ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে উর্মিলা আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূকে স্বামীর বাড়িতে হারপিক খাইয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে স্বামী ও শাশুড়ি বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৯ জুন) রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্ত্রী উর্মিলা। নিহত উর্মিলা একই উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে।
এ বিষয়ে উর্মিলার মা কল্পনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “তিন বছর আগে আমার মেয়ের আশুগঞ্জ উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে মো. আনিসের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে টাকার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই তাকে মারধর করতে। আমাদের বাড়িতে আসতে তাকে বাধা দিত। শনিবার রাতে আবারও আমার মেয়েকে তারা মারধর করে। পরে তার মুখে চাপ দিয়ে জোর করে টয়লেট ক্লিনার 'হারপিক' খাইয়ে দেয়। মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর আমাদের জানালে আমরা দ্রুত হাসপাতালে আসি। আমরা হাসপাতালে আসার পরই স্বামীর বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে রেখে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। এর অল্প কিছুক্ষণ পরেই আমার মেয়ে মারা যায়। আমি এ ঘটনায় আমার মেয়ের জামাইসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
নিহত গৃহবধূ উর্মিলার স্বামী মো. আনিসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সুজন চন্দ্র পাল বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতারে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।