আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বৈশ্বিক সংকটেও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০২ নভেম্বর 2০২2 | হালনাগাদ:বুধবার ০২ নভেম্বর 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলমান বৈশ্বিক সংকটেও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বুধবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (এলডিডিপি) প্রকল্পের আওতায় প্রডিউসার গ্রুপ সক্রিয়করণ ও প্রাণিসম্পদ কৃষক মাঠ স্কুল পরিচালনা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, করোনার ভয়াবহ সংকট এবং তার পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে যে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে তা যেন বাংলাদেশের অদম্য সাহসী অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে না পারে। বৈশ্বিক সংকটে প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন কোনভাবেই ব্যাহত করা যাবে না। উৎপাদনে কোথাও যাতে গাফিলতি না হয় সেটা মনে রাখতে হবে। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সম্পদের সব ধরণের যোগান থাকা সত্ত্বেও যাতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে না হয় সেটা মনে রাখতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ধরে রেখে এ খাতকে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি গুণগত মানেও এ খাতকে উন্নত করতে হবে। এ খাতের টেকসই উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় খাত প্রাণিসম্পদ। এ খাত থেকে দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনের সাথে এলডিডিপি প্রকল্প সম্পৃক্ত। দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে সমৃদ্ধ হতে না পারলে খাবারের বড় একটি অংশের সংকট হতে পারতো। আমিষের সংকটে আমরা বিপন্ন হয়ে পড়তাম। প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে প্রান্তিক মানুষদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ছে। তারা উদ্যোক্তা হয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। নারী, বিধবা, দরিদ্র, অসহায়, বেকার সবাই মিলে সংযুক্ত হয়ে এলডিডিপি প্রকল্পের প্রডিউসার গ্রুপ তৈরি হয়েছে। ফলে আর্থিকভাবে গ্রামীণ জীবনের আমূল পরিবর্তন আসছে।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রাণিসম্পদ খাতে বড় সাফল্য এসেছে। তারাই প্রাণিসম্পদ খাতে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও সাফল্যের চাবিকাঠি। প্রকল্পের অর্থ যেন অপব্যবহার না হয় সে বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এ খাতে সম্পৃক্তদের সার্বক্ষণিকভাবে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আজ বাংলাদেশ মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুধেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতার কাছাকাছি। এ অর্জন করতে না পারলে কোরবানির সময় ভারত-মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু না আসা পর্যন্ত কোরবানির চাহিদা পূরণ করা যেত না। আজ আমরা প্রাণিসম্পদ খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন বিশ্বকে দেখাতে পারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ খাতের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণে সব সময় উৎসাহিত করেন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ থেকে মাংসের চাহিদা আমাদের দেশে আসছে। এ বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জীবনামুক্ত মাংস সরবরাহের জন্য রোগমুক্ত প্রাণিসম্পদ অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে। দেশে আন্তর্জাতিক মানের মান নিয়ন্ত্রণ পরিক্ষাগার তৈরি করা হয়েছে। যাতে মাংস রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনরকম ক্ষতিকর অবস্থার মুখোমুখি আমরা না হই।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচার ইকনোমিস্ট ও এলডিডিপি প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার আমাদো বা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এলডিডিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। এলডিডিপি প্রকল্প নিয়ে উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. মো. গোলাম রব্বানী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প প্রাণিসম্পদ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সাধন করবে। এ খাতের ইতিবাচক রূপান্তরের জন্যই এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য দেশের ৬১ জেলার ৪৬৬ উপজেলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।


আরও খবর



ডোনাল্ড লু আসছেন শুনেই বিএনপি ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আবার চাঙ্গা হয়েছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আসবেন বাংলাদেশে। এটা শুনেই তারা চাঙ্গা হয়ে গেছে। ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে গেছে। আরে বেকুবের দল, ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছেন শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে।

শনিবার বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সব আন্দোলনই ভুয়া দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কত নাটক করেছেন আপনারা (বিএনপি)। জজ মিয়া নাটক ও বাইডেনের উপদেষ্টার নামে নাটক করেছেন। আবারও নাটক শুরু করেছেন। মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় অপশক্তির বিরুদ্ধে আবারও খেলা হবে। লন্ডন থেকে আন্দোলনের ডাক দিয়ে কোনো লাভ হবে না। পালিয়ে গিয়ে বুড়িগঙ্গার পঁচা পানি খেতে হবে। যাদের সঙ্গে জনগণ নেই, তাদের আন্দোলন ও কর্মসূচি ভুয়া। বিএনপিও একটা ভুয়া রাজনৈতিক দল। এই ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলন জনগণ বিশ্বাস করে না। 

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে ২১ বছর শত্রুতা করে লাভ হয়নি। বিএনপি শত্রুতা করে সংশয় ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছিল। সে কারণে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। শেখ হাসিনা সে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন। ভারত আমাদের বন্ধু। আমরা কারো দাসত্ব করি না। আমাদের শক্তির উৎস এদেশের মানুষ ও জনগণ। ভারতের কাছে আমরা বন্ধুত্ব চাই। কারণ, এটা আমাদের স্বার্থেই দরকার। শত্রুতা করে আমাদের ক্ষতি হয়েছে ২১ বছর। আমরা সে অবস্থায় আর ফিরে যেতে চাই না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে গিয়েছিলেন। সেই গঙ্গার পানির চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা করেছেন। তিনিই গঙ্গার পানি এনেছেন। সীমান্ত সমস্যার চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী করেছেন। বাংলাদেশের মতো আরেকটি বাংলাদেশ আমরা সমুদ্র পেয়েছি আদালতের মাধ্যমে। 

বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল পল্টনে গয়েশ্বর চন্দ্র একতরফা মিথ্যাচার করে গেলেন। গয়েশ্বর বাবু কোথায় ছিলেন এতদিন? কোথা থেকে এলেন? কোথায় পালিয়ে ছিলেন? ভারতে? মাথায় উঠেছে গান্ধী টুপি। এখন ভণ্ডামি শুরু করেছেন। আমাদের বলে ভারতের দালাল। এই অপবাদ তো আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, জিয়াউর রহমানের আমলে অনেক শুনেছি। নরেন্দ্র মোদি যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, তখন ফুল আর মিষ্টি নিয়ে দূতাবাসে হাজির হয়েছিল বিএনপি নেতারা। নির্বাচনের আগে ভারতের আপ্যায়নে বিএনপির নেতারা ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন। তাহলে দালালি কারা করে?

সেতুমন্ত্রী নির্বাচনে ৪২ শতাংশ লোক তাদের ভোট দিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ ভোটার। এই নির্বাচনে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। উপজেলা নির্বাচন জনগণ নাকি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাহলে ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ লোক ভোট দিল তারা কারা? তারা এই দেশের জনগণ। তারা শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনে মুগ্ধ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি-জামায়াত এই সরকারকে উচ্ছেদ করতে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি নিয়েছে। কিন্তু তারা উচ্ছেদ করতে পারেনি। ব্যর্থ হয়েছে। ওই বিএনপি-জামায়াতকে আমি বলতে চাই, এই দেশ জয় বাংলার দেশ, এই দেশ বঙ্গবন্ধুর দেশ, এই দেশ শেখ হাসিনার দেশ। এখানে সন্ত্রাসী করার সুযোগ নেই। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নানা অজুহাত নিয়ে সামনে আসছে। তাদের কথায় ভারতের পণ্য বর্জন করতে হবে। যে ভারত আমাদের যুদ্ধের সময় সহযোগীতা করেছে ও আশ্রয় দিয়েছিল। তারা ভারত বর্জন করে পাকিস্তানকে কাছে টানতে চায়। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন সম্ভব। নির্বাচন ছাড়া কখনও বৈধভাবে সম্ভব না। আরেকটি আছে অগণতান্ত্রিক পন্থায়। এই দেশের মানুষ সেটা কখনও চায় না। বাংলাদেশের মানুষ কখনও অবৈধ পন্থায় সরকার গঠনের সুযোগ দেবে না।

শান্তি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপমিণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লায়লী। উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশ সঞ্চালনা করেন এমএম মান্নান কচি।


আরও খবর



আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়া ৬১ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো শোকজের চিঠিতে তাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে বা কেউ জবাব না দিলে তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে। চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাঠে রয়েছেন এসব শোকজ পাওয়া নেতা।  এর আগে প্রথম দফার ভোটে যাওয়া ৮০ নেতাকে বহিষ্কার করে দলটি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে শোকজ করা ৬১ নেতার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ২০ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ১৬ জন রয়েছেন। এছাড়া এ ধাপের ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ১২ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে ৪ জন।  জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে কমসংখ্যক নেতা ভোটে অংশ নিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, শোকজ করার কারণ হলো তাদেরকে আরেকটি সুযোগ দিতে চায় দল। এর মধ্যেও যদি কেউ ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা শোকজ চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএনপির নেতা হিসাবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



৯ মে ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিব

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ৯ মে (বৃহস্প‌তিবার) ঢাকা সফরে আস‌ছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

ঢাকার এক‌টি কূটনৈ‌তিক সূত্র কোয়াত্রার সফরের তথ্য নি‌শ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, আগামী ৯ মে ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিবের ঢাকায় আসার তা‌রিখ চূড়ান্ত হয়েছে। ঢাকা সফরে তার মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মোমেনের স‌ঙ্গে।

গত ২০ এ‌প্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার। তবে অনিবার্য কারণে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের পূর্বনির্ধারিত সেই সফর স্থগিত হয়।

জানা গেছে, এক‌দিনের আসন্ন ঢাকা সফরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন কোয়াত্রা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দি‌ল্লি সফরসহ দুই দে‌শের স্বার্থ সং‌শ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন কোয়াত্রা।

আশা করা হচ্ছে, সরকারপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেবেন তি‌নি।


আরও খবর



স্কুল বন্ধের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে তীব্র তাপদাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসার পাঠদান আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসায় ছুটি বহাল থাকছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের আপিল না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের আদেশের পর অসন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান। ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সোমবার আদেশে আদালত বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) রয়েছে সেগুলোতে যথারীতি পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা এসি নেই, তীব্র গরমের কারণে এ ধরনের প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাগুলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ আইনজীবী আরও জানান, কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলে নির্ধারিত সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিশাল পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সোমবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় তারা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাপ্ত হয়।

এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাতে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, ব্যানার ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য ইউনিট থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন।

মিছিলে ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড, স্বৈরাচার নিপাত যাক-ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, উই ওয়ান্ট জাস্টিস-জয় জয় ফিলিস্তিন, ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। ধ্বংস করছে পুরো গাজাকে। আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ইসরাইল যে গণহত্যা চাচিয়েছে তার নিন্দা জানাই এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় তাদের শাস্তি জানাই।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে একযোগে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।


আরও খবর