আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল পরিমান মাদক, শাড়ি ও চিনি উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ হাজার ১৭৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯২৬ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ২৪ কেজি গাঁজা, ১৪৬ বোতল ফেন্সিডিল, ৫ বোতল বিয়ার, ৬৫ পিস ভারতীয় শাড়ী, ২ হাজার ১০০ পিস ভারতীয় মেডিসিন এবং ১৫৪ কেজি ভারতীয় চিনি উদ্ধার করেছে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের (সরাইল ব্যাটালিয়ন) এর সদস্যরা । এ সময় মোঃ মোকাব্বির-(৩০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মোকাব্বির বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।

আরও পড়ুন: রাজাকারদের তালিকা হবে ডিসেম্বরের মধ্যে: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

মঙ্গলবার বিকেলে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন (সরাইল ব্যাটালিয়ন) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।


বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের (সরাইল ব্যাটালিয়ন) এর সদস্যরা জেলার বিজয়নগর উপজেলা, আখাউড়া উপজেলার কাশেমপুর, আনোয়ারপুর, চাঁনপুর, আজমপুর, নোয়াবাদি ও হীরাপুর এবং পাশ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরষপুর ও ধর্মঘর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান, মাদক, শাড়ি ও মেডিসিন উদ্ধার ও এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চোরাচালানকৃত শাড়ী, মেডিসিন এবং চিনি আখাউড়া কাষ্টমসে জমা দেয়া হয়েছে, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যগুলো ধ্বংসের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ও গ্রেপ্তারকৃত মোকাবিবরকে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। 


আরও খবর



আদালত অবমাননা: দুই আইনজীবীর বিষয়ে আদেশ ২১ এপ্রিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে, এমন বক্তব্য দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদলের আদেশের জন্যে আগামী ২১ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এ দিন ধার্য করেন।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক হলেন অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও সদস্য সচিব হলেন অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল। আদালতে তাদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

গত ১ ডিসেম্বর অ্যাডহক কমিটির প্যাডে প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি দেন তারা। চিঠিতে বলা হয়, দেশে একটি অনির্বাচিত, জবাবদিহিহীন এবং অস্বচ্ছ ফ্যাসিবাদী শাসনের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। এর ফলে জনগণ প্রজাতন্ত্রের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। জনগণ নজিরবিহীন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ তামাশার সংসদে সদস্য নির্বাচন করতে যাচ্ছে।

এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসেবে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এমন একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে আইনজীবী, জনগণ স্বাধীন, বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখছে। আশা করছি মানবাধিকার রক্ষাকারী হিসাবে বিচার বিভাগ কার্যকরভাবে ভূমিকা পালন করবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ এবং বিচার বিভাগকে উভয়ই সরকারের ফ্যাসিবাদী নিপীড়নের সহায়ক হয়ে উঠেছে। সাধারণ নাগরিকদের প্রাপ্য জামিন আবেদন নামঞ্জুর এবং দ্রুতগতিতে বিচার পরিচালনা করা ন্যায়বিচারকে কবর দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিতে অথবা নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সেসব মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অনুপস্থিতে মামলা খারিজ বা বিরূপ আদেশ দেয়া উচিত হবে না।

এই চিঠিতে আদালত অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করায় এর ব্যাখ্যা দিতে তাদের তলব করা হয়। আদেশ অনুযায়ী দুই আইনজীবী ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগে হাজির হন। সেদিন তাদের পক্ষে সময় আবেদন করলে আদালত ব্যাখ্যা দিতে দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দেন। এ সময়ে তারা সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদেশ দেন।

তার ধারাবাহিকতায় মামলাটি আবার শুনানির জন্য ওঠে। আজ দুই আইনজীবী নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

নিউজ ট্যাগ: আদালত অবমাননা

আরও খবর



রাতভর চেষ্টাতেও নেভেনি ডেমরার কাপড়ের গুদামের ভয়াবহ আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাতভর চেষ্টা করেও রাজধানীর ডেমরা ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় কাপড়ের গোডাউনে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। গোডাউনের আগুনে পাশের একটি ভবনেও ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। আগুনের তীব্রতার কারণে কাছাকাছি যেতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস। একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে পানির সংকট।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় লাগা আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সর্বাত্মক চেষ্টাকে চোখরাঙানি দিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা বরং বেড়েছে।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। পানির সংকট মেটাতে ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে যোগ দিয়েছে নৌ বাহিনী। আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ফায়ার ফাইটার।

পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ইনসিডেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি গণমাধ্যমকে ব্রিফ করে বিস্তারিত জানাবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটে আমাদের কাছে খবর আসে রাজধানীর ডেমরা ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় তিন তলা ভবনের নীচ তলায় একটি কাপড়ের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরপর প্রথম ইউনিট পৌঁছে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে। এরপর ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে মোট ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।


আরও খবর



বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড

বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে বাড়ি ফিরলেন আরও দুইজন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাসায় ফিরেছেন আরও দুইজন। এ নিয়ে ১৪ জনের মধ্যে হাসপাতালের ছাড়পত্র পেলেন ১১ জন। এখনো ভর্তি আছেন তিনজন।

আজ রবিবার ভর্তি রোগীদের সবশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতায় ভর্তি থাকা ৩ জন রোগীকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, তবে তারাও সুস্থতার দিকে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হবে। তবে এখনই তাদের শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।

এদিকে, বেইলি রোডের গ্রিন কেজি কটেজেআগুনের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন দুজন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। বাকি দুইজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। গতকাল তাদের ডিএনএ নমুনা নেয়া হয়েছে।


আরও খবর



৯ বছরে সরকারি চাকরিতে যুক্ত হয়েছেন ৩৮৫৫৮ নারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ এখন সর্বত্র। সচিবালয় থেকে শুরু করে সরকারি চাকরির বিভিন্ন স্তরে নারী চাকরিজীবীর সংখ্যা বাড়ছে দিনে দিনে। ২০১৪ সালে সরকারি চাকরীতে নারী ছিলেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৫৮১। ৯ বছর পর ২০২৩ সালে সরকারি চাকরিতে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯ হাজার ১৩৯। এই ৯ বছরে সরকারি চাকরীতে নারীর সংখ্যা বৃদ্দি পেয়েছে ৩৮ হাজার ৫৫৮।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে সরকারি চাকরিজীবী আছেন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ জন। এর মধ্যে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ জন পুরুষ। নারী চাকরিজীবী রয়েছেন ৪ লাখ ৯ হাজার ১৩৯ জন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দিনে দিনে সরকারি চাকরিতে নারীদের সংখ্যা বাড়ছে, অবস্থান মজবুত হচ্ছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে মানুষের মধ্যে শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা বেড়েছে ফলে অধিকসংখ্যক নারী চাকরিতে প্রবেশ করছেন। কিন্তু এখনো নারীদের শতকরা হিসেবে অংশগ্রহণ সন্তোষজনক নয়। নারীর জন্য উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, পুরুষদের প্রথাগত মানসিকতা পরিবর্তনে সচেতনতা, চাকরি ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধসহ নানা ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের জনসংখ্যার হিসেবে নারী ও পুরুষের চেয়ে বেশি হলেও চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের সংখ্যা পুরুষের তুলনায় অনেক কম। বিষয়টি ফুটে উঠেছে সরকারি প্রতিবেদনেও।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান (৩০ মে ২০২৩ সালে প্রকাশিত) প্রথম শ্রেণির চাকরিতে মোট কর্মরত রয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫১৪ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৬ জন পুরুষ আর নারীর সংখ্যা ৪০ হাজার ১৮। দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৪ জন, যেখানে ১ লাখ ২৭ হাজার ৬০৬ জন পুরুষ, ৬৬ হাজার ৫৮ জন নারী। তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ৬ লাখ ৩ হাজার ৪৩৩ জন, যেখানে পুরুষ ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৭১ এবং নারী ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৬২ জন। চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ৪ লাখ ১৫ হাজার ১০৪ জন, যেখানে পুরুষের সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ১৭ এবং নারী ৫৫ হাজার ৮৭ জন।

সরকারি চাকরিতে নারীদের অংশগ্রহণ কতটা বেড়েছে তা বোঝা যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০১৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে।

২০১৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৬৩৭, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১৮। অর্থাৎ এ ৯ বছরে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজার ৩৮১। একইভাবে দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ২০১৪ সালে ছিলেন ৫৩ হাজার ৪১ জন নারী, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৫৮ জনে। এ সময়ে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩ হাজার ১৭। তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২, বর্তমানে তা ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৬২। অর্থাৎ ৯ বছরে এই শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩৫০। একই সময়ে চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে নারী সংখ্যা ৭ হাজার ৯৯৬ বেড়ে গত বছর হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৭।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সরকারি চাকরিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। এটা বেশ ইতিবাচক হলেও সন্তুষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি চাকরিতে নারীরা সংখ্যায় বাড়লেও শতকরা হিসাবে এখনো পুরুষ থেকে অনেক পিছিয়ে আছেন। নারীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে হবে, তাদের প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার দিতে হবে।


আরও খবর



সিন্ডিকেটকারীদের ধরিয়ে দিতে সাংবাদিকদের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সিন্ডিকেটকারীদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। সোমবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী এদিন বলেন, যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের ধরিয়ে দিন এবং তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করুন। কোথাও সিন্ডিকেটের খবর পেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের অফিসাররা সেখানে গিয়ে হাজির হবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

রোজায় পণ্য সরবরাহের ঘাটতি নেই জানিয়ে এরপর বলেন, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোনওভাবেই তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য, কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই দায়িত্ব পালন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

এছাড়া প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় বর্জনের জন্য ভোক্তা সাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, ক্রেতার আচরণও অনেক সময় পণ্যের হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এখন আমার প্রয়োজন ২ লিটার তেল, বাজারে গিয়ে একবারে ১০ লিটার কিনলে তাতে অনেক সময় হঠাৎ করে দাম বাড়াতে পারে। এই আচরণেরও পরিবর্তন প্রয়োজন।

এর আগে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আবাসিক প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমিনিকো স্কালপেল্লির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল, ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই ও বেলারুশের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ইভগেনি শেস্তাকভ পৃথক বৈঠক করেছেন কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে।

এসব বৈঠকে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কৃষি গবেষণা জোরদার ও প্রযুক্তি বিনিময় প্রভৃতি বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।


আরও খবর