আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে স্বাস্থ্যসেবা!

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ভবনের সামনে সরকারি খাল ও একটি টয়লেট। পেছনে বিশাল পুকুর। তার ঠিক মাঝখানে একতলা বিশিষ্ট একটি ভবন। প্রথম দেখায় মনে হবে পরিত্যক্ত কোন ভূতুড়ে স্থাপনা। এর পাশ দিয়ে মানুষ যেতেও ভয় পায়। কিন্তু না, জীবনের ঝুঁকি জেনেও এই ভবনেই প্রতিদিন আসছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপিসহ) স্বাস্থ্য সহকারীরা। নিয়মিত দিচ্ছেন স্বাস্থ্যসেবাও।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের বেশ কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকের চিত্র এটি। সম্প্রতি ধরমন্ডল ইউনিয়নের দৌলতপুর ও চাপরতলা ইউনিয়নের কালিউতা গ্রামে ঘুরে ক্লিনিকগুলোর এ চরম দুরাবস্থার দৃশ্য চোখে পড়ে। ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা কোনমতে সচল রাখা হয়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অচিরেই গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে ওই এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়া পৌঁছে দিতে ১৯৯৬-২০০০ অর্থবছরে নাসিরনগর উপজেলায় ২২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি ভবন নির্মাণ করা হয় পাঁচশত ভূমির উপর। ভবনগুলো লম্বায় ২৮ফুট ও প্রস্থে ১৬ ফুট। কিন্তু দৌলতপুর ক্লিনিকটির জায়গা দুইশতকও হবে না।

আরো জানা গেছে, এক দশক না যেতেই ৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকের বেহাল দশা বিরাজ করছে। এর মধ্যে তিনটি পরিত্যক্ত অন্যগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। পরিত্যক্ত ক্লিনিক তিনটি হচ্ছে, ধরমন্ডল ইউনিয়নের দৌলতপুর, চাপড়তলা ইউনিয়নের কালিউতা ও গোয়ালনগর ইউনিয়নের কদমতলী।

ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিনিক হচ্ছে- ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া, গোকর্ণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রাম ও নূরপুর, পূর্বভাগ ইউনিয়নের নরহা, হরিপুর ইউনিয়নের আলিয়ারা ও ধরমন্ডল ইউনিয়নের ধরমন্ডল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনায় ও স্বাস্থ্যসেবার জন্য একজন করে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) আছেন। এসব ক্লিনিকে প্রসূতি মায়েদের প্রসব-পূর্ব ও প্রসব-পরবর্তী সেবা দেওয়াসহ জরুরীভিত্তিতে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। সিএইচসিপিদের সহযোগিতা করার জন্য স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবারকল্যাণ সহকারী সপ্তাহের তিন দিন ক্লিনিকে উপস্থিত থাকেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কদমতী, দৌলতপুর ও কালিউতা ক্লিনিক ভবনগুলোর দেওয়ালের চারপাশে ফাটল। ভবনের পেছনের ওয়াল ভেঙ্গে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দরজা-জানালাও ভাঙ্গা। ক্লিনিকের ভবনের একপাশ ভেঙ্গে গেছে, ছাদ থেকে পলেস্তেরা খসে খসে পড়ছে। বেশ কয়েকবার মাথার উপর পলেস্তেরা পড়ে আহত হয়েছেন রোগীসহ সিএইচসিপিরা। ভেতরে ময়লার স্তুপ।

নেই বিদ্যুৎ, পানি ও পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। এ যেন ভূতুরে একটি ঘর। শুধু মানুষ কেন, কোন জীবজন্তুও ঝুঁকি নিয়ে এই ভবনগুলোতে থাকতে চাইবে না। এতকিছুর পরও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ওই ক্লিনিকগুলোর সিএইচসিপিরা ভাড়া ঘরে সেবা দেওয়ার কথা বললে কর্তৃপক্ষ ভাড়ার টাকা দিতে রাজি হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই চাকরি বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি জেনেও সেবা দিয়ে যাচ্ছে না ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে।

দৌলতপুর ক্লিনিকের সিএইচসিপি তাহমিনা আক্তার বলেন, তিন-চার বছর ধরে ক্লিনিকের পেছনের অংশের মাটি সরে গিয়ে ভবনটি এখন মৃত্যুকুপে পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় পুরো ভবনটি ভেঙ্গে গিয়ে প্রাণহানি হতে পারে। ভবনের ভেতরে নেই বিদ্যুৎ, পানি ও পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। ইচ্ছা না থাকলে চাকরির জন্য কেবল জীবনের ঝুঁকি জেনেও কাজ করতে হচ্ছে। কালিউতা ক্লিনিকের সিএইচসিপি শামছুন্নাহার বলেন, আমার এলাকার ক্লিনিকের ভবনের একপাশ ভেঙ্গে গেছে। গত দুই বছর ধরে ভবনটিতে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। ভাড়া নিয়ে কাজ চালিয়ে যাব সেই নিদের্শও দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। আমরাওতো মানুষ, চাকরী করি বলে কি আমাদের জীবনের কোন দাম নেই! তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, পরিবার পরিজনের জন্য ঝুঁকি জেনেও চাকরিটা করছি। তা না হলে কোন সুস্থ মানুষ এই ভবনে গিয়ে চাকরির দায়িত্ব পালন করবে না।

দৌলতপুর গ্রামের কোনাপাড়া মক্তবের ইমাম মো. আক্তার মিয়া বলেন, যে স্থানে কমিউনিটি ক্লিনিকটি করা হয়েছে তার দুই দিকে পানি। সামনে স্থানীয়দের টয়লেট। বাকী দুই দিকে নেই কোন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। তার পরও মানুষ কষ্ট করে চিকিৎসা নিতে আসে। কিন্তু এই ক্লিনিকটি যে কোন সময় ভেঙ্গে প্রাণহানি হতে পারে। এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.অভিজিৎ রায় বলেন, যেসব কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত সেগুলো নতুনভাবে নির্মাণ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। আশা করছি অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।


আরও খবর



ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত তাকে জামিন দেন।

আদালতে মামুনুল হকের পক্ষের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন শুনানিতে অংশ নেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিব উদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।

এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী।

১৮ এপ্রিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে। একই বছরের ৩ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ।


আরও খবর



পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব ফিরে পাচ্ছেন বাবর!

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ভারতে অনুষ্ঠিত সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পর রদবদল শুরু পাকিস্তান ক্রিকেটে। যার দরুণ দলের নিয়মিত অধিনায়ক বাবর আজমকে সরিয়ে দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাতে অবশ্য সাফল্যের দেখা মেলেনি। ফলে আবারও বাবরের দ্বারস্ত হচ্ছে পিসিবি। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান।

পিসিবির একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, শাহীন আফ্রিদিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পণা করছে পিসিবি। বোর্ড ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাবর আজমকে অধিনায়ক হিসেবে পুনর্বহাল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জানা গেছে, প্রথমে শাহীনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য মোহাম্মদ রিজওয়ান বেশ এগিয়ে ছিলেন। বাবর আজমও ছিলেন। তবে পিসিবির সিকিভাগ কর্মকর্তা বাবরকে দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে। তাতে বাবর অধিনায়ক হচ্ছেন, এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

তবে বাবর এ মেয়াদে অধিনায়ক হওয়া নিয়ে দ্বিধায় ভুগছনে বলে জানিয়েছে সূত্রটি। জানা গেছে, আগেরবার অধিনায়কত্ব থেকে অপসারণ করায় অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবর। এর ফলেই আবার দায়িত্ব গ্রহণ করতে দ্বিধা বোধ করছেন তিনি। তবে তিনি বোর্ডকে কিছু শর্ত দিয়েছেন। সেগুলোর নিশ্চয়তা পেলেই কেবল আবার অধিনায়কত্ব করতে রাজি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ বিশ্বকাপের পর বাবর আজমকে সীমিত ফরম্যাট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শাহীন আফ্রিদি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নেতৃত্ব পান। পরবর্তীতে টেস্টের নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান বাবর। তার জায়গায় দলের নেতৃত্বভার পান শান মাসুদ।

তবে নতুন অধিনায়কদের অধীনে কোনো ফরম্যাটেই ভালো কিছু করতে পারেনি পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ায় তিনটি টেস্টই হেরেছে তারা। নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ৪-১ ব্যবধানে হেরে দেশে ফিরতে হয়েছে শাহীনের দলকে।


আরও খবর



উত্তরাঞ্চলের ঈদযাত্রায় স্বস্তির আশা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

উত্তরাঞ্চলের এবারের ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত ও স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এজন্য নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ১৫-২০ হাজার যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পার হলেও ঈদের সময় তা তিনগুণ বেড়ে যায়। এতে সেতুর উভয় প্রান্তে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন ঘরেফেরা মানুষ।

তবে এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে সিরাজগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম প্রান্ত থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর হয়ে চান্দাইকোনা পর্যন্ত বেশকিছু ঝুঁকিপূর্ণ স্থান আমরা চিহ্নিত করেছি। সেগুলো ড্রোন দিয়ে শনাক্ত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এবার ঈদে মানুষের নির্বিঘ্নে বাড়ি যাওয়া নিশ্চিত করতে এবং ঈদের আগে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিত এ স্থানগুলোতে জেলা পুলিশের ৭০৩ জনের বিশেষ টিম ও হাইওয়ে পুলিশের ১৫০ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

হাইওয়ে থানার ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গুবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়ক, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক, হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক ও ঢাকা-পাবনা মহাসড়কসহ সিরাজগঞ্জের ৮৮ কিলোমিটার মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে গঠিত কমিউনিটি পুলিশও কাজ করবে। এতে সড়কে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িকে দ্রুত সড়িয়ে সম্ভব হবে।

যানজট এড়াতে প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল হক খান পাভেল বলেন, যানজটের কারণ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ঈদুল আজহার সময় মোট ৫৯টি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল, যার ৫৩টিই ঘটেছিলে সেতুর ওপর। সেতুর ওপর কোনো গাড়ি নষ্ট বা দুর্ঘটনাকবলিত হলে ঘটনাস্থলে রেকার নিয়ে যেতেই বেশ সময় লাগে। এজন্য এবার সেতুর সংযোগ সড়কের দুই পাশে দুটি রেকার ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি থাকবে। শুধু তাই নয়, সেতুর সংযোগ সড়কের পাশে অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণসহ টোল প্লাজার কাছে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত খাওয়ার পানি রাখা হবে। সবমিলিয়ে এবার উত্তরের মানুষ স্বস্তি নিয়ে ঘরে ফিরে ঈদ উদযাপন করতে পারবে।

সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, মহাসড়কের অবস্থা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো আছে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। তবে সাসেক প্রকল্পের অধীনে চার লেনের কাজ চলমান থাকায় কিছু স্থানে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। আশা করা যায় আইন মেনে যানবাহন চলাচল করলে কোনো সমস্যা হবে না।


আরও খবর



যুদ্ধজাহাজের পাহারায় দুবাইয়ের পথে ২৩ নাবিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে মুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিপণ দেওয়ার পর নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এখন দুবাইয়ের  আল হারমিয়া বন্দরের দিকে রওনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় একাধিক যুদ্ধজাহাজের পাহারায় রয়েছে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি। দুবাই পৌঁছানোর পর জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন নাবিক দল। দুবাই পৌঁছাতে নাবিকদের আরও পাঁচদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া নাবিক মো. শামসুদ্দিন।

শামসুদ্দিনের বোন জামাই বদরুল হক বলেন, শামসুদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব নাবিক সুস্থ আছে। এখন এমভি আব্দুল্লাহর পাশাপাশি একাধিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। শামসুদ্দিন জানিয়েছে, দুবাই পৌঁছাতে আরও পাঁচদিন লাগতে পারে।

আরেক নাবিক হোসেন মো. সাজ্জাদের ভাই মো. মোশাররফ  বলেন,  আমি শুনেছি দুবাই আসার পর নতুন নাবিকেরা জাহাজের দায়িত্ব নেবে। জিম্মি ২৩ নাবিক সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরবেন। সে (নাবিক সাজ্জাদ) আম্মাকে বলেছে, জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের জন্য দোয়া করতে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর



ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১০ দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম আবার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

আজ বৃহস্পতিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষর করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ দাম আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে কার্যকর হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮ হাজার ৮০১ টাকা।

এর আগে গত ৮ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এতে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম হয় ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

গত ৬ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের ৯৪ হাজার ৭৭০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ৭৮ হাজার ৯৬৫ টাকা।


আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪