আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এতিমখানায় হামলা, ৩১ ছাত্রকে পিটিয়ে আহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা শহরে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে একটি এতিমখানায় হামলা চালিয়ে ৩১ ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের কলেজপাড়া এলাকার মদিনাতুল তাহফিজ একাডেমি ও এতিমখানায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।

আহতরা হলো- সালমান ফারসি (৯), নাদিম (১০), ওসমান (১০), সামাউন (১০), আব্দুলাহ (১৩), জাকারিয়া (৯), ইব্রাহিম (১৫), সাইদুল ইসলাম (১১), ফরহাদ (৯), মুজ্জামেল (১৪), জাহিদ (১৩), জুনায়েদ (১৩), ইয়ামিন (৯), ইসমাইল (১১), আমির হামজা (১২), ওমর ফারুক (১০), আসাদ উল্লাহ (১২), রিফাত (১৩), ওয়াসিম (১২), সিয়াম (১৩), ফজলে রাব্বী (১৪), সালমান (১৭), তোফাজ্জল (১৩), রেদুয়ান (১০), মোবারক (১৪), সালমান ফারসি (১৬), আকিব (৮), তানভীর (১৪), সিয়াম (১৪) ও আশরাফুল (১০) এবং রাকিব (১০)।

এতিমখানার পরিচালক হাফেজ মো. ইমরান জানান, বিকেলে এতিমখানার পাশে ছাত্ররা খেলাধুলা করছিল। এসময় স্থানীয় এক ছেলের সঙ্গে এতিমখানার এক ছাত্রের বাগবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় দলবেঁধে স্থানীয় নারী-পুরুষ মিলে এতিমখানায় হামলা চালিয়ে ছাত্রদেরকে পিটিয়ে আহত করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, এতিমখানার ছাত্ররা কলেজপাড়া বালুরমাঠে ফুটবল খেলছিল। এসময় স্থানীয় এক তরুণ ছাত্রদের খেলতে বাধা দেয়। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



ইরানের হামলার পর কমেছে তেলের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে, এমন ধারণাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে বিপরীত ঘটনা। সামান্য হলেও কমে গেছে তেলের দাম। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে এশিয়ান ট্রেডে এই কম মূল্যের প্রবণতাই দেখা গেছে, যদিও সেটা প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের কাছাকাছিই ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

তবে এটাও ঠিক, ইসরায়েলের ওপর ইরান আক্রমণের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তেলের দাম ওর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছিল। গত ছয় মাসের মধ্যে গত সপ্তাহে তেলে দাম ছিল সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহের শেষে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৯২ দশমিক ১৮ ডলার পর্যন্ত হয়েছিল। গতবছরের অক্টোবরের পর থেকে ধরলে সেটা ছিল সর্বোচ্চ। এর পর থেকে কমতে কমতে সেটা ৯০ দশমিক ৪৫ ডলারে নেমেছিল। সোমবার সকালে সেটা আরও ২০ থেকে ৩০ সেন্ট কমেছে।

ইরান বর্তমানে প্রতিদিন ৩০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে থাকে। তেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ওপেকভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইরানের অবস্থান চতুর্থ। বিশ্বের মধ্যে সপ্তম। ইসরায়েলে হামলার পর থেকে সবসময়ই একটা পাল্টা আঘাতের আশঙ্কায় রয়েছে ইরান। সে আঘাত ইরানের তেলক্ষেত্রের ওপরও হতে পারে। এসব বিবেচনায় তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে ইরান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববাজারে তেলে দাম বাড়া-কমার ক্ষেত্রে হরমুজ প্রণালী একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্বের ২০ শতাংশ তেলবাহী জাহাজ এই সমুদ্রপথ দিয়েই চলাচল করে। ওপেকভূক্ত দেশ সৌদি আরব, ইরান, আরব আমিরাত, কুয়েত এবং ইরাক তাদের বেশির ভাগ তেল এই পথেই রপ্তানি করে। ওমান ও ইরানের মধ্যেকার সংবেদনশীল এই সমুদ্রপথটি শান্তিপূর্ণ থাকলে কমে যায় তেলের দাম।

গত শনিবার ইরান হরমুজ প্রণালী দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে আটক করে। তাদের অভিযোগ ছিল জাহাজটি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত। ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে এই হরমুজ প্রণালী কতটুকু নিরাপদ থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

এসব কারণেই, সোমবার হঠাৎ করেই তেলের দামে এই সামান্য মূল্যহ্রাসকে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাদের মতে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা হলেই তেলের দাম আশঙ্কাজনকভাবেই বেড়ে যাবে।


আরও খবর



জামালপু‌রের সরিষাবাড়ীতে ১৩ গ্রামে ঈদ উদযাপন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ১৩ গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। ব্যাপক উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদের নামাজ পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশগ্রহণ করেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে পৌরসভার বলার দিয়ার মাস্টার বাড়ী জামে মসজিদ মাঠে এ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (১০ এপ্রিল,) সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বলার দিয়ার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও উপজেলার বলারদিয়ার, মুলবাড়ী, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া, বাউসী,  হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুটিয়ারপাড়, ও বগারপাড় গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক মানুষ এ নামাজে অংশগ্রহণ করেন।  নারীদের জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়। 

এ ব্যাপারে বলার দিয়ার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার বলেন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রমজানের রোজা শুরু হয়। তাই তাদের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ ও ঈদ আনন্দ উদযাপন করে থাকি আমরা।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলায় একদিন আগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।  তারই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সকালেও সুষ্ঠু এবং সুশৃঙ্খলভাবে এ উপজেলায় দুইটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরও খবর



মার্কিন ভেটোতে জাতিসংঘে আটকে গেল ফিলিস্তিনের সদস্যপদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাতিসংঘে রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার পথ আটকে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে ভেটো দিয়েছে দেশটি।

খসড়া প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণসদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছিল। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১২টি এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড। ভেটো প্রদান করে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

ভেটো দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে চলেছে। এই ভোটটি ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রত্বের বিরোধিতাকে প্রতিফলিত করে না। আমরা চাই তারা সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসুক।’

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মার্কিন ভেটোকে অন্যায়, অনৈতিক এবং অযৌক্তিক বলে নিন্দা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মার্কিন ভেটো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইচ্ছাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।’

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ভেটো দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা করে বলেছেন, লজ্জাজনক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা হবে না।’

ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘ সদস্য না হলেও ২০১২ সালে তারা জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য ফিলিস্তিন বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

তবে তাদের এই আর্জি প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে এবং তারপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এর পক্ষে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে।

২০১১ সালে পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। এরপর গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্যে ফিলিস্তিন এ মাসের শুরুতে আবারও সদস্যপদের জন্য আবেদন করে।


আরও খবর



ট্রান্সকম গ্রুপের সিমিনসহ তিনজনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ তিনজনকে দেশে ফেরার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সিমিন রহমান ছাড়া বাকি দুজন শীর্ষ কর্তা হলেন- গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান ও হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন।

রোববার (৩১ মার্চ) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও কে এম জাহিদ সারওয়ারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গেলো ২১ মার্চ রাতে ট্রান্সকমের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক গুলশান থানায় সিমিন রহমান সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমান অসুস্থ ছিলেন না। তার বড় বোন সিমিন ও অন্য আসামিরা চক্রান্ত করে তাকে হত্যা করেছেন।

উল্লেখ্য, গেলো ২১ মার্চ ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমান এবং বর্তমান চেয়ারম্যান মা শাহনাজ রহমানসহ তিনজনকে প্রতারণার একটি মামলায় দেশে প্রবেশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন চেম্বার আদালত।

লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক এই মামলা করেন। তার বড় বোন, ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান সিইও সিমিন রহমান এবং গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান, তাদের মা শাহনাজ রহমানসহ ট্রান্সকমের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন শাযরেহ হক।


আরও খবর



কম দামেও তরমুজ কিনছেন না মানুষ, দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মার্চের শুরুতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে। রমজান শুরু হওয়ার পর সে দাম ৮০ টাকায় নামে। কিন্তু বেশি দামের পাশাপাশি অপরিপক্ব হওয়ায় তরমুজে আগ্রহ কম ছিল সাধারণের। এর মধ্যে ফেসবুকে তরমুজ বয়কটের ডাক আসে। ফলে ফলটির বিকিকিনি কমে যায় আরও।

রোজা শুরুর এক সপ্তাহ পর তরমুজ বিক্রি বলতে গেলে তলানিতে এসে ঠেকে। বিপাকে পড়েন বিক্রেতারা। সারা দিনে হাতেগোনা কয়েকটা বিক্রি হলেও বেশিরভাগই দোকানে অবিক্রীত থেকে যাচ্ছিল। এতে বাধ্য হয়ে ৪০ টাকায় নামিয়ে আনা হয় তরমুজের কেজি। শুধু তাই নয়, আকারভেদে এখন পিস ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ‌তারপরও ক্রেতাদের বড় অংশ এখনও তরমুজ বিমুখ। এতে তরমুজ ব্যবসায়ী এবং ফল দোকানিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

আড়ৎ থেকে পিস হিসেবে দুই ক্যাটাগরির তরমুজ বিক্রির জন্য কিনে এনেছেন বিল্লাল মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি গুলশানের গুদারাঘাটের পাশে বসিয়েছেন তার অস্থায়ী দোকান। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি তরমুজগুলো সেখানে থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন, কিন্তু বিক্রি নেই সেভাবে।

তরমুজ বিক্রির এমন চিত্রের বিষয়ে বিল্লাল মিয়া বলেন, এবার প্রথম থেকেই তরমুজ বিক্রি খুব কম হচ্ছে। এটা হতে পারে দাম বেশির কারণে। তবে এখন দাম আগের চেয়ে কমেছে, তবুও এখনো খুব বেশি বিক্রি বাড়েনি। রমজানে তরমুজের খুব চাহিদা থাকার কথা, কিন্তু এবার সে অনুযায়ী ক্রেতাদের চাহিদা দেখা যায়নি।

তরমুজ বিক্রির সার্বিক বিষয়ে একই স্থানের আরেক বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এত বছর ধরে ব্যবসা করছি তরমুজ নিয়ে কোনোবার এমন বিপাকে পড়িনি। আজ ১০ দিনের মতো হবে তরমুজ এনেছি, দোকানের মধ্যে থরে থরে সাজিয়ে রেখেছি। কিন্তু সেভাবে এবার বিক্রি নেই। প্রথমদিকে ১০০ টাকা কেজি ছিল, পরে ৮০ টাকা হলো, এরপর আবার ৬০ টাকা, সবশেষ এখন আজ প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। কিন্তু আগে যখন তরমুজের ব্যবসা করেছি তখন দিনে ১০০ পিছ বিক্রি করেছি। আর এখন সারাদিনে ১৫/২০টা বিক্রি হয় না ঠিকমতো। রমজান মাস এলে তরমুজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কথা, অন্যান্যবার বেড়ে গেছে, কিন্তু এবার চিত্র উল্টো। অর্ধেক রমজান চলে গেছে কিন্তু তরমুজ বিক্রি সেভাবে আর হয়নি। রমজান মাস শেষ হয়ে গেলে তরমুজের চাহিদা কমে যাবে, তখন যে ব্যবসার কী হবে এটা ভাবলে আরো ভয় লাগে।

কারওয়ান বাজারে ফল ভাণ্ডার নামে একটি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে পাইকারি তরমুজের ব্যবসা করছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক সহযোগী হিসাবে কাজ করেন খোরশেদ আলম নামের একজন। তিনি বলেন, প্রথমদিকে তরমুজের দাম বেশি ছিল, ইদানীং প্রচুর সরবরাহ হচ্ছে, ফলে দাম কমে গেছে। আগে যে তরমুজ দেড়শ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করেছি, সেটা এখন ৮০ টাকার মতো বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আড়তে পাইকারি কিনতে ক্রেতারা কম আসছে। এর কারণ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যারা দোকানের মাধ্যমে তরমুজ বিক্রি করে, তারা আগে যে মাল নিয়ে গেছে সেই মালই তাদের রয়ে গেছে, এখনো বিক্রি করতে পারেনি। আগের তরমুজ ফুরালে তারপরে তো তারা কিনতে আসবে।

মহাখালীর বাজারে তরমুজ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আহসান হাবীব বলেন, এ বছর রমজানে একদিন শুধু তরমুজ কিনেছিলাম টেস্ট করার জন্য। কিন্তু এত বেশি দাম, অসাধু ব্যবসায়ীরা কেজি দরে বিক্রি করে, অপরিপক্ব তরমুজ তবুও বেশি দাম, এদিকে এদের সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য দূর করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরমুজ বয়কটের ডাক.... সব মিলিয়েই এবার আর তরমুজ কিনিনি। কিন্তু এখন ম্যাংগো পিপলের ক্ষমতা সম্পর্কে জেনেছে তরমুজ ব্যবসায়ীরা। আজকে তরমুজ ৪০ টাকা কেজিতে এসেছে শুধু সাধারণ মানুষ তরমুজ কিনেনি এ কারণেই। এখন ৪০ টাকা কেজি হওয়ার পর আজ একটি তরমুজ কিনতে এসেছি। তবুও দোকানে যদি পিস হিসাবে তরমুজ বিক্রি না করে তাহলে আবার কিনব না।


আরও খবর