আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লিচুর বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

এবারের মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভাল হওয়ায় চাষীরা লাভবান হবে বলে আশাবাদী। বাজারে উঠেছে সুস্বাদু মৌসুমি ফল লিচু। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী কৃষি বিভাগ। এবার অন্তত ২২ কোটি টাকার লিচু ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বাজারজাত হবে দেশের বিভিন্ন স্থানে। কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ৩৯০ হেক্টর জমি, কসবা উপজেলার ৩৫ হেক্টর ও আখাউড়া উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে পাটনাই, বোম্বে এবং চায়না-২ ও চায়না-৩ জাতের লিচুর আবাদ হয়েছে। এছাড়া জেলার বাকি উপজেলাগুলোতে লিচুর আবাদ হয়েছে আরও ৩০ হেক্টর জমিতে। এবার লিচুর ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৬৫০ টন।  জেলায় ২০০১ সাল থেকে বাণিজ্যভাবে লিচুর আবাদ শুরু হলেও প্রতিবছরই বাড়ছে আবাদের পরিমাণ। ছোট বড় মিলিয়ে জেলায় ৪২০টির মত বাগান রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে পাটনাই লিচু বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে বোম্বে এবং চায়না-২ ও চায়না-৩ জাতে লিচু পাকতে আরও তিন-চারদিন সময় লাগবে। এরপরই এসব লিচু বাজারে পাওয়া যাবে। বর্তমানে পাইকারদের কাছে ১ হাজার পাটনাই লিচু বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকায়। আর বোম্বে এবং চায়না-২ ও চায়না-৩ জাতের লিচু ২৫০০-৩৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। তারা জানান, পাইকাররা এখন বাগানে এসে লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া অনেক দর্শনার্থীও আসছেন পরিবার নিয়ে লিচু বাগান ঘুরতে। বাগানের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি তারাও লিচু কিনছেন।

লিচু বাগানে ঘুরতে আসা আশিষ সাহা নামে এক দর্শনার্থী জানান, দুই সন্তানকে নিয়ে লিচু বাগানে ঘুরতে এসেছেন তিনি। বাগানের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি বাড়ির জন্য কয়েকশ লিচু কিনেছেন। বাগান থেকে টাটকা লিচু কিনতে পেরে তিনি খুশি বলেও জানান। বিজয়নগর সেজামুড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ফল বিক্রেতা আব্দুল জলিল জানান, বাড়ির পাশের একটি লিচু বাগান তিনি ১ লাখ টাকায় কিনেছেন। এবার তার বাগানে বোম্বে এবং পাটনাই জাতের লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। ৩ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

লিচু বাগানের মালিক আলী হোসেন জানান, ফলন ভালো হওয়ায় কিছু বাগানে আগাম লিচু পাড়ছেন বাগান মালিকরা। আমাদের আরো ১২/১৫ দিন সময় লাগবে। আমার বাগানে প্রায় ১২০টি উপরে লিচুগাছ রয়েছে। এ বছর লিচু উৎপাদনে আমার ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তবে ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। বাজার দর হিসেবে এবার বাগানের লিচু আড়াই থেকে ৩লাখ টাকার মতো বিক্রি হবে। এতে আমি লাভবান হব বলে আশাবাদী। আরেক লিচু চাষি জসিম মিয়া জানান, তার বাগানের ৩১টি গাছে আনুমানিক দেড় লাখ লিচু ধরেছে। পাটনাই এবং বোম্বে দুই জাতের লিচুই আছে বাগানে। ইতোমধ্যে পাটনাই লিচু বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। বাজারে লিচুর দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। সেজন্য এবার খরচ তুলে ভালো টাকা মুনাফা হবে বলে আশা করছেন তিনি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সুশান্ত সাহা বলেন, লিচুর ফলন বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগ থেকে চাষীদের সব ধরনের সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। এবারের মৌসুমে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি জেলা থেকে ২২ কোটি টাকা মূল্যের লিচু বাজারজাত হবে বলে আশা করছি।


আরও খবর



বিদ্যুতের মিটার চুরি করে রেখে যায় ফোন নম্বর, টাকা দিলে ফেরত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

প্রথমে রাতের অন্ধকারে বিদ্যুতের মিটার চুরি। পরে ওই স্থানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় একটি কাগজ। কাগজে লেখা থাকে মুঠোফোন নম্বর। পরে ওই নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে চাহিদামতো টাকা পাঠানো হলে চুরি হওয়া মিটারটি আবার মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

নাটোরে লালপুরে অভিনব কায়দায় রাতের আঁধারে দশটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা যোগাযোগের জন্য চিরকুটে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছে। ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে ভুক্তভোগীদের কাছে টাকা দাবি করেছে তারা।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরের দিকে লালপুর উপজেলার কলসনগর, সাতপুকুরিয়া, চাঁদপুর, ভবানীপুর, কালুপাড়া ও বিভাগ গ্রামে এঘটনা ঘটে।এভাবে চুরির ঘটনায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী আমিরুল ও বাচ্চু বিশ্বাস জানান, ভুক্তভোগীদের রাইস মিল ও কাঠ মিল থেকে রিডিং মিটার রাতের অন্ধকারে চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বত্তরা। এবং প্রত্যেকের চুরি হওয়া মিটারের ফাঁকা জায়গায় একটি চিটকুটে লিখে যায়। সেখানে লেখা ছিল- এই মিটার নিতে হলে এই নম্বরে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে। সকালে মিটার চুরি হয়ে যাওয়ার স্থান থেকে প্রাপ্ত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ওই মিটারের জন্য ৮ হাজার টাকা বিকাশ করলে মিটার ফেরত দেয়ার কথা জানায় দুর্বৃত্তরা।

এবিষয়ে কথা বলতে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ লালপুর জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল করিম খানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে লালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, মিটার চুরির অভিযোগ আসেনি আমার কাছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


আরও খবর



আজও পরীক্ষায় অংশ নেননি বুয়েট শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবারও পরীক্ষা বর্জন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

এই নিয়ে তৃতীয় দিনের মত পরীক্ষা বর্জন করেছেন তারা, ঈদের আগে এদিন শেষ পরীক্ষার তারিখ ছিল। এর আগে গত ৩০ ও ৩১ মার্চ দুটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশ নেননি।

ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের বিপরীতমুখী অব্স্থানে কয়েকদিন ধরে থমথমে অবস্থা চলছে বুয়েটে।

বুধবার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের আনাগোনা নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খোলা আছে এবং সেখানে দাপ্তরিক কাজকর্ম চলছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার বুয়েটের ২০১৮ ব্যাচের একটি টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। কিন্তু আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। ঈদের আগে আর কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা না থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকে বাড়ি চলে গেছেন।

এ বিষয়ে বুয়েটের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোহাম্মদ ইমামুল হাসান ভূঁইয়ার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ২ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ২ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, ফেনী ও বান্দরবান জেলা এবং বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।


আরও খবর
ফের দেশজুড়ে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ড. ইউনূসের স্থায়ী জামিন হয়নি, মেয়াদ বাড়িয়েছেন ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। তবে ওই মামলায় ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। আগামী ২৩ মে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন পর্যন্ত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এসময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপর বেলা ১১টায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন ড. ইউনূস।

এর আগে গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজ (১৬ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য আসে।

এই মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।


আরও খবর



সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে যেসব ‘ভুল ধারণা’ পরিবর্তন জরুরি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ ঘটবে আজ। বিরল এ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে  যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০৪৪ সালের মধ্যে এমনটি আর দেখা যাবে না। সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। স্থানীয় সময় ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে দেখা যাবে প্রথম সূর্যগ্রহণ। এরপর চাঁদের ছায়া আস্তে আস্তে সরে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে দৃশ্যমান হবে সূর্যগ্রহণ।

মহাজাগতিক এ ঘটনা ঘিরে যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গাতেই নানারকম ধারণা চালু রয়েছে। ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসান বলছেন, এসব ধারণার প্রায় সবগুলোই সম্পূর্ণ ভুল এবং এসবের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে এরকম কয়েকটি ভুল ধারণা তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে:

রান্না করা, খাবার খাওয়া : এরকম একটি কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় কোনো ধরণের খাবার বা পানীয় গ্রহণ করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অনেক জায়গায় এরকমও ধারণা রয়েছে যে সূর্যগ্রহণের সময় রান্না করা হলে সেটিও অমঙ্গলজনক। কিন্তু এরকম ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বিজ্ঞানীরা কখনোই পাননি।

গর্ভবতী নারীদের বাইরে বের হওয়া : প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীরা ঘরের বাইরে বের হলে গর্ভের সন্তানের শরীরে বিশেষ ধরণের জন্মদাগ থাকতে পারে। এমনকি সন্তানের হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র থাকা বা বিকলঙ্গতা নিয়েও সন্তান জন্ম নিতে পারে। তাই, 'সংস্কার' আছে, সূর্যগ্রহণের সময়ে গর্ভবতী নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। এই ধারণাও বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিহীন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে অনেক আগেই।

ভ্রমণ না করা : সূর্যগ্রহণ চলাকালীন ভ্রমণ করলে তা অমঙ্গলজনক - এমন একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে অনেক মানুষের মধ্যেই। আরেকটি ধারণা রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় ভ্রমণ করলে গ্রহণের সময় সূর্য থেকে নিঃসৃত ক্ষতিকর রশ্মি গায়ে লেগে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসান বলেন, গ্রহণের সময় সূর্য থেকে আলাদা কোনো ক্ষতিকর রশ্মি নিঃসরণ হয় না, কাজেই আলাদাভাবে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

গ্রহণের পর গোসল করা : সূর্যগ্রহণের ফলে তথাকথিত যেসব ক্ষতিকর রশ্মি শরীরের সংষ্পর্শে আসে, সেসব রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে গ্রহণের শেষে গোসল করার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে কিছু ক্ষেত্রে। এই ধারণাটিও সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক নওরীন আহসান।

তিনি বলেন, সাধারণ অবস্থায় সূর্যের রশ্মি গায়ে লাগলে যতটা ক্ষতি হোতো, সূর্যগ্রহণের সময় তার চেয়ে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কাজেই সূর্যগ্রহণের সময় যে আলাদাভাবে অতিরিক্ত ক্ষতি হবে, এই ধারণার কোনো ভিত্তি নেই।

বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে সূর্যগ্রহণ দেখা : সূর্যগ্রহণ দেখার ক্ষেত্রে চোখের সুরক্ষার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা নাসা খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা থেকে বিরত থাকতে উপদেশ দিয়েছে। সামান্য সময়ের জন্যও খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখলে চোখের ক্ষতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা।

তবে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসানের মতে, শুধু সূর্যগ্রহণের দিনই যে সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো উচিত নয় - এমনটা নয়। তিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের দিন মানুষ সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকায়, কারণ সেদিন সূর্যের প্রখরতা অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক কম থাকে। তাই মানুষের অনেকক্ষণ যাবৎ তাকিয়ে থাকার সম্ভাবনা ও সুযোগ থাকে - যেটি ক্ষতির কারণ হতে পারে।

অধ্যাপক নওরীন আহসান আরও বলেন, যে কোনো সাধারণ দিনে মানুষ সূর্যের দিকে কিছুক্ষণ তাকালেও চোখের ক্ষতি হবে। পার্থক্যটা হলো, সাধারণ দিনে মানুষ তাকায় না, সূর্যগ্রহণের সময় মানুষ তাকায়, তাই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর