ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত আড়াই বছরে (২০১৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত) বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এবং সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) কর্তৃক পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দকৃত প্রায় পৌনে ২৪ কোটি টাকা মূল্যের (২৩ কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার ৯৩০ টাকা) বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার সুলতানপুর অবস্থিত ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভেতরে খোলা আকাশের নিচে এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
ধ্বংসকরা মাদক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় হুইস্কি, ফেন্সিডিল, গাঁজা, ইস্কাফ, বিয়ার, ইয়াবা ট্যাবলেট, পাতার বিড়ি, চোলাই মদ, ফরমূলা সিরাপ ও ভারতীয় তামাক।
ধ্বংস করা মাদকের মধ্যে বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) আড়াই বছরে ১১ কোটি ৫৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৬০ টাকা মূল্যের এবং সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) ১২ কোটি ১৭ লাখ ৫৯ হাজার ২৭০ টাকা মূল্যের মাদক দ্রব্য জব্দ করেছিল।
মাদকদ্রব্য ধ্বংস উপলক্ষে সোমবার দুপুরে বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর আয়োজনে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম প্রকাশ শিউলী আজাদ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজিবির উত্তর-পূর্ব রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার, (রিজিয়ন সদর দপ্তর, সরাইল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, কুমিল্লা সদর দপ্তর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মোঃ মারুফুল আবেদীন, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মোজাম্মেল হোসেন রেজা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম প্রকাশ শিউলী আজাদ এমপি বলেন, মাদকদ্রব্য আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংস করার এক ধরনের অস্ত্র বিশেষ। মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে দেশ ও যুব সমাজকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। তিনি যুব সমাজকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে মাদক বিরোধী অভিযান জোরদারসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম প্রকাশ শিউলী আজাদ এমপি আরো বলেন, মাদকের কারণে ধ্বংস হচ্ছে পরিবার, যুব সমাজ তথা দেশ। তাই মাদকের ভয়াবহতা থেকে আমাদেরকে মুক্তি পেতে হবে। তিনি বলেন, প্রত্যাশা করি আইন-শৃংখলাবাহিনীসহ সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় একদিন বাংলাদেশ মাদকমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগন মাদকদ্রব্য ধ্বংস কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। পরে আগুনে পুড়িয়ে রোলার চাপা দিয়ে জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।