উপকূলীয় জেলা বরগুনায় হিমেল হাওয়া ও হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে খেটে খাওয়া, শ্রমজীবীসহ নিম্ন আয়ের মানুষজন। বেলা গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা। ফলে বেড়েছে ঠান্ডার মাত্রা।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গুগল ম্যাপ অনুযায়ী রেকর্ড করা হয়েছে ১০° ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় ও সূর্যের দেখা না মেলায় ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কাজে বের হয়ে শীতের কষ্টে ভুগছেন।
শহরের দোকানদার নোমান খান বলেন, সকালে উঠে দোকান খুলতে হয়। তবে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হওয়ার উপক্রম। শিরশির বাতাস কাপড় ভেদ করে শরীরে লাগছে। এতে শরীর কাঁপুনি দিচ্ছে। কিন্তু দোকান না খুললে পরিবারকে খাওয়াবো কি!
রিক্সা চালক শামসু হক বলেন, সকালে নামাজ পরেই গাড়িটা নিয়ে বের হইছি। বয়স হয়েছে তো তাই সারাদিন চালাতে পাড়ি না। কোন রকম একবেলা চালিয়ে সংসার চালাই। তাও ঠান্ডায় দুদিন ধরে অসুস্থ বোধ করছি।
আয়লা-পাতাকাটা ইউনিয়নের কৃষক হানিফ হাওলাদার বলেন, ধান ক্ষেতে কাজ করতেছি। ঠান্ডায় কাজ করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। সূর্যের তাপের কথা চিন্তা করে বেড়িয়েছি, কিন্তু বেলা গড়িয়ে যাচ্ছে এখনো সূর্য উঠেনি।