আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বরগুনায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-ছেলে নিহত, আহত ৩০

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বরগুনা প্রতিনিধি:

দুই পরিবহন গাড়ীর মুখোমুখি সংঘর্ষে মা আয়শা বেগম এবং ছেলে আয়ান নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার বিকেলে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া নামক স্থানে।

জানাগেছে, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কুয়াকাটাগামী সেবা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৭২২৯) ও কুয়াকাটা থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৭৮৩৫) পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলীর আমড়াগাছিয়া নামক স্থানে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গাড়ী দুটি দুমড়ে মুরচে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে সেবা পরিবহনের যাত্রী মোসাঃ আয়শা বেগম (৩২) ও তার ছেলে আয়ান (১) মারা যায় এবং ৩০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ইমরান, খাদিজা, মরিয়ম, চন্দন মল্লিক, রেরেকা সুলতানা, লতিফা, শাহীন ও রাজিবকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক কেএম তানজিরুল ইসলাম তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত আয়শা বেগম ও ছেলে আয়ানের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার কাঠগড় ধুমপাড়া এলাকায়।

নিহত আয়শার মেয়ে আহত মরিয়ম বলেন, বাবা-মা ও তিন ভাই বোনে মিলে গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম থেকে মহিপুর এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও আমার ভাই মারা গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী রুবেল হাওলাদারসহ কয়েকজন বলেন, দ্রুত গতির দুই গাড়ীর মুখোমুখি সংঘর্ষে গাড়ী দুটি সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে অনেক হতাহত হয়েছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার কেএম তানজিরুল ইসলাম বলেন, গুরুতর আহত ২০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল, পটুয়াখালী ও খুলনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। সেবা পরিবহনের যাত্রী মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়েছে।


আরও খবর



জিম্মি জাহাজে অভিযানের ঘোষণা, কি আছে নাবিকদের ভাগ্যে!

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি নাবিকদের ওপর চাপ দিচ্ছে সোমালি জলদস্যুরা। জাহাজটি জিম্মি হওয়ার পর থেকে দস্যুদের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন সংবাদের পর অভিযান বন্ধ করতে নাবিকদের ওপর চাপ দিচ্ছে দস্যুরা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত দুদিন আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী এমভি আবদুল্লাহকে বেশ চাপের মুখে রেখেছে। যুদ্ধজাহাজগুলো এমভি আবদুল্লাহর দেড় মাইলের মধ্যে অবস্থান নিয়েছে। ফলে জলদস্যুরা জাহাজের নোঙর তুলে আরও ভেতরে চলে গিয়ে তীরের মাত্র দেড় মাইল দূরে নোঙর করেছে।

জলদস্যুরা এটাও বলেছে যে, বাড়াবাড়ি করলে জাহাজ তীরে তুলে দেবে। তবে দুই নৌবাহিনী এখনো বিভিন্নভাবে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে বলে জানান আতিক ইউ এ খান।

তিনি আরও জানান, নৌবাহিনীর চাপে নাবিকদের এখন ২৪ ঘণ্টাই জাহাজের ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকি টকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে।

এদিকে জিম্মি হওয়া জাহাজের মালিকপক্ষ ও সরকার নাবিকদের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে কোনো ক্ষতি ছাড়াই নাবিক ও জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আমরা কোনো ধরনের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করছি না। তা ছাড়া রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও সুস্পষ্ট বার্তা হচ্ছে সহিংস অভিযান পরিচালনা করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে মধ্যস্থতার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। জাহাজে ২৩ নাবিক জিম্মি রয়েছেন।


আরও খবর



স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন, সংসদে বিল পাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রণীত দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করেছে সরকার। আইনটি এতদিন বিভিন্ন মেয়াদে সময় বাড়িয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এবার সময় বাড়ানোর পরিবর্তে স্থায়ী রূপ দিতে জাতীয় সংসদে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল পাস করা হয়েছে। এসময় বিরোধী দলের নেতারা সমালোচনা করে সংসদে আইনটি স্থায়ী না করার প্রস্তাব দিলেও কণ্ঠভোটে তা নাকচ হয়ে যায়।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

২০০২ সালে প্রথম এই আইনটি করা হয়েছিল দুই বছরের জন্য। এরপর ৭ দফা এই আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আইনটি সংশোধন করে মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ৯ এপ্রিল এই আইনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে আইনটির মেয়াদ না বাড়িয়ে তা স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিন মন্ত্রিসভায় বিলের খসড়া অনুমোদনের পর মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত বিল সংসদে পাস হলো। বিলে আইনটি স্থায়ী করা ছাড়া অন্যকোনো সংশোধনী আনা হয়নি।

বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার যখন আইনটি করেছিল তখন আপনারা (তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ) বলেছিলেন এটি নিপীড়নমূলক ও কালো আইন। এই আইনটা রাজনৈতিক কারণ বা সরকার চাইলে যেকোন কারণে নাগরিককে হয়রানি করতে পারে। সে আইনটা আপনারা রেখেছেন। আমি জানি না কেন রেখেছেন?

চুন্নু বলেন, যখন আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন না, স্থায়ীভাবে আইনটা করবেন, অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবেন, তখন উদ্দেশ্য তো ভালো নাও থাকতে পারে। আপনারা কি এটা বলতে চান, বিএনপি যে আইনটা এনেছিল তা ভালো ছিল? এটাই আজকে স্বীকার করুন। র‌্যাবের যখন গঠন করা হয়েছিল আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেছিল। সেই র‌্যাব এখন টিকে আছে, তারা কাজ করছে। সরকারের কাছে অনুরোধ, যদি প্রয়োজন পড়ে এক/দুই বছর আইনের মেয়াদ বাড়ান। কিন্তু আইনটা স্থায়ী করবেন না, করলে ভবিষ্যতে একদিন আপনাদের এমন অবস্থা হবে, সেদিন আফসোস করবেন।

জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আইনটি আনা হয়েছিল বিএনপির সময়। ওই সময় আমরা ও আজকের আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধিতা করেছিলাম। তারপরও আইনটি পাস হয়েছিল। আজকেও পাস হবে। আমার প্রশ্ন হলো যার জন্য গর্ত খুঁড়বেন, নিজেকেই সেই গর্তে পড়তে হয়। আজকে বিএনপি সেই গর্তে পড়েছে। এখন আওয়ামী লীগ আইনটিকে স্থায়ী করতে নিয়ে এসেছে। দিন এক রকম থাকবে না। তিনি আইনটিকে স্থায়ী না করে পাঁচ/চার বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।

বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে আইনটি করার সময় বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতি ছিল বলে দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সেসময় নানা ধরনের অপরাধ হতো, তাই হয়ত আইনটি তৎকালীন সরকার করেছিল। আমি মনেকরি আইনটি করার উদ্দেশ্য ছিল তাৎক্ষণিক বিচার যেন মানুষ পায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীরা যাতে শাস্তি পায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যরা অনেক সময় আমাদের কাছে পাঠান যেন এ আইনের মাধ্যমে বিচার হয়। শুধু সংসদ সদস্য না, অনেকেই আইনটি ব্যবহার করার জন্য আমাদের কাছে সুপারিশ পাঠান। কারণ একটাই যাতে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে অপরাধীরা শাস্তি পায়। সংসদ সদস্যদের কেউ বলেনি আইনটি বাতিল করে দেন। কেউ বলেননি আইনটি যথাযোগ্য নয়। তারা সময় বৃদ্ধি করে দিয়ে আইনটি চালু থাকার কথা বলেছেন। আইনটি একই রকম আছে আমরা কোনো রকম সংশোধন করি নাই। কাউকে উদ্দেশ্য করে বা ক্ষতি করার জন্য আইনটি হয়নি। কোনো রাজনৈতিক নেতা বলতে পারবেন না, এ আইনের মাধ্যমে শাস্তি হয়েছে।

সংশোধনীর আলোচনায় মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আইনটি ভালো। তাহলে বিএনপি যখন আইনটি করেছিল আপনারা তার বিরোধিতা করেছিলেন কেন? এখন ভালো হয়ে গেল! আপনি বলেছিলেন, অপপ্রয়োগ হয় কিনা যারা আন্দোলন করছে তারা বলতে পারবে। আমরা যদি কখনো আপনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাই তখন বলতে পারব অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনটি কখন আনা হয়েছিল তা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। শান্তির পরিবেশ তৈরির জন্য আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে।


আরও খবর



এনআইডি সংক্রান্ত দুর্নীতিতে কোনো ছাড় দেব না: সিইসি

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত দুর্নীতিতে আমরা কোনো ছাড় দেব না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে দ্বিধান্বিত হব না।

শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন হুঁশিয়ারি দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, এনআইডির গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। এটা এখন অপরিহার্য। সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে অনেক সময় সংকট দেখা যায়। এটা এখনো যায়নি। তবে আগের চেয়ে এনআইডি এখন অনেকটাই সুষ্ঠু অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। এটা ছাড়া অনেক কাজ এখন আমিও করতে পারব না।

সিইসি বলেন, খুব বেশি নয়, যারা অতি চালাক তারা একাধিক কার্ড করে ফেলেন। তাই আমাদের কর্মকর্তারা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করবেন। সম্পত্তি বেহাত করার জন্য যে এনআইডি কার্ড করা হয় আমি হয়তো ভুল করে দিতে পারি। কিন্তু সচেতনভাবে অপরাধের সঙ্গে অংশ হিসেবে যদি এটা আমরা করে থাকি তাহলে আমাদের টলারোন্স জিরো হবে। আমরা ওই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে হস্তান্তর করতে দ্বিধান্বিত হব না।

তিনি বলেন, এখন এনআইডিরই বাই প্রোডাক্ট হয়ে গেছে ভোটার কার্ড। এনআইডি বিষয় আজ নয়, আজ ভোটার দিবস। কীভাবে এটি বর্তমান পর্যায়ে এলো এটি ইতিহাসের একটা বিষয়।

সভায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাদেশা সুলতানা, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ সংস্থাটির সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



পদত্যাগ করলেন পেরুর প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে পদত্যাগ করেছেন পেরুর প্রধানমন্ত্রী অ্যালবার্তো ওটারোলা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক নারীকে অন্যায্য সুবিধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আজ বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী এবং পিনাডো নামে ওই নারীর কথোপকথনের এক ক্লিপ প্রকাশ করে স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম প্যানারোমা টিভি। এরপরই তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অডিও ক্লিপে ওটারোলাকে ওই নারীর প্রতি তার ভালোবাসার কথা ঘোষণা করতে শোনা যায় এবং তাকে তার সিভি পাঠাতে বলতে শোনা যায়।

যদিও প্যানোরামার রিপোর্ট অনুসারে কোনও অবৈধ কাজ করার কথা অস্বীকার করেছেন ওটারোলা। তিনি বলেন, মাত্র একবার বৈঠকে পিনেডোর সাথে দেখা করেন। মঙ্গলবার পেরু সম্প্রচারমাধ্যম ক্যানাল এনকে তিনি বলেন, এর আগেও তার সঙ্গে তার খুব অল্প সময়ের সম্পর্ক ছিল।

দুজনই বলেছেন, অডিও রেকর্ডিংগুলো ২০২১ সালে ওটারোলা মন্ত্রী হওয়ার আগের। এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে ওটারোলা দাবি করেন, 'আমি জনগণের কাছ থেকে এক পয়সাও চুরি করিনি। আমার প্রশাসনে কোনো অনিয়মিত চুক্তি হয়নি।


আরও খবর



অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্য আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের ভাদসা এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যক আটক করেছে র‌্যাব।

আটককৃতরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার পন্ডিতপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে  রাব্বি হোসেন (২১), বামনপাড়া গ্রামের পরিমল চন্দ্রের ছেলে শ্রী প্রিয় সৌরভ (২০) ও পাবর্তীপুর গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে রিসাদ হোসেন (২১)।

রোববার (৩ মার্চ) সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট র‌্যাব-৫ সিপিসি-৩ কোম্পানি অধিনায়ক মেজর শেখ সাদিক।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমসাময়িক সময়ে জয়পুরহাট এ কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিশোর গ্যাংদের আচরণে এলাকাবাসীরা আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এমন কোন অপরাধ নেই যার সঙ্গে এরা জড়িত হচ্ছে না। এরই প্রেক্ষিতে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র‍্যাব।

র‍্যাব আরও জানায়, এরই প্রেক্ষিতে শনিবার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যদের অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করা হয়।

র‍্যাব আরও জানায়, পরবর্তীতে অটককৃত আসামিদের জয়পুরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর