আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
ইসরায়েলি সেনারা এবার রাফায় অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে: নেতানিয়াহু বায়ুদূষণে শীর্ষে চিয়াং মাই, ১৮০ স্কোর নিয়ে ঢাকা তৃতীয় মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন? সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু ‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭৯ রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ৫৭ টিতেই নেই গেটম্যান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৭৩ কিলোমিটার রেলপথে ক্রসিং আছে ৭৯টি। এর মধ্যে ৫৭টি রেলক্রসিংয়ে নেই কোনো গেটম্যান। এ ছাড়া রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তালিকার বাইরে জেলায় রয়েছে আরও অন্তত ১২টি রেলক্রসিং। খোদ রেল কর্তৃপক্ষের কাছেও রেলক্রসিংয়ের সঠিক কোনো হিসেব নেই। অরক্ষিত এসব রেলক্রসিংয়ের উভয় দিকে সতর্কতামূলক নোটিশ টানিয়েই যেন দায় সেরেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

এমনকি নোটিশ বোর্ডে লেখা হয়েছে, যেকোনো দুর্ঘটনার দায় শুধু পথচারী ও যানবাহন চালকদের। এ অবস্থায় বিপজ্জনক এসব রেলক্রসিংকে মৃত্যুফাঁদ মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এসব রেল ক্রসিংগুলোতে ট্রেন ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কোনো কর্মী না থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

রেলওয়ে পুলিশের হিসেব মতে, সম্প্রতি কয়েক বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বিভিন্ন যানবাহনের চালক এবং যাত্রীসহ ৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

সরেজমিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কাছাইট, ভাদেশ্বরা, মাছিহাতা, পাঘাচং, চিনাইরসহ কয়েকটি এলাকার রেলক্রসিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, কোনো গেটেই গেটকিপার নেই। অরক্ষিত ক্রসিং দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ ও যানবাহন।

জানা যায়, অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ের বেশিরভাগ সড়ক স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) অধীনে। কিন্তু রেলক্রসিংয়ের নিরাপত্তায় কোনো উদ্যোগ নেয় না এলজিইডি। তাছাড়াও রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে রেল ক্রসিংগুলোর একটা বড় অংশই অরক্ষিত।

রেলওয়ের আইন অনুযায়ী, রেলপথে ক্রসিং তৈরি করতে হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পূর্বানুমতি নিতে হয়। ক্রসিংয়ের স্থানে রেলপথের দুই পাশে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ফটক নির্মাণ করতে হয়। এ ছাড়া কমপক্ষে তিনজন প্রহরীর মজুরি, সিগন্যাল ব্যবস্থাপনার খরচও বহন করতে হয় সংশ্লিষ্টদের। এরপর সরেজমিনে পরিদর্শন করে রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণের পর নিকটস্থ রেলস্টেশন থেকে ওই ক্রসিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু অনুমোদন নিয়ে রেলক্রসিং নির্মাণ ব্যবস্থা ব্যয়বহুল হওয়ায় লোকজন অনুমোদন ছাড়াই নিজেদের মতো করে রেলপথের দুই পাশে রাস্তা দেখিয়ে লেভেল ক্রসিং হিসেবে ব্যবহার করে।

আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ থেকে কসবার সালদা নদী রেলস্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ কিলোমিটার রেলপথ। এছাড়া আখাউড়া  রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে বিজয়নগর উপজেলাধীন হরষপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত সিলেট রুটে প্রায় ২৭ কিলোমিটার রেলপথ। রেলওয়ের হিসাব মতে, এই দীর্ঘ রেলপথে থাকা ৭৯টি রেলক্রসিংয়ের মধ্যে মাত্র ২২টির অনুমোদন রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিনুল হক পাভেল বলেন, পাঘাচং রেলস্টেশনের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তের দুটি রেলক্রসিং-ই অনুমোদনহীন। এগুলোতে কোনো গেটকিপার নেই। এই পথ দিয়ে চাঁন্দপুর তমিজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজ, স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় লোকজন চাঁন্দপুর বাজার ও মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিদিন যাতায়াত করেন। এত সংখ্যক লোকজন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করলেও এই দুটি রেলক্রসিংয়ের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয় না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরো বলেন, এই ক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগের দাবিতে রেল মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেও এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। মানুষের জানমাল রক্ষার্থে এখানে গেট কিপার দেওয়ার দাবি জানান এই ইউপি চেয়ারম্যান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান পারভেজ বলেন, রেল রাষ্ট্রের এত বড় একটা সেক্টর, অথচ জনগণের ছোট্ট এ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে তারা, যা খুবই লজ্জাজনক। আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলগেটের কাছেই দোকানদারি করেন তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে এই গঙ্গাসাগর রেল গেইটে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ওই দুর্ঘটনায় স্থানীয় রাণীখার গ্রামের পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটেছিল। এরপর এখানে গেট কিপার নিয়োগ করা হয়। এরপর থেকে কমেছে দুর্ঘটনার সংখ্যা।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) মনিরুল ইসলাম বলেন, রেলওয়েতে এমনিতেই লোকবলের অভাব। এ অবস্থায় স্থানীয়ভাবে যত্রতত্র রেল ক্রসিং করা হচ্ছে। ফলে বিদ্যমান লোকবল দিয়ে এসব রক্ষণাবেক্ষণ করা রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তবে যেসব ক্রসিং বৈধ আছে, সেগুলো নষ্ট হয়ে গেলে আমরা দ্রুত মেরামতের চেষ্টা করি।


আরও খবর



সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশনগুলো তার এ ভাষণ একযোগে সম্প্রচার করবে।

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এই দিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল কালরাত নেমে এসেছিল।

ওই দিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইট-এর নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন সার্চলাইট।


আরও খবর



নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তিটাই বড়। নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। এজন্য সরকারি উচ্চপদে নারীদের ‍সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।’

শুক্রবার (০৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মেয়েদের সুযোগ দিলে পারবে না, এটা আমি মানতে রাজি না। মেয়েদের অর্থনৈতিক মুক্তি সবচেয়ে বড়। অর্থাৎ, নারীকে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দিলে তারা সব পারবে।’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রশাসন থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী কোথাও মেয়েদের সুযোগ ছিল না। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর সেই সুযোগ করে দিয়েছি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নারীরা সবচেয়ে বেশি দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তারাই সুনাম বয়ে আনছেন বাংলাদেশের।’

এসময় শেখ হাসিনা তার মায়ের বিচক্ষণতার কথা তুলে ধরে বলেন, আমার বাবা রাজনীতি করতেন। তিনি বেশিরভাগ সময়ই জেলে থাকতেন। এ সময় তার কাজগুলো গোপানে আমার মা করতেন। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থাও আমার মাকে ধরতে পারেনি। আমার মা নিজের পোশাক পরিবর্তন করে গোপনে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে দেখা করতেন, পরামর্শ দিতেন- সে বিষয়টি ধরতে পারেনি। এতোটাই দক্ষ-বিচক্ষণ ছিলেন তিনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ওই সময়ের প্রতিটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন দেখেছি কিন্তু কোথাও আমার মায়ের বিষয়টি নেই। তবে আগরতলা মামলা যখন দেয়া হয় তখন তারা মাকে টার্গেট করে, বুঝতে পারে। গ্রেফতার করার একটা শঙ্কা তৈরি হয়।’


আরও খবর



পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নতুন স্পিকার হলেন আয়াজ সাদিক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) নেতা সরদার আয়াজ সাদিক।

শুক্রবার (০১ মার্চ) দেশটির পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদের স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন। স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর আজই তিনি শপথ নিয়েছেন। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান বিদায়ী স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ।

নির্বাচনের ২১ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথমবার পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নতুন অধিবেশন বসে। এদিন শপথ নেন দেশটির নবনির্বাচিত আইনপ্রণেতারা (এমএনএ)।

আজ দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে স্পিকার হিসেবে শপথ নেয়া সরদার আয়াজ সাদিক ১৯৯ ভোট পেয়ে এ পদে নির্বাচিত হয়েছে। তার প্রতিদন্দ্বী পিটিআইসমর্থিত মালিক আমির দোগার পেয়েছেন ৯১ ভোট। স্পিকার নির্বাচনে ২৯১ জন এমএনএ ভোট দেন। এর মধ্যে একটি ভোট বাতিল ঘোষিত হয়।

আয়াজ সাদিক এর আগেও দুই দফায় পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার ছিলেন। এবার তিনি তৃতীয়বার এ পদে নির্বাচিত হয়েছে।


আরও খবর



ল্যাপটপ ব্যবহারে একটি ভুলে হতে পারে যেসব সমস্যা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

মোবাইল ফোনের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে আমরা যতটুকু যত্নশীল। ফোন সুরক্ষিত রাখতে আমরা নানা কভারও ব্যবহার করি। ফোনের স্ক্রিনে গার্ড বসিয়ে তাকে কভারের ভেতরে সুরক্ষিত রাখি। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই প্রতিদিন ল্যাপটপ ব্যবহার করেন এবং কেউ কেউ আছেন যারা অফিসিয়াল বিভিন্ন কাজের জন্যও ল্যাপটপের উপর নির্ভর করেন। কিন্তু অনেকে আছেন যারা ল্যাপটপের নিরাপত্তা নিয়ে একেবারেই ভাবেন না।

অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা গেছে যে, বাড়িতে বা অফিসে ল্যাপটপের স্ক্রিন খুলে আমরা অন্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু এটা করা ঠিক নয়। এটি ল্যাপটপের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ল্যাপটপের স্ক্রিন অন রেখে চলাফেরা করা উচিত নয়। এই একটি ভুল করলে আমাদের ল্যাপটপ সম্ভবত পাঁচ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এবারে জেনে নেওয়া যাক কেন ল্যাপটপের স্ক্রিন খুলে হাঁটা উচিত নয় এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮।

ল্যাপটপের স্ক্রিন অন রাখার ফলে ল্যাপটপের জয়েন্টে চাপ পড়তে পারে এবং এটি ফেটে যেতে পারে। জয়েন্ট হলো সেই অংশ যেখান থেকে ল্যাপটপ ফোল্ড করা হয়। যদি ল্যাপটপের স্ক্রিন খোলা রেখে হাঁটাহাটি করা হয়, তাহলে স্ক্রিন কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে।

ল্যাপটপের সঙ্গে এই ভুলটি হলে ল্যাপটপের ফ্রেম ফেটে যেতে পারে। যদি খোলা ল্যাপটপ নিয়ে ঘোরাঘুরি করা হয়, তাহলে কোথাও ধাক্কা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই কখনোই এমনটি করা উচিত নয়। এ ছাড়া ল্যাপটপের স্ক্রিন খোলা রেখে ঘোরাঘুরি করলেও এটি পড়ে যেতে পারে, যার ফলে হার্ডওয়্যারে সমস্যা হতে পারে।

এজন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ল্যাপটপ খুলে অর্থাৎ স্ক্রিন প্যানেল খোলা রেখে যেখানে-সেখানে ভ্রমণ করলে হার্ডডিস্কেও সমস্যা হতে পারে। হার্ডডিস্কের সমস্যা মানে ল্যাপটপ আর কোনোই কাজে লাগবে না। তাই কখনোই ল্যাপটপ বেশিক্ষণ খুলে রাখা ঠিক নয় এবং খুলে হাঁটাহাটি করা উচিত নয়।


আরও খবর
গুগল ডুডলে মহান স্বাধীনতা দিবস

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪




যৌন হয়রানির অভিযোগে পদত্যাগ করলেন জাপানের মেয়র

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যৌন হয়রানির ৯৯টি অভিযোগ উঠার পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের মধ্যাঞ্চলের গিফু এলাকার এক শহরের মেয়র হিদিও কোজিমা। তবে তার বিরুদ্ধে আসা সবগুলো অভিযোগই তিনি অস্বীকার করেছেন। আর পদত্যাগের ঘোষণা দিতে সংবাদ সম্মেলনে এসে কেঁদে ফেলেন মেয়র।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান বলছে, মেয়র হিদিও কোজিমার বিরুদ্ধে তারই এক সহকর্মীর বুক এবং নিতম্ব স্পর্শ করাসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। পরে একটি সরকারি তদন্তে এসবের প্রমাণও পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতে ৭৪ বছর বয়সী মেয়র বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সামনে এসে চোখের পানি মুছতে মুছতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

এ সময় তিনি বলেন, এর একদিন পরেই তিনি পদত্যাগ করবেন। কারণ তার ভাই তাকে তিরস্কার করেছেন!

একটি স্বাধীন কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের বিস্তারিত উঠে এলেও কিছু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেয়র। নারী কর্মীদের জড়িয়ে ধরার ঘটনা অন্য কর্মীরা নিজ চোখে দেখেছেনএমন কিছু অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।

টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে মেয়র বলেন, আমি এসব করিনি। আমার অঙ্গভঙ্গিগুলো হয়তো তাদের কাছে আলিঙ্গনের মতো মনে হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে। আমি চাই তারা আরও সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করুক।

সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকেতে কোজিমা বলেন, তিনি পুরো প্রতিবেদন পড়েননি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার হাত ফরসা এবং মসৃণএই বলে তিনি নারী কর্মীদের তার হাত স্পর্শ করতে বাধ্য করতেন। এ ছাড়া ট্রাউজার গুটিয়ে পা দেখাতেন এবং স্পর্শ করতে বলতেন। এদিকে তদন্ত কমিটি কোজিমার পৌরসভার ১৯৩ জন কর্মচারীর মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছে। যাদের ১৬১ জনের মধ্যে প্রায় ৫৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৫৮ শতাংশ নারী বলেছেন, মেয়র এমন কিছু করেছেন যা তাদের জন্য অস্বস্তিকর ছিল।


আরও খবর