আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

তরুণ সমাজকে মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে রক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর ঈদগাহ মাঠে তিন গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাধির চৌধুরী। ৭নং রামরাইল ইউনিয়নের বিট পুলিশ ইউনিট ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, রামরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান সেলিম, সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাদাত খান প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, মাদকের ছোবলে দেশের তরুণ যুবশক্তি এখন হুমকির মুখে। মাদকের হাত থেকে সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে জনসাধরণকেও সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। যেখানে মাদকের সন্ধান মিলবে সেখানে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে এবং মাদক বিষয়ে যেকোনো তথ্য পুলিশকে দ্রুত জানাতে হবে।

পরে বিজেশ্বর গ্রাম হতে তিতাস নদীর পার পর্যন্ত পৌনে দুই কোটি টাকার রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাধির চৌধুরী এমপি।

নিউজ ট্যাগ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আরও খবর



কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গায় ছুটলো ট্রেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ট্রেনটি পদ্মা সেতু পার হয়ে ছুটে যাবে ভাঙ্গা রেল স্টেশনে।

বহুল কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের পরীক্ষামূলক এই যাত্রা পরিচালনা করছেন লোকোমোটিভ মাস্টার এনামুল হক ও সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার এম এ হোসেন।


জানা গেছে, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হবে আগামী ১০ অক্টোবর। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এ বিষয়ে বলেছেন, পদ্মা সেতু হয়ে রেলপথ উদ্বোধনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিয়েছেন। সেদিন একটি সুধী সমাবেশও অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জুনে যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্প উদ্বোধন হবে। এ বছর চালু হবে ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ করছে রেলওয়ে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হচ্ছে। আগামী বছর জুনে যশোর পর্যন্ত রেল চালুর লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।


আরও খবর



চট্টগ্রামে পুরনো সাইলো বিএমআরই মাধ্যমে আধুনিকায়ন হবে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা খাদ্যশস্য সুষ্ঠুভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করার জন্য দীর্ঘদিনের পুরনো সাইলোটি বিএমআরই (ব্যালেন্সিং, আধুনিকায়ন, বিস্তার এবং প্রতিস্থাপন) করার উদ্যোগ দেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বেলজিয়ামের প্রতিষ্ঠান ভিগান ইঞ্জিনিয়ারিং এসএ সাইলোটি বিএমআরই করার কাজটি সম্পন্ন করবে। 

জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে গম সরবরাহের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সাইলোর কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে চট্টগ্রাম সাইলোর বিএমআরই করণ প্রয়োজন। জানা যায়, ইতিপূর্বে ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সালে সাইলোটি একবার আংশিকভাবে বিএমআরই করণ করা হয়েছিল। এরপর প্রায় ২৩ বছরে সব যন্ত্রপাতি ও কনভেয়রগুলোর পারফরম্যান্স হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া, বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার সঙ্গে তালমেলাতে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমদানি করা গম খালাস, সংরক্ষণ ও ডেলিভারি কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য চট্টগ্রাম সাইলোটি বিএমআরই করা প্রয়োজন। এ কাজের জন্য বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থেরও বরাদ্দ রয়েছে। বর্তমানে একলাখ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি নতুন সাইলো নির্মাণে ব্যয় আনুমানিক ৮০০ কোটি টাকা থেকে ১০০০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম সাইলো আধুনিকীকরণে স্কোপ অব ওয়ার্ক প্রণয়নের লক্ষ্যে চলতি বছরের গত ২৭ এপ্রিল খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সাইলো সরেজমিন পরিদর্শন করে বিএমআরই করার সুপারিশ করেছে। পরে চট্টগ্রাম সাইলো বিএমআরই করা জরুরি ভিত্তিতে কোনো কাজ সম্পাদন করা দরকার তা নির্ধারণে গত ১৭ আগস্ট পাঁচ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিও একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সরকারি গমের বেশির ভাগ চট্টগ্রাম সাইলোতে খালাস করা হয়। এক লাখ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৫৩ বছরেরও বেশি সময়ের পুরাতন সাইলোটি ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছিল। বর্তমানে সাইলোর যন্ত্রপাতি পুরাতন হওয়ায় কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। সাইলোটির ব্যাগিং হাউজ, ডেলিভারি সিস্টেম, ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, কনভেয়র ব্রিজ, জেটি, সাব-স্টেশন, কন্ট্রোল রুম সিস্টেম, পুরাতন স্কেল, বেল্টের কাউন্টার ওয়েট বুথ ইত্যাদি পুরাতন হওয়ার অপারেশনাল কার্যক্রমে প্রায়ই বিঘ্ন ঘটছে।

চট্টগ্রাম সাইলোর পূর্ত কাজ সম্পাদন করেছিল সুইডিশ কোম্পানি স্কানস্কা। ওই সময়ে জার্মানির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি মিয়াগ (এমআইএজি) এবং সুইজারল্যান্ডের কোম্পানি বাহলের যৌথভাবে সাইলোটির সকল যন্ত্রাংশ সংযোজন করে। পরে ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সালে সাইলোটি আংশিকভাবে বিএমআরই করার সময়ে সুইজারল্যান্ডের বাহলের, ফ্রান্সের প্রিসিয়া মলেন, বেলজিয়ামের ভিগান ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য মূল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে প্রতিস্থাপন করা হয়।

একাধিক প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করা এবং সব যন্ত্রপাতির মধ্যে সমন্বয় করা প্রায় অসম্ভব। এ ক্ষেত্রে একক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সাইলোটি বিএমআরই করা উত্তম ও যৌক্তিক হবে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।

সূত্র মতে, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে মনোনীত বেলজিয়ামের প্রতিষ্ঠান ভিগান ইঞ্জিনিয়ারিং এসএর তৈরি যন্ত্রপাতির পরিমাণ বেশি। প্রতিষ্ঠানটি খাদ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে আশুগঞ্জ সাইলো বিএমআরই; বিভিন্ন সাইলোতে ৯টি আন-লোডার সরবরাহ; স্থাপন ও ইন্টারলিঙ্কসহ সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদান করে আসছে। আশুগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও সান্তাহার সাইলো ১৯৬৬ থেকে ১৯৭০ সালে একই প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হয়। আশুগঞ্জ সাইলো বিএমআরই করা বেলজিয়ামের প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ড্রইং ডিজাইন সম্পন্ন করে মূল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মালামাল ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে সেগুলো সাইলোতে স্থাপন করছে। বিএমআরই এর কাজটি সুষ্ঠু এবং দ্রুত সম্পন্ন করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির সুপারিশে বেলজিয়ামের প্রতিষ্ঠান ভিগান ইঞ্জিনিয়ারিং এসএ কে দিয়ে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করা হবে।


আরও খবর



চন্দ্রযান-৩ অবতরণের ঘোষণাকারী ভালরমাথি মারা গেছেন

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চন্দ্রযান-৩ অবতরণের ঘোষণাকারী বিজ্ঞানী ভালারমাতি মারা গেছেন। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানী ছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) চেন্নাইয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবার জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভালারমাতি মারা গেছেন। 

আরও পড়ুন>> রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ঢাকা-নেপিডো বৈঠক আজ

গত ২৩ আগস্ট চন্দ্রযানের যাবতীয় গতিবিধি এক নাগাড়ে গোটা বিশ্বকে জানিয়েছিলেন ভালারমাতি। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ইসরোর সাবেক পরিচালক পিভি বেঙ্কটাকৃষ্ণন এক্সে।

ভালারমাতি ১৯৫৯ সালের ৩১ জুলাই তামিলনাড়ুর আরিয়ালুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি ইসরোয় যোগ দেন। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের প্রথম রেডার স্যাটেলাইট (রিস) ২০১২ সালে সফলভাবে উপগ্রহে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই অভিযানের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ভালারমাতি। এ ছাড়াও ইসরোর একাধিক অভিযানে ধারাভাষ্য দিতে শোনা গেছে তাকে। 

আরও পড়ুন>> দেশ ছাড়বেন না ইমরান খান, করবেন না সমঝোতাও


আরও খবর



সুন্দরবনের নৌযান বহরে যুক্ত হলো অত্যাধুনিক আরও ৬টি নতুন জলযান

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

বিদেশি পর্যটক ও রাষ্ট্রীয় অতিথিদের ভ্রমণের জন্য এবার সুন্দরবনের নৌযান বহরে যুক্ত হয়েছে ৬টি অত্যাধুনিক জলযান। এরমধ্যে রয়েছে আবাসন সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন দুইটি লঞ্চও। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের জন্য এম.ভি বন বিহারিণী আর সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের জন্য এম.ভি বন মালা লঞ্চ দুইটি হস্তান্তর করা হয়েছে। হস্তান্তরের পর ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে এ লঞ্চ দুইটির উদ্ধোধনও করা হয়।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় মোংলার ফুয়েল জেটিতে লঞ্চ দুইটি বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর ও এর উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

এছাড়া সুন্দরবনের সকল ধরনের অপরাধ দমনে বনবিভাগের স্মার্ট পেট্রোলিং টিমের জন্য দুইটি ফাইবার বডি ট্রলার ও দুটি ওপেন টাইপ স্পিডবোট হস্তান্তর করেন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা সহায়তা (দ্বিতীয় পর্যায়ে) শীর্ষক কারিগরি প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হয় এসব জলযান।


জলযান হস্তান্তর ও উদ্বোধনকালে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, সুন্দরবন সুরক্ষা ও পর্যটকদের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা প্রদানে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও সুন্দরবনকে অনেক ভালোবাসেন। আমি এ মন্ত্রণালয়ে শপথ নেয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী আমাকে বনের রানী বলে ডাকেন। তাই তার এই অনুপ্রেরণায় সুন্দরবন শব্দটা আমার কানে আসলেই সাথে সাথে ছুটে যাই সেখানে। আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি সুন্দরবন সুরক্ষা ও বন অপরাধ দমনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে চলেছি।

তিনি আরো বলেন, ২০১১সাল থেকে সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় বনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি ও বনপ্রহরীদের জন্য আধুনিক জলযান তৈরি করা হয়েছে।

পরে উপমন্ত্রী সুন্দরবনে যুক্ত হওয়া নতুন লঞ্চ বন বিহারিণীতে করে বনের করমজল ও ঢাংমারী যান। সে সময় উপমন্ত্রী বনের অভ্যন্তরে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, সুন্দরবন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে, সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা সহায়তা দ্বিতীয় পর্যায় শীর্ষক কারিগরি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম এবং করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবিরসহ অন্যান্যরা।


আরও খবর



জয় আমাদের হবেই, কারণ আমরা বীরের জাতি: শামীম ওসমান

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, যেকোনও অপশক্তি মোকাবিলায় আমরা আপনাদের পাশে থাকবো, ইনশাআল্লাহ। এটা আমি মনে করি ইসলাম ধর্মের অন্যতম কাজ। যারা ইসলামের নাম দিয়ে ধর্ম ব্যবসা করে, ইসলাম সেটাকে অ্যালাও (অনুমতি) করে না। সব ধর্মের সমান অধিকার।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেল গেট এলাকায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করে তিনি এ কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

নারায়ণগঞ্জ জেলায় সাম্প্রদায়িকতা ছড়াবে না উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান ছিল, তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি। কে হিন্দু কে বোদ্ধ কে মুসলমান এটা দেখার বিষয় না। আমরা সবাই বাঙালি। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়। বাংলাদেশের কোথায় কী হবে আমি জানি না। তবে নারায়ণগঞ্জে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়নি ছড়াবেও না। এ জেলার মতো পাশাপাশি কবরস্থান, শ্মশান ও খ্রিস্টানদের কবরস্থান বাংলাদেশে আর কোথাও নেই। আমরা মৃত্যুর আগেও একসঙ্গে আছি, মৃত্যুর পরও একসঙ্গে থাকবো।

জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, কে হিন্দু কে বৌদ্ধ কে মুসলমান এটা দেখার বিষয় না। এই দেশে যতটুকু অধিকার জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার আছে, যতটুকু অধিকার আমার আছে ততটুকু অধিকার আপনারও আছে। কারণ দেশটা আমাদের সবার। তাই আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো, অশুভ শক্তি সবসময় থাকবে। পৃথিবীর শুরু থেকে অশুভ শক্তি ছিল, সব ধর্মের মধ্যে ছিল। অশুভ শক্তি ছিল আবার দেবতারাও ছিল। সেকারণে সব অশুভ শক্তিকে মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশকে পৃথিবীর মানচিত্রে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাটা হচ্ছে আমাদের কাজ।

তিনি আরও বলেন, আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ একটি অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবেন। এখন যেমন বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, আগামীতেও দাঁড়িয়ে থাকবে। আমার বিশ্বাস জয় আমাদের হবেই, কারণ আমরা বীরের জাতি।

এ সময় র‌্যালির উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দজী মহারাজ। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমা, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ট্রাস্টি পরিতোষ কান্তি সাহাসহ প্রমুখ।

নিউজ ট্যাগ: শামীম ওসমান

আরও খবর