আজঃ রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ৫০ বছর পর নৌকার জয়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে আজ রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু (নৌকা প্রতীক) ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এই আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (কলার ছড়ি) পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।

রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার ১৩২টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনে অপর প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪২ ভোট, জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ জহিরুল ইসলাম জুয়েল (গোলাপ ফুল) পেয়েছেন ৫৬১ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোঃ রাজ্জাক হোসেন (আম প্রতীক) পেয়েছেন ৭৩৯ ভোট।

আরও পড়ুন>> শান্তিপূর্ণভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে

জেলা পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ফলাফল ঘোষণা করেননি। উল্লেখ্য ১৯৭৩ সালের পর এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর বিজয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, শাহজাহান আলম সাজুকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করায় আমি সংসদীয় আসনের ভোটারদেরকে ধন্যবাদ জানাই। শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন উপহার দেয়ায় জেলা প্রশাসন, আইন-শৃংখলাবাহিনী সহ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই ও শাহজাহান আলম সাজুকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

উল্লেখ্য ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে তাহের উদ্দিন ঠাকুর বিজয়ী হয়েছিলেন। এর পরের নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিলেও তারা জয়লাভ করতে পারেননি। নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি আওয়ামী লীগ মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়।


আরও খবর
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। একই সঙ্গে কয়েক মাসের মধ্যে দৃশ্যমান জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে- এমনটাই দেখতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বায়িংহাউজের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর যে সংস্কারের কথা বলা হয়েছিল সেটা কি দৃশ্যমান হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই দৃশ্যমান হয়েছে। অনেক বিষয়ই দৃশ্যমান। যেমন খেলাপি ঋণের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেসব ব্যাংকের সমস্যা ছিল সেসব ব্যাংক রিঅর্গানাইজ করা হচ্ছে। লিকুইডিটির যে সমস্যা ছিল সেটা সমাধান করেছেন গভর্নর।

তিনি বলেন, আমরা অলরেডি বলে দিয়েছি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। একই সঙ্গে সংস্কারের বিষয়ে কথাবার্তা বলেছি, এগুলো একেবারে দৃশ্যমান।

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আলু, পেঁয়াজের শুল্ক কমিয়ে দিয়েছি, এগুলো যাতে নিশ্চিত করে সেটার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মাছ, মাংস, ডিমের বিষয়ে কথা বলেছি, বাজার মনিটরিংয়ের কথা বলেছি।

সরকার নিত্যপণ্যের দাম কমাতে পেরেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না, জিনিসপত্রের দাম যে কমছে না। অনেকগুলো কারণে দাম বেড়ে গেছে, সেটা চট করে টেনে নামিয়ে আনা যাবে না। তবে দৃশ্যমান কমেছে কি না সেটা কয়েক মাসের মধ্যে দেখতে পারবেন।

কতদিনের মধ্যে দাম কমার বিষয় দৃশ্যমান হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অলরেডি টাস্কফোর্স হচ্ছে তো।

বায়িং হাউজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তারা বলেছেন ডিরেক্টর ছাড়া বায়িং হাউজের মাধ্যমে অনেক সময় অর্ডার দেওয়া হয়। রপ্তানির ক্ষেত্রেও সহায়তা করে। এমন কিছু কিছু ব্যাপার রয়েছে। যেমন ইপিবির রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক, অর্ডারের বিষয়ে সমস্যা সমাধান করলে রপ্তানি বাড়বে। আমরা বলেছি রপ্তানি আরও বেড়ে ৫০ বিলিয়ন হবে, তারা বলেছেন ১০০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। আমি বলেছি এটা আমরা দেখবো, যেটা ভালো হয় সেটা করবো।


আরও খবর



ক্ষমা চাচ্ছি, ভারতে ইলিশ পাঠাতে পারব না: মৎস্য উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আমরা ক্ষমা চাচ্ছি, কিন্তু ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা দেখেছি আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারেন না। কারণ, সব ভারতে পাঠানো হয়। যেগুলো থাকে সেগুলো অনেক দামে খেতে হয়। আমরাও দুর্গোৎসব পালন করি। আমাদের জনগণও এটি উপভোগ (খেতে) করবে।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, এবারের দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের হিন্দুধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য নাগরিকরা যেন ইলিশ খেতে পারেন সেটি নিশ্চিত করা হবে। ভারতের চেয়ে দেশের জনগণকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।

প্রতিবছর দুর্গাপূজার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠাতেন। তার সেই উদ্যোগের সমালোচনা করে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ইলিশ নিয়ে ভারতের কোনো ইস্যু সৃষ্টি করার দরকার নেই। যদি তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় তাহলে তাদের তিস্তার পানি বণ্টনের সমস্যার সমাধান করা উচিত।

এর আগে, গত ৩ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের (এফএলজেএফ) সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ফরিদা আখতার বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোনো ইলিশ মাছ যাবে না। এ ছাড়া আমরা কোনো মাংস আমদানি করতে চাচ্ছি না। এখন লাখ লাখ খামারি গবাদিপশু লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত।

উপদেষ্টা বলেন, দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তারপর ইলিশ বিদেশে রফতানি করা হবে। দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রফতানি হবে, সেটা হতে পারে না। ফলে এবার দুর্গাপূজায়ও ভারতে যাতে কোনো ইলিশ না যায়, তার জন্য আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলেছি।


আরও খবর



তেলাপিয়া নিধনে হঠাৎ কেন উঠেপড়ে লেগেছে থাইল্যান্ড?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মাছ-প্রিয় বাঙালির পাতে তেলাপিয়া মাছ প্রথম পছন্দগুলোর একটি। দামে মোটামুটি আয়ত্তের মধ্যে, আবার সুস্বাদুও। কিন্তু এই তেলাপিয়াই নাকি সম্প্রতি থাইল্যান্ডে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক প্রজাতি হিসেবে পুরোদস্তুর ভিলেন হয়ে উঠেছে।

থাইল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে যত পারেন তেলাপিয়া ধরে খান। কেউ কিছু বলবে না। উল্টো যেন খুনের সুপারি দেওয়ার বার্তা দিয়েছে দেশটি। বাজারে কেজি প্রতি তেলাপিয়ার যা দাম, তার দ্বিগুণ দেবে সরকার। শর্ত একটাই যত বেশি সম্ভব তেলাপিয়া ধরে নির্মূল করতে হবে।

কারণটা কী?

সরকারিভাবে বলা হয়েছে, ব্ল্যাকচিন নামের এই বিশেষ তেলাপিয়া ভয়ঙ্করভাবে ছড়িয়ে পড়েছে থাইল্যান্ডের অন্তত ১৭টি প্রদেশে। এই মাছ অন্য সব ছোট মাছ, লার্ভা, কুচো চিংড়ি ও শামুক ইত্যাদি খেয়ে ফেলছে। মানে, তেলাপিয়ার জ্বালায় বাণিজ্যিকভাবে আর কোনও মাছই চাষ করা যাচ্ছে না।

এমনকি, যে রঙিন মাছ চাষের ওপর থাইল্যান্ডের রপ্তানির একটা বড় অংশ নির্ভরশীল, তাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই মাছ মেরে শেষ করার পাশাপাশি প্রজননগতভাবে কীভাবে তেলাপিয়া নিধন করা যায়, তাও ভাবা হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: তেলাপিয়া

আরও খবর
মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় ৩৩ জনের মৃত্যু

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আমি নির্দোষ, আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না: জিয়াউল আহসান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, এ আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না। আমি নির্দোষ।  শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে রিমান্ড শুনানি চলাকালে তিনি বিচারককে এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ উল্লাহ্ খান জুয়েল নামে এক আইনজীবী আদালতে বলেন, আজ যে আয়নাঘরের উত্থান, এটার মূল কারিগরি এই আসামি। দেশে যত গুম খুন, এর নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড মেজর জিয়া।

এ সময় মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান আদালতে বলেন, আমি অসুস্থ, আমার হার্টের ৭৯ শতাংশ ব্লক। আমাকে নিয়মিত মেডিসিন নিতে হয়। এছাড়া আমাকে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়নি। সেচ্ছায় অবসর নিতে বলা হয়েছে, তাই আমি অবসর নিয়েছি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে খিলক্ষেত এলাকা থেকে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) নেওয়া হয়। পরে জিয়াউল আহসানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৬ আগস্ট তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এই তথ্য জানায়। তিনি সবশেষ ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্বে ছিলেন।

জিয়াউল আহসান নানা কারণে বিভিন্ন সময় আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের গুম-খুনের অনেক ঘটনায় তিনি জড়িত। বিশেষ করে সিলেটের বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধান রহস্যের সঙ্গে বারবার তার নাম এসেছে।

তিনি র‌্যাবের অধিনায়ক থাকাকালে আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ওঠে। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায়ও তার নাম আলোচিত হয়।

২০২২ সালের জুলাই মাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থেকে মেজর জেনারেলে পদোন্নতি পান জিয়াউল আহসান। ২১ জুলাই তাকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এনটিএমসির মহাপরিচালকের দায়িত্ব দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। এর আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তখন জিয়ার জন্যই প্রথমবারের মতো এনটিএমসির মহাপরিচালক পদটি সৃষ্টি করা হয়। আর পদটিতে প্রথম কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান জিয়াউল আহসান।

জিয়াউল আহসান ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ২০০৯ সালের ৫ মার্চ র‌্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক ও একই বছর লে. কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হন তিনি। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান।


আরও খবর



ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দ্দারকে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। র‍্যাব-৬-এর তরফ থেকে জানানো হয়, গভীর রাতে একটি বিশেষ অভিযানে তাকে তার নিজ বাসা থেকে আটক করা হয়। তাকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় নাশকতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পৃথক দুই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‍্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, নায়েব আলীকে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। গত ৪ আগস্ট ঝিনাইদহে সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তদন্তের অংশ হিসেবেই এই গ্রেপ্তার।

এদিকে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পর, সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের ঢেউ বইছে। নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন এবং ঝিনাইদহ-১ আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন।


আরও খবর