বরগুনার তালতলীতে
প্রাইভেট শিক্ষকের বেতনের টাকা নিয়ে মায়ের সঙ্গে অভিমানে সিমা (১৭) নামের এক কলেজ
শিক্ষার্থী আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলা পূর্বঝাড়াখালী
এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত্যু সিমা উপজেলার
পূর্ব ঝাড়াখালীর খালেক আকন্দের মেয়ে।
পুলিশ ও পরিবার
সূত্রে জানা যায়, সিমা তালতলী সরকারি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থ ছিল। আর্থিক সংকটে
নিয়মিত ক্লাস করতে না পারায় প্রাইভেট পড়তো ওই কলেজের এক শিক্ষকের কাছে। সিমা প্রাইভেট
শিক্ষকের বেতনের টাকা দিতে পারছিল না কয়েক মাস ধরে। মায়ের কাছে প্রাইভেট শিক্ষকের বেতনের
টাকা চাইলে সিমার বাবা দিনমজুরের কাজ করায় টাকা দিতে কিছুদিন সময় চান মা। আজ শনিবার
প্রাইভেটের টাকা নিয়ে সকালে সিমা ও তার মায়ের কথার কাটাকাটি হয়। পরে মায়ের সঙ্গে অভিমান
করে নিজ ঘরের আড়ায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সিমা। পরে তালতলী পুলিশের একটি টিম
গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।
সিমার মা বলেন,
আমরা গরিব, তবুও মেয়েকে লেখাপড়ার জন্য চেষ্টা করেছি। প্রাইভেটের টাকার জন্য আমার
সঙ্গে একটু মনোমালিন্য হয়। তবুও প্রাইভেটের ৫'শ টাকা আমি দিয়েছি কষ্ট করে। এরপরেও
মেয়ে কলেজে না গিয়ে আত্মহত্যা করে।
তালতলী সরকারি
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান বলেন, সীমা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিল। তবে
সে নিয়মিত ক্লাসে আসত না। তাছাড়া কোন শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ত, সেটা আমার জানা
নেই।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, প্রাথমিকভাবে যতটুকু জেনেছি, সেটা হলো প্রাইভেটের টাকা নিয়ে মায়ের সাথে মনোমালিন্য হয়। এ কারণে হয়তোবা আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।