কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে
মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬। গ্রীষ্মমন্ডলীয় একটি ঘূর্ণিঝড় চলতি সপ্তাহে অঞ্চলটিতে
আঘাত হানলে টানা বৃষ্টি শুরু হয়। এতে নদীর পানি বেড়ে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বুধবার
এক বিবৃতিতে এসব নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল কর্তৃপক্ষ।
রয়টার্সের হাতে আসা ভিডিওতে দেখা যায়, রিও গ্রান্ডে ডো সুল রাজ্যের মুকুম শহরের রাস্তা বন্যার পানিয়ে তলিয়ে গেছে। অনেক বাড়ি-ঘরে ঢুকেছে পানি। লাজেডো এবং রোকা সেলস শহরও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭৪ বছর বয়সী শ্রমিক মিনগুয়েজ ফন্টানা মুকুমের বন্যা থেকে রক্ষা পেলেও, বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে তার।
তিনি বলেন, ‘পানি যখন ঢোকা শুরু করে তখনই আমি পালিয়ে যাই। কারণ সেখানে থাকলে মৃত্যু কেউ ঠেকাতে পারতো না।’ মঙ্গলবার থামলেও বুধ এবং বৃহস্পতিবার আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন ব্রাজিলের আবহাওয়া কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, রবিবারের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
রিও গ্র্যান্ডে দো সুলের এই বন্যা ব্রাজিলের
সর্বশেষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। চলতি বছর সাও পাওলো রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিতে ভূমিধস ও বন্যার
কারণে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
রিও ডি জেনিরো এবং বাহিয়া রাজ্যের কাছে ঔপনিবেশিক যুগের শহর পেট্রোপলিস একই রকম বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলের প্রতিবেশী রাজ্য সান্তা ক্যাটারিনায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা
দা সিলভা বলেন, ‘রিও গ্রান্ডে ডো সুলের গভর্নর এডুয়ার্ডো
লেইটের সঙ্গে কথা হয়েছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান তদারকি করতে দুই মন্ত্রীকে পাঠানো
হচ্ছে রাজ্যটিতে।’