ডলারের ওপর
নির্ভরতা কমাতে বৈদেশিক লেনদেনে বিকল্প চিন্তার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ শুক্রবার ‘ইউয়ান-টাকায় ট্রেড ও বাংলাদেশে ডলার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির
বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির
সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন এ কে আব্দুল মোমেন।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার আয়োজন করে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)।
সভায় আব্দুল
মোমেন বলেন, ‘ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অন্য মুদ্রা ব্যবহারের
ম্যাকানিজম তৈরি করতে হবে। এর নেতৃত্ব সেন্ট্রাল ব্যাংককে দিতে হবে। কিন্তু এটা খুব
সহজ নয়। কারণ এটি নতুন কিছু। আমাদের এ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।’
ডলার নিয়ে আগামীতে
পৃথিবীর দেশগুলো অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে যে অবস্থায় আছি, কাল সেই অবস্থা
থাকবে কি না, কেউ জানে না। মনে করেন, আমরা অনেক ডলার রিজার্ভ রাখলাম, অন্যান্য দেশও
রাখল। এর মধ্যে যদি যুদ্ধ হয়, ডলার তো একেবারে কাগজ হয়ে যাবে। যেভাবে পৃথিবী চলছে,
তাতে আমাদের আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে।’
বৈদেশিক লেনদেনের
ক্ষেত্রে বিকল্প চিন্তার সময় এসেছে জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের যদি অন্য মুদ্রা ব্যবহারের
অনুশীলনটা আগে থেকে করতে পারি, তাহলে হঠাৎ করে কোনো ঝামেলা এলে আমরা নিজেদের ব্যবস্থা
করতে পারব। তাই আমাদের এই অনুশীলনটা এখন থেকে শুরু করা উচিত। আমরা প্রাথমিকভাবে ইউয়ান-টাকা,
রুপি-টাকা দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে লেনদেন করতে পারি।’
তিনি আরও বলেন,
‘কারণ
গত ১৫ বছরে আমাদের যে অর্জন, সেই অর্জনে আমরা ধাক্কা খেতে চাই না। আমরা আমাদের অর্জনটুকু
সামনে এগিয়ে নিতে চাই। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধিশালী-স্থিতিশীল-অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতির
দেশ হব। কিন্তু সেটা করতে গেলে আমাদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সেখানে আমরা
হঠাৎ করে ধাক্কা খেতে চাই না।’
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়
মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো.
শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার
মোকাদ্দেম হোসেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার অধ্যাপক ড.
মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল
জব্বার খান প্রমুখ।