আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বরগুনায় পানির নিচে রাস্তা, ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচল

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে বিদ্যালয়ে রাস্তা শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি ও চরম ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছেন। বরগুনার তালতলী উপজেলার উত্তর কড়ইবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে বিদ্যালয়টি তলিয়ে না গেলেও চারপাশসহ চলাচলের সড়কটি চলিয়ে গেছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে শিশুরা স্কুলে আসা-যাওয়া করছে। এই সড়ক দিয়ে শুধু এই প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, দুটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও চলাচল করে। কিন্তু গত ৩৫ বছরেও এই সড়কে কোনও উন্নয়ন কাজ হয়নি।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪০ সালে ৬৬ শতাংশ জমির ওপর ১০নং উত্তর কড়ইবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি পাকা ভবন থাকলেও সেটিও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে ক্লাসরুম হিসেবে অস্থায়ীভাবে একটি টিনশেট ঘর করা হয়েছে।

বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৫ জন। শিক্ষক আছেন ৪ জন। প্রতি বছর সমাপনী পরীক্ষায় এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে থাকে। কিন্তু বিদ্যালয়টি বিলের মাঝে হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের একমাত্র সড়কটি তলিয়ে যায়।

অভিভাবকদের অভিযোগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বার বার আশ্বাস দিলেও কখনো সড়কটি সংস্কার করেনি। এতে শিশুরা বৃষ্টির সময় ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করে। আমাদের দাবি, সড়কটি উঁচু করে পাকা করে দেওয়া হোক।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলে, প্রতিদিন দুইটা পোশাক নিয়ে স্কুলে আসি, কারণ কাদা দিয়ে হাঁটতে গেলে মাঝে মধ্যে পড়ে যাই। তখন স্কুলে এসে সেটা পালটাইয়া ফেলি। অনেক সময় স্কুলে আসতেও পারি না। বর্তমানে বৃষ্টির পানিতে সড়কটি পুরো তলিয়ে গেছে।

পঞ্চম শ্রেণীর আরিফ হোসেন বলেন, আমাদের দাবি, সড়কটি উঁচু করে দেওয়া হোক। প্রতিদিন কাদা-পানি প্যান্ট স্কুল ড্রেস নষ্ট হয়ে যায় প্রতিদিন তো ড্রেস ধোলাই করা সম্ভব না। আমার তিন কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে আসতে হয়।

উত্তর কড়ইবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিদা বেগম বলেন, সামান্য বর্ষায় সড়কে হাঁটু সমান পানি জমে থাকে। বর্তমানে ভারী বৃষ্টিতে সড়কটি পুরো তলিয়ে রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে খুবই কষ্ট হয়। কেউ পানি-কাদার ভয়ে স্কুলে আসতে চায় না। এমন চলতে থাকলে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

কড়বাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম শিকদার পনু বলেন, গত অর্থবছরে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। আগামী অর্থবছরে পরিষদ থেকে সড়কটি সংস্কার করা হবে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, বিদ্যালয়টি নিয়ে কখনোই শিক্ষকরা আমার কাছে আসেনি বা কখনো চিঠিও দেয়নি তারা। খুবই দুঃখজনক আমি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে যা কিছু দরকার সব ব্যবস্থা করে দেব।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। এতে ঘটছে একের পর এক রেকর্ড। সর্বশেষ কার্যদিবস শুক্রবারও সোনার দামে বড় উত্থান হয়েছে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে দামি এই ধাতু। প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ২৩০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

শুধু শুক্রবার নয়, মার্চজুড়েই বিশ্ববাজারে সোনার দাম এমন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার বা দুই দশমিক ২৬ শতাংশ। মার্চ মাসে বেড়েছে ১৮৯ দশমিক ২০ ডলার বা নয় দশমিক ২৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় উত্থান হলেও এখনো দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকলে এবং স্থানীয় বাজারে সোনার চাহিদা বাড়লে ও তেজাবী সোনার দাম বাড়লে নতুন করে আবার দাম বাড়ানো হতে পারে।

এ বিষয়ে বাজুসের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, সোনার অস্বাভাবিক দাম হওয়ার কারণে দেশের বাজারে বিক্রি অনেক কমে গেছে। তবে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকলে এবং স্থানীয় বাজারে চাহিদা বাড়লে নতুন করে সোনার দাম বাড়ানো হতে পারে। এ জন্য আগামী কয়েকদিন স্থানীয় বাজারের চিত্র পর্যবেক্ষণ করবে বাজুস।

নতুন করে দাম বাড়ানো হলে বাংলাদেশের বাজারেও সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। অবশ্য বর্তমানে রেকর্ড দামেই বিক্রি হচ্ছে দামি এই ধাতু। দেশের বাজারে সোনার দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ, যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সেদিন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ আট হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে এই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর পাঁচ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম তিন হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে রোববার (৩১ মার্চ) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এক লাখ ২৩ হাজার ২৭৭ টাকা গুনতে হচ্ছে।

দেশের বাজারে সর্বশেষ যখন সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। অর্থাৎ দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর পর এরই মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৮০ ডলারের মতো বেড়ে গেছে।

বিশ্ববাজারের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ১৮০ দশমিক ৯২ ডলার। সেখান থেকে বেড়ে এখন প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩২ দশমিক ৩৮ ডলার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার বা দুই দশমিক ২৬ শতাংশ।

আর মার্চ মাসেরে শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ৪৩ দশমিক ৬৩ ডলার। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ১৮৯ দশমিক ২০ ডলার বা নয় দশমিক ২৬ শতাংশ।

এদিকে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, চলতি বছর প্রতি আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ৩০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংর চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের যে রেকর্ডটা আমরা দেখেছি প্রতি আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ৩০০ ডলার এই বছর হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, বিশ্বাবাজারে সোনার দাম বাড়ছে, আমাদেরকেও তার সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে হবে। আমরা বেশি দামে কিনলে, বেশি দামে বিক্রি করবো। এর বিকল্প নেই। দাম বেশি হওয়ার কারণে এখন আমাদের সেল কম হচ্ছে। দামটা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দামটা কমলে হয় তো তখন মানুষ আবার কেনাকাটা শুরু করবে।


আরও খবর



চৈত্র সংক্রান্তি আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষদিন আজ শনিবার। বাংলা মাসের সর্বশেষ দিনটিকে সংক্রান্তির দিন বলা হয়। এছাড়া আগামীকাল রোববার পহেলা বৈশাখ, নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১।

আবহমান বাংলার চিরায়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। মনে করা হয়, চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব।

চৈত্র সংক্রান্তির দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শাস্ত্র মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস করে থাকেন। নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।

এছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে নানা ধরনের মেলা ও উৎসব হয়। হালখাতার জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, সংযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয় চৈত্র সংক্রান্তি।

চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব চড়ক। চড়ক গাজন উৎসবের একটি প্রধান অঙ্গ। এ উপলক্ষে গ্রামের শিবতলা থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে অন্য গ্রামের শিবতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। একজন শিব ও একজন গৌরী সেজে নৃত্য করে এবং অন্য ভক্তরা নন্দি, ভৃঙ্গী, ভূত-প্রেত, দৈত্য-দানব সেজে শিব-গৌরীর সঙ্গে নেচে চলে।

চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে আগামী রোববার সফলতা ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় দেখা দেবে নতুন ভোর। পুরোনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে রোববার বাঙালি মিলিত হবে পহেলা বৈশাখের সর্বজনীন উৎসবে। জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনার সব কিছুকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার থাকবে গোটা জাতির।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে দুই নারী ও এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার কাঠালিয়া ও সদর উপজেলায় সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন জেলার কাঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরাবাদ গ্রামের হেলেনা বেগম, ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখের ইউনিয়নে মিনারা বেগম ও সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের ইসালিয়া গ্রামের মাহিয়া আক্তার ঈশানা।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলার মুন্সিরাবাদ গ্রামের হেলেনা বেগম বৃষ্টিতে ঘরের বাইরে নামলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। অন্যদিকে সদর উপজেলায় মাঠে গরু আনতে যাবার সময় মাহিয়া আক্তার শিশু নিহত হয়। সদর উপজেলায় ঝড় বৃষ্টি চলাকালে মিনারা বেগম গুরুতর আহত হন। পরে দুপুরের দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারা বেগমের মৃত্যু হয়।

ওসি আরও বলেন, সকালে তাণ্ডব চালানো এই বজ্রসহ ঝড়ে ঝালকাঠি জেলার চার উপজেলায় শতাধিক বসতঘর ভেঙে পড়েছে। এ সময় গাছপালারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সকাল থেকেই পুরো জেলায় বিদ্যুতসংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। দুপুর দেড়টায় ঝালকাঠি শহরে বিদ্যুৎ আসলেও রাজাপুর ও কাঠালিয়াসহ অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।


আরও খবর



ঈদে পোশাক শ্রমিকদের জন্য থাকছে বিশেষ ট্রেন: রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো পোশাক শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। আজ রবিবার দুপুর ২টায় রাজবাড়ীর পাংশায় জেলা পরিষদ ডাক বাংলোতে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এ জানান রেলমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঈদযাত্রায় নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে যাতে তারা বাড়ি যেতে পারে, এ ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য আগামী দুই দিন আমরা আলাদা বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

মো. জিল্লুল হাকিম আরও বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাঁড়িয়ে যাওয়ার জন্য স্ট্যান্ডিং টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তাদের জন্য আলাদা বগি ও সকল প্রকার সুবিধার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক বাজারে একের পর এক ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে স্বর্ণ। বুধবার (৩ এপ্রিল) আরেক রেকর্ড গড়েছে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটি। প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্সের দর উঠেছে ২২৯৪ ডলারে। বিশ্ববাজারে যা নতুন নজির। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি চড়া হয়েছে। তবু সুদের হার কমাতে চাচ্ছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। ফলে মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান কমেছে। সঙ্গত কারণে বুলিয়ন বাজার আরও চাঙা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে আলোচ্য কার্যদিবসে স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। আউন্সপ্রতি মূল্য স্থির হয়েছে ২২৯২ ডলার ৩১ সেন্টে। দিনের শুরুতে যা ছিল ২২৯৪ ডলার ৯৯ সেন্ট। বিশ্ব ইতিহাসে তা সর্বকালের সর্বোচ্চ। এর আগে কখনও এত দাম দেখেননি বিশ্ববাসী।

নিউইয়র্কভিত্তিক স্বাধীন ধাতু ব্যবসায়ী তাই ওয়াঙ বলেন, চলতি বছর আর কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল। এরপরই আরেক ঐতিহাসিক উচ্চতায় উঠেছে স্বর্ণের দর। আমি মনে করি, আউন্সে মূল্য শিগগিরই ২৩০০ ডলারে পৌঁছাবে। তাতে বিনিয়োগকারীরা আরও আকৃষ্ট হবেন।

আগামী ১১ থেকে ১২ জুন বৈঠবে বসবেন ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময়ই সুদের হার কমানোর ঘোষণা দেবেন তারা। এমনটি হলে স্বর্ণের দাম আরও বাড়বে।


আরও খবর