মধ্যে ১৮ জন গুরুতর আহত হন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইমরান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১৮ জন হাসপাতালে এসেছিলেন। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
আমতলী থানার এসআই আব্দুল বারেক বলেন, আমরা খবর শুনে আমতলী হাসপাতালে যাই এবং যারা গুরুততর আহত তাদেরকে পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ওখানে কোন নিহতের খবর আমরা পাইনি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখাওয়াত হোসেন তাপু বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন যারা গুরুতর আহত ছিল তাদেরকে পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কেউ মারা গিয়েছেন কিনা তেমন কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।