আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বৌদ্ধ গ্রামের ২’শ বছরের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দোকান ঘর নির্মাণ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর সেনবাগের সংখ্যালঘু বৌদ্ধ গ্রামের প্রায় ২শ বছরের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দোকান ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে এক বিত্তশালী প্রবাসীর বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রধান রাস্তার সম্মুখভাগের এক টুকরো জায়গা কিনে প্রায় ২৫০ বছরের পথ বন্ধ করে দিয়েছিল পার্শ্ববর্তী গ্রামের লোকমান হোসেন নামের এক প্রবাসী।

গ্রামবাসীর দাবী পূর্বে ঐ জমি বৌদ্ধদের ছিল, তাই পথের জন্য কখনও ঝামেলা হয়নি। কালক্রমে হাত বদল হয়ে মুসলিমদের কাছে বিক্রি হয়। আগের মালিকও বাঁধা দেননি। কিন্তু বিগত ৩/৪ মাস আগে গোপনে লোকমান হোসেন কিনে নিয়ে খতিয়ান করেই রাস্তাটি বন্ধ করে দেন।

সেই সময় এলাকাবাসী মানববন্ধন করলে এসিল্যান্ড সশরীরে এসে বলেন প্রাচীন জনগোষ্ঠীর পথটি কখনও বন্ধ হবেনা। কিন্তু এখন অজ্ঞাত কারণে, বৌদ্ধ গ্রামের কয়েকজনকে অফিসে ডেকে নিয়ে ৩টি শর্ত জুড়ে দেন ১) জায়গাটি কিনে নিতে হবে ২) জায়গার পরিবর্তে জায়গা দিতে হবে ৩) অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার পরামর্শ দেন। তাও ৩ দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এসিল্যান্ডের এমন মন্তব্যে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায় বৌদ্ধবাসীরা।

স্থানীয় গ্রামের নেতা বিপ্রসেন বড়ুয়া মাস্টার বলেন, এখানের বৌদ্ধরা খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকের মাথার ঠাই টুকুও নেই। গ্রামের চলাচলের কথা ভেবে যার যার জায়গা পড়ে তা ছেড়ে দিয়েছে। জনগোষ্ঠীর এই টাকা দিয়ে পথটুকু কেনার সামর্থ্য নেই।

অভিযুক্ত প্রবাসী লোকমান হোসেনের সাথে ফোনে কথা বলে জানা যায়, তিনি টাকা দিয়ে জমি কিনে তা খতিয়ান করেছেন। সরকারী নিয়মকানুন মেনেই সব কিছুই করেছেন। তিনি রাস্তার জায়গা দিবেন না। তার জায়গার সাথের জায়গা দিলেই সে রাস্তা দিবে। অন্যথা সে অন্য কোন শর্ত মানবেন না।

তবে এসি ল্যান্ড তানজিম আলম তুলিকে কয়েক বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, আমি এতদিন ছুটিতে ছিলাম। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে এসিল্যান্ড দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামী রবিবার এসিল্যান্ডের সাথে কথা বলেই এই ব্যাপারে তথ্য দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯১০ সালে উক্ত বৌদ্ধ গ্রামে মতইন বৌদ্ধ বিহারটি নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু ভারতের বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার ইস্যুতে উক্ত বড়ুয়া পাড়াসহ বৌদ্ধ বিহারটিতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন উগ্রবাদীরা। তাই ১৯৯২ সালে নিরাপত্তার খাতিরে তৎকালীন ১০ম সঙ্ঘরাজ জ্যোতিপাল ভিক্ষুর তত্ত্বাবধানে গ্রামের অভ্যান্তরে পুনঃনির্মিত হয়। তখন থেকে এখনও ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জীবন যাপন করে আসছে অন্যদিকে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর র‍্যাব ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় বৌদ্ধরা ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পাদন করে আসছে।


আরও খবর



ভবনটিতে রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন ছিল না: রাজউক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে লাগা আগুন গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কেড়ে নিয়েছে ৪৬টি তাজা প্রাণ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বলছে, ওই ভবনে রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন ছিল না।

আজ শুক্রবার রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রকল্পের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ভবনটির এক থেকে সাততলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তবে তা শুধু অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য। রেস্তোরাঁ, শোরুম (বিক্রয়কেন্দ্র) বা অন্য কিছু করার জন্য অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ওই ভবনে সব মিলিতে আটটি রেস্তোরাঁ, একটি জুস বার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ও একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল। এছাড়াও ছিল মুঠোফোন ও ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম এবং পোশাক বিক্রির দোকান। এর মধ্যে ভবনের নিচতলায় দুটি ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বিক্রির দোকান ও একটি জুসবার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ছিল। দ্বিতীয় তলায় কাচ্চি ভাই নামের একটি রেস্তোরাঁ, তৃতীয় তলায় ইলিয়ন নামের একটি পোশাকের ব্র্যান্ডের দোকান, চতুর্থ তলায় খানাস ও ফুকো নামের দুটি রেস্তোরাঁ, পঞ্চম তলায় পিৎজা ইন নামের একটি রেস্তোরাঁ, ষষ্ঠ তলায় জেস্টি ও স্ট্রিট ওভেন নামের দুটি রেস্তোরাঁ এবং ছাদের একাংশে অ্যামব্রোসিয়া নামের একটি রেস্তোরাঁ ছিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও এনএসআই। এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও অনেকে।


আরও খবর



বেইলি রোডে আগুন : কারণ অনুসন্ধানে ফায়ারের ৫ সদস্যের কমিটি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে ফায়ার সার্ভিস।

ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনার নেপথ্যের কারণ, ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণসহ হতাহত বেশি হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির সভাপতি : পরিচালক(অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, কমিটির সদস্য সচিব ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন, সদস্য করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জোনের ডিএডি, সিনিয়র স্টেশন অফিসার এবং ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টরকে। কমিটিকে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



যৌন হয়রানির দায়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই শিক্ষক বহিষ্কার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৮৪তম সিন্ডিকেট সভায় যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহাকে চূড়ান্ত বরখাস্ত ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে আরো উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ সাজন সাহার অনৈতিক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নারী শিক্ষার্থী সৈয়দা সনজানা আহসান ছোঁয়া যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর পরই আন্দোলনে ফুঁসে ওঠে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল ১৩ মার্চ অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হলে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিকাল চার টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে। পরে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত হয়ে তাদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরত নিয়ে আসেন।

যৌন হয়রানির ঘটনা সামনে আসার পর থেকে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে বহিষ্কার করতে টানা ১৪ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে মানব সম্পদ ব্যাবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের অংশ হিসেবে একাধিকবার প্রশাসনিক ভবনে তালা, মিছিল, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, সব অনুষদে তালা এমনকি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে ৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


আরও খবর



ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আশরাফুল আলম সজিব, ভোলা

Image

ভোলা শহরের ওয়েস্টার্নপাড়া এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে এক ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাঁর স্বামীকে আটকে করেছে।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মনির হোসেন মিঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত মাকসুদা আক্তার বরিশাল জেলার শায়েস্তাবাদ এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্বামীর নাম মো. আহসান হাবিব। তিনি ভোলা সদর রোডের আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সেকেন্ড অফিসার। তাঁর বাড়িও শায়েস্তাবাদ এলাকায়। তিনি সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। গত ১৭ মার্চ স্ত্রীকে নিয়ে ওয়েস্টার্ন পাড়া এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস শুরু করেন।

ওসি জানান, স্ত্রীর সঙ্গে আহসান হাবিবের মনোমালিন্য ছিল। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো। তাঁর স্ত্রী বরিশালের একটি কলেজে পড়াশোনা করত। গেল ১৭ মার্চ তিনি স্ত্রীকে বরিশাল থেকে ভোলায় নিয়ে আসেন। স্ত্রী তাঁর সঙ্গে ভোলায় থাকতে অপারগতা প্রকাশ করেন। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় মাকসুদা আক্তার বাসার একটি খুঁটির সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।

এ মৃত্যুর ঘটনায় মাকসুদার পরিবার স্বামী আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা আইনে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় হাবিবকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ রবিবার কোর্টে সোপর্দ করা হবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



ইমরান খান বন্দি থাকা কারাগারে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বন্দি থাকা আদিয়ালা কারাগারে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের (সিটিডি) যৌথ চেষ্টায় এ হামলা বানচাল করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় বুধবার রাতেই তিনজনকে আটক করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আটক সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের অজ্ঞাত জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

রাওয়ালপিন্ডি পুলিশের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, পুলিশ ও সিটিডি আদিয়ালা কারাগারে হামলার চেষ্টা বানচাল করেছে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটক তিন ব্যক্তি আফগানিস্তানের বাসিন্দা। 

আরও পড়ুন>> রমজানে মসজিদে ইফতার নিষিদ্ধ করল সৌদি

রাওয়ালপিন্ডি পুলিশের প্রধান সাইদ খালিদ হামদানি বলেন, তাদের কাছ থেকে স্বয়ংক্রিয় ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের কাছে হ্যান্ড গ্রেনেড, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ও কারাগারের মানচিত্রও পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বর্তমানে কারাগার ও তার আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আদিয়ালা কারাগার বর্তমানে বন্দিতে ঠাসা। এটিতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দি রয়েছেন। কারাগারটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন।


আরও খবর