দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের বৈশ্বিক চাহিদা বেড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে দেশটির রফতানিতে ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় নতুন করে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে চীনে। ফলে ভোক্তা চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখাপেক্ষী যুক্তরাষ্ট্র। খবর স্ট্রেইটস টাইমস।
এপ্রিলের প্রথম ২০ দিনে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানি ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক রফতানি হয়েছে সেমিকন্ডাক্টর। লকডাউনের কারণে দেশটির বৃহত্তম ক্রেতা চীনে এ মাসে রফতানি বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বেড়েছে ২৯ দশমিক ১ শতাংশ।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর বিষয়ক নির্বাহী পরিচালক ডক্টর অ্যানি ম্যারি বলেন, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল হলো বাণিজ্য। চীনে পণ্য আমদানির চাহিদা কমার ফলে যে দেশগুলো চীনে পণ্য রফতানি করে তাদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। মূল্যস্ফীতির হার বাড়ায় এবার পূর্বাভাসের তুলনায় কম প্রবৃদ্ধি হতে পারে দেশটির। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে পণ্যের দাম। এপ্রিলের প্রথম ২০ দিনে দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫২০ কোটি ডলার।
দেশটিতে আমদানি বেড়েছে ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া সেমিকন্ডাক্টরের রফতানি ২২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। তৈলজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে ৮২ শতাংশ। আবার গাড়ি রফতানি কমেছে ১ শতাংশ।