আমিনুর রশীদ জানান, ভোরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে চার রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামে বন্দুকধারীর গুলিতে ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলেসহ দুজন নিহতের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চার রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় কুড়িঘর গ্রাম থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হলেও তার নাম জানায়নি পুলিশ।
নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদ জানান, ভোরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে চার রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে কুড়িঘর গ্রামে নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে এরশাদুল হক (৩৫) ও বাদল সরকার (২৫) নামে দুইজন দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। এরশাদুল আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তার বাবা আবুল কাশেমের অসুস্থতার কারণে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। আর নিহত বাদল সরকার (২৫) একই ইউনিয়নের নান্দুরা গ্রামের সন্তোষ সরকারের ছেলে ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, রাতে একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন এরশাদুল ও বাদল। পথিমধ্যে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই বাদল মারা যান। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ এরশাদুলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান এরশাদুল।