আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বোরকা পরে বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী-শাশুড়িসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বোরকা পরিধান করে বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী-শাশুড়িসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর পুটল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন মনিরা বেগম (৪০), তার মা শেফালী বেগম (৬০) ও চাচা মাহমুদ হাজী (৬৫)। এই ঘটনায় গুরুতর আহতরা হলেন প্রতিবেশী ও মনিরার আত্মীয় আহাদ আলীর স্ত্রী বাচ্চুনী বেগম (৫২), জয়নাল আবেদীনের ছেলে মনু মিয়া (৭৫) ও মনু মিয়ার ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (৪০)।

স্থানীয়রা জানান, ১৭ বছর আগে মিন্টুর নামে একজনের সঙ্গে মনিরার বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুইটি সন্তান আছে। গত রোজায় ঝগড়া করে স্ত্রী মনিরা বাপের বাড়ী চলে আসে। তারপর আর স্বামীর বাড়ি যায়নি।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বোরকা পরে স্বামী মিন্টু মিয়া তাদের বাড়িতে আসে। কেউ কিছু বুঝে উঠার  আগেই হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে প্রথমে স্ত্রী মনিরা,  পরে শাশুড়ি ও শ্বশুরকে কোপায় সে। প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারী আরও ৩ জনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান মনিরা বেগম (৪০)। বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো দুজনের মৃত্যু হয়।

শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসান নাহিদ চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থলেই মনিরা বেগমের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্য দুইজন বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যায়। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে পুলিশ জেলাব্যাপী অভিযান চালাচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: কুপিয়ে হত্যা

আরও খবর



ঈদে সবার জীবনে নেমে আসুক সুখ ও শান্তি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঈদে সবার জীবনে আনাবিল সুখ-শান্তি নেমে আসুক। আগামী দিনগুলো আরও সুন্দরভাবে যাক সেটাই কামনা করি।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) গণভবনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ রেহানা ও নিজের পক্ষ থেকে তাদের সবার পরিবারকে ঈদের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান। আনন্দের এসময় নিজের পরিবারকে সময় দেওয়ার পরামর্শ দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিতে আসেনি মানুষকে দিতে এসেছে। মানুষের জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করা আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আজকের দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বাবা, মা, ভাই-বোন সব হারিয়েছি। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। শ্রদ্ধা জানাই ৩০ লক্ষ শহিদের প্রতি। শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় চার নেতার প্রতি।

নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আহ্বান করেছিলাম, ইফতার পার্টি না করে জনসাধারণের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করার জন্য। আপনারা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এতে প্রমাণ হয়েছে, আওয়ামী লীগ নিতে আসে না, মানুষকে দিতে আসে।

তিনি বলেন, অনেকে অহংকার করে বলেন এক হাজার লোক নিয়ে ইফতার করেছি। আসলে আওয়ামী লীগ খায় না, দেয়। আমরা সেটা প্রমাণ করেছি। আমরা ইফতার পার্টি করিনি, ইফতার মানুষের মধ্যে বিতরণ করেছি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিজের ও তার বোন শেখ রেহানার পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। আওয়ামী লীগকে বার বার নির্বাচিত করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ডাক্তার দীপু মনি, নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম সহ-কেন্দ্রীয় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা, সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ১৯ মার্চ, প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে ঢাকার উত্তরে জয়দেবপুরে (বর্তমান গাজীপুর) অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

এই উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে শহীদদের কবর জিয়ারত ও আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চে দেওয়া ভাষণে তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে, এই মন্ত্রবলে বলিয়ান হয়ে ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই ঢাকার অদূরে জয়দেবপুরে অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সামনে প্রথমবার রুখে দাঁড়িয়েছিল। হাজার-হাজার জনগণ অবতীর্ণ হয়েছিল সেই সম্মুখযুদ্ধে।

১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে ঢাকা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের নেতৃত্বে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরের (গাজীপুর) দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার জন্য পৌঁছে যায়। এ খবর জানা-জানি হতেই বিক্ষুদ্ধ জনতা জয়দেবপুরে এক প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। সশস্ত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করলে অকুস্থলেই শহীদ হন অনেকে। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ জয়দেবপুরের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে নিজ হাতে লিখে একটি বাণী দিয়েছিলেন। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই বাণী বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

ওই সময় বাণীতে বঙ্গবন্ধু বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ শে মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে আরো একটি স্মরণীয় দিন। ওইদিন পাক মিলিটারি বাহিনী জয়দেবপুরে ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের জওয়ানদের নিরস্ত্র করার প্রয়াস পেলে জয়দেবপুর থানা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের যৌথ নেতৃত্বে কৃষক, ছাত্র, জনতা সবাই বিরাট প্রতিরোধের সৃষ্টি করে। ফলে, মিলিটারির গুলিতে তিনটি অমূল্য প্রাণ নষ্ট হয় এবং বহু লোক আহত হয়।

বাণীতে তিনি বলেন, আমি তার কয়েকদিন মাত্র পূর্বে ৭ই মার্চ তারিখে ডাক দিয়েছিলাম, যার কাছে যা আছে, তাই দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোল। জয়দেবপুরবাসীরা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। আমি তাদের মোবারকবাদ জানাই।

তিনি বলেন, কোন মহৎ কাজই ত্যাগ ব্যতিত হয় না। জয়দেপুরের নিয়ামত, মনু, খলিফা ও চান্দনা চৌরাস্তায় হুরমতের আত্মত্যাগও বৃথা যায় নাই। শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। তাই আজ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু বলেন, দেশকে স্বাধীন করার সংগ্রাম শেষ হয়েছে। আসুন আজ আমরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার সংগ্রামে লিপ্ত হই। তিনি জয় বাংলা বলে বাণীটি শেষ করেন।


আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪




যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইসরায়েলকে সাহায্যের জন্য মরিয়া: বাইডেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইসরায়েলকে সাহায্যের জন্য মরিয়া বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ এক মতামত কলামে বাইডেন লিখেছেন, এই দুটি দেশ নিজেরা নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সক্ষম, কিন্তু সেটা করতে তারা সমরাস্ত্র সহ আমেরিকান সাহায্যর উপর নির্ভর করে।

ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য সিনেটে পাস হওয়া সাহায্য প্রস্তাবকে বাইডেন শক্তিশালী এবং বিচক্ষণ’ বলে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, রিপাবলিকান দলের হাউস সদস্যদের ছোট একটি উগ্রবাদী গ্রুপের উচিত হবে না এই প্রস্তাবকে আটকে রাখা।

জার্নাল পত্রিকায় বাইডেন যুক্তি দেন যে এই সাহায্য ইউক্রেনের দরকার, যাদের গোলা-বারুদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর গত সপ্তাহান্তে ইরানের ড্রোন আক্রমণের পর ইসরাইলের সাহায্য দরকার।

তবে তিনি বলেন, এই সাহায্য যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যও একই গুরুত্ব বহন করে।

বাইডেন বলেন, ইউক্রেন এবং ইসরায়েল দু’দেশই নির্লজ্জ প্রতিপক্ষের আক্রমণের মুখে, যারা তাদের নিশ্চিহ্ন করতে চায়। পুতিন ইউক্রেনের জনগণকে বশে এনে নতুন রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যে নিয়ে আসতে চান। ইরানের সরকার ইসরাইলকে চিরতরে ধ্বংস করে বিশ্বের মানচিত্র থেকে একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র মুছে ফেলতে চায়। এরকম ফলাফল আমেরিকার কখনোই মেনে নেয়া উচিত না। এটা শুধু আমাদের মিত্রদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্যই নয়। আমাদের নিজেদের নিরাপত্তাও এখানে জড়িত আছে।

তিনি রিপাবলিকানদের অভিযোগ, যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইয়ে টাকা খরচ করার সামর্থ্য আমেরিকার নেই, তার জবাবে বলেন, এই সাহায্য একটি সাদা চেক’ হিসেবে দেয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের জন্য সমরাস্ত্র কারখানা তৈরি করা হবে আমেরিকায়।


আরও খবর
মিঠুনকে বিশ্বাসঘাতক বললেন মমতা

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




‘কোক স্টুডিও বাংলা’ তৃতীয় সিজনের প্রথম গান ‘তাঁতি’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

তাঁতী শিরোনামের গানের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করল কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজন। প্রথম গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব, গঞ্জের আলী ও ওলি বয়। চমক হিসেবে পাওয়া গেল দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে।

ব্যাকগ্রাউন্ড শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। গানের ভিডিওতে মাইক্রোফোন হাতে পর্দায় এসেছেন জয়া। শতরূপা ঠাকুরতা রায়, গঞ্জের আলী ও লুইস অ্যান্থনির লেখা এই গান প্রযোজনা করেছেন তৃতীয় সিজনের মিউজিক কিউরেটর শায়ান চৌধুরী অর্ণব।

তৃতীয় সিজনের প্রথম গান নিয়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোক স্টুডিও জানিয়েছে, তাঁতী একজন শিল্পী, কাপড়ের বুননে যিনি ফুটিয়ে তোলেন আমাদের সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ইতিহাস। কাপড় বোনার সময় একধরনের ছন্দ তৈরি হয়। তাঁতের শব্দের সঙ্গে প্রতিটি সুতা যেন হয়ে ওঠে গানের এক একটি চরণ। আর প্রতিটি চরণ এই ঐতিহ্যকে বহন করে নিয়ে চলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।

এই শব্দ, এ বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে কোক স্টুডিও বাংলার নতুন গানটিতে। তাঁতি গঞ্জের আলীর সঙ্গে অর্ণবের সুর মিলে গানটি এই শৈল্পিকতাকে প্রকাশ করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ওলি বয়ের অ্যাফ্রোবিটের ফিউশন। বাংলাদেশে বসবাসকারী নাইজেরিয়ান এই শিল্পীর পরিবেশনা গানটিতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।

তৃতীয় সিজনে থাকবে বিভিন্ন ধারার শিল্পীদের পরিবেশিত নানা ধরনের মোট ১১টি গান। প্রথম দুই সিজনের মতোই এই সিজনেও মিউজিক কিউরেটর হিসেবে আছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব। সংগীত প্রযোজক হিসেবে তাঁর সঙ্গে আরও থাকবেন প্রীতম হাসান, ইমন চৌধুরী, শুভেন্দু দাশ শুভ এবং অন্যরা।


আরও খবর



ইতিকাফের সময় গোসল ফরজ হলে করণীয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ইতিকাফ বলা হয়, বিশেষ নিয়তে বিশেষ অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার আনুগত্যের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করাকে। ইতিকাফরত অবস্থায় বান্দা নিজেকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য দুনিয়ার অন্য সব কিছু থেকে আলাদা করে নেয়। ঐকান্তিকভাবে মশগুল হয়ে পড়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিরন্তর সাধনায়।

ইতিকাফের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি রহ. বলেন, মসজিদে ইতিকাফ হচ্ছে হৃদয়ের প্রশান্তি, আত্মার পবিত্রতা ও চিত্তের নিষ্কলুষতা; চিন্তার পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতা।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১২৫)

মদিনায় অবস্থানকালে রাসূলুল্লাহ সা. প্রতিবছরই ইতিকাফ পালন করেছেন। শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও রমজানে তিনি ইতিকাফ ছাড়েননি। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফে কাটান। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৩)

ইতিকাফের সময় দুনিয়াবি সব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হয়। এ সময় প্রয়োজন ছাড়া মসজিদ থেকে বের হলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। তবে কারো যদি স্বপ্ন দোষের কারণে গোসল ফরজ হয় তাহলে তার করণীয় বিষয়ে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো

ইতিকাফের সময় কারো গোসল ফরজ হলে এমন ব্যক্তি তাৎক্ষণিক তায়াম্মুম করে মসজিদ থেকে বের হয়ে গোসল করে নেবেন। আর যদি তায়াম্মুম করার মত কোনো কিছু না পায় তাহলে দ্রুত মসজিদ থেকে বের হয়ে গোসল করে আসবে। মসজিদের বাইরে গোসল ছাড়া অন্য কোনো কাজ বা বিষয়ে সামান্য সময়ও ব্যয় করা যাবে না। (রদ্দুল মুহতার ১/৪১০;)

নিউজ ট্যাগ: ইতিকাফ

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪