আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

বন্যার কারণে খেরসনে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিস্ফোরণে বিশাল একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর সেখানকার হাজার হাজার মানুষ পানীয় জলের তীব্র সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে পড়েছেন।

তিনি বলছেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল বিভক্তকারী নিপ্রো নদীর বন্যার পানিতে খেরসন অঞ্চলে কয়েক হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন। আশপাশের কয়েকটি এলাকা সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।

সেখানকার সেচ ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার ফলে কৃষিতে বিপর্যয় নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। ইউক্রেন ও রাশিয়া একে অপরের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে লড়াইয়ে নোভা কাখভকা বাঁধকে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ করেছে।

আরও পড়ুন<< সঙ্গী ছাড়াই গর্ভবতী চিড়িয়াখানার কুমির

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বলেছে, বাঁধ ধ্বংসের ঘটনায় জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েনি। বুধবার বন্যার পানির উচ্চতা বাড়তে পারে আশঙ্কায় খেরসনের আশপাশের এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে।

গত বছরের শেষের দিকে রুশ বাহিনীর হাত থেকে খেরসন শহরের নিয়ন্ত্রণ উদ্ধার করেছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় ৪২ হাজার মানুষ বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির ইউক্রেন সংবাদদাতা জেমস ওয়াটারহাউস বর্তমানে শহরটিতে অবস্থান করছেন। তিনি বলেছেন, বন্যার পানিতে অনেক বাড়ির ছাদ পর্যন্ত ডুবে গেছে। উদ্ধারের অপেক্ষায় খেরসনের অনেক মানুষ ছাদ ও গাছে রাত কাটিয়েছেন।

আরও পড়ুন<< খেরসনের বাঁধ উড়িয়ে দিল রাশিয়া

কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, নোভা কাখভকাতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। কাখভকা জলাধারে পানি কমে আসার ফলে তা দক্ষিণ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ কৃষি শিল্পের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ বিশাল এলাকাটি সেচের পানির ওপর নির্ভরশীল।

দূষণ এবং বন্যার কারণে পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতিরও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউক্রেনের সরকার। এই পরিস্থিতিকে গত কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপে সবচেয়ে খারাপ পরিবেশগত বিপর্যয়গুলোর একটি হিসাবে বর্ণনা করেছে ইউক্রেন।


আরও খবর



মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল হস্তান্তর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ( চবক) কাছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) চবক চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এর কাছে সিপিজিসিবিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ আনুষ্ঠানিকভাবে তা হস্তান্তর করেন।

এর ফলে এখন থেকে চ্যানেলের ব্যবহার, সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ পরিপূর্ণভাবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপর ন্যাস্ত থাকবে। এ চ্যানেলের মাধ্যমে আগত সমুদ্রগামী জাহাজের পোর্ট ডিউজ, বার্থ হায়ার চার্জ, পাইলটিং, টাগ চার্জ, বার্থিং আনবার্থিং ও অন্যান্য চার্জ চবক কর্তৃক আদায় করা হবে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আদায় হবে যা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে।

সরকারের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে সিপিজিসিবিএল কর্তৃক মাতারবাড়ি ২×৬০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় ১৪ দশমিক তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২৫০ মিটার প্রস্থ ও১৮ দশমিক পাঁচ মিটার (এমএসএল) গভীরতার একটি চ্যানেল খনন করা হয়।

পরবর্তীতে মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী চ্যানেলের প্রশস্ততা ১০০ মিটার বর্ধিত করে ৩৫০ মিটারে উন্নীত করা হয়।

নির্মিত চ্যানেল ও হারবার নিরাপদ ও সুরক্ষিত করার জন্য সিপিজিসিবিএল কর্তৃক ১,৭৫৩ মিটার উত্তর ব্রেকওয়াটার, ৭১৩ মিটার দক্ষিণ ব্রেকওয়াটার এবং উত্তর দিকে ১৮০২.৮৫ মিটার রিভেটমেন্ট নির্মাণ করা হয়।

এরপর গত ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল হস্তান্তর বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্তের আলোকে বুধবার মাতারবাড়ি চ্যানেলটি সিপিজিসিবিএল কর্তৃক চবক এর নিকট হস্তান্তর করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল ও বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, বিপিএএ।

এছাড়াও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চবক এর সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক-১, মহাপরিচালক (প্রশাসন), পুলিশ কমিশনার, কাস্টমস কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, চবক এর বিভাগীয় প্রধানগণ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ওই চ্যানেল হস্তান্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম বন্দর

আরও খবর



সুষ্ঠু নির্বাচনে আগামীতেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের উন্নয়ন যাদের পছন্দ নয়, এমন কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী দেশে-বিদেশে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, যত অপপ্রচারই হোক, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আগামীতেও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসবে। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে।’ শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কানাডার টরন্টোতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয়ে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যত অপপ্রচার হয় তার বেশিরভাগই হয় বিদেশ থেকে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমি এসব অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। তারপরও বাংলাদেশের জন্ম ঠেকানো যায়নি। তেমনি বর্তমানেও যত ষড়যন্ত্রই হোক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অন্টারিও আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল। অন্টারিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন মাসুদের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারোয়ার হোসেন, অন্টারিও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফারুকী হাসান প্রমুখ।

এর আগে স্থানীয় মদিনা গ্রিল রেস্তোরাঁয় তথ্যমন্ত্রী তার নিজের বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে কানাডায় বসবাসরতদের সঙ্গে প্রাতরাশ সভায় যোগ দেন।

প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে দেশের দূত হিসেবে অভিহিত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।

প্রবাসীদের কানাডার মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, কানাডার মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত এবং সক্রিয় হয়ে আপনারা বাংলাদেশের উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- কানাডাপ্রবাসী মোহাম্মদ আমিন মিয়া, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, শওগাত আলী সাগর, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, শফি আহমেদ, এ এম এম তোহা, সাজ্জাদ হোসাইন, জহিরুল হক চৌধুরী, কাজী জহিরউদ্দিন, মিনারা বেগম প্রমুখ।


আরও খবর



পদ্মা সেতুর টোল আদায় ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১,০০০ কোটি টাকা টোল আদায়ের মাইলফলক অর্জন করলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত সেতুতে ১,০০০ কোটি টাকার বেশি টোল আদায় হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী।

তিনি জানান, গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিমাণ যানবাহন চলাচল করছে সেতু দিয়ে। ফলে সেতুর উভয়প্রান্তে টোল আদায়ও হচ্ছে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি।

এর আগে, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরেরদিন ২৬ জুন থেকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয় সেতুতে।


আরও খবর



ভিসানীতিতে পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না: বিজিএমইএ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আমেরিকার ভিসানীতিতে দেশের পোশাক রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।

আকু পেমেন্টে কয়েকটি ব্যাংকে স্যাংশনস দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যেকোনো স্যাংশনস দিলেই তা শঙ্কিত হওয়ার। এরপরও ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন, আকু পেমেন্ট অন্য কোনোভাবে পেমেন্ট করা যাবে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি, সহ-সভাপতি শহিদুল্লা আজিম, সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শিদী, সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমেরিকার ভিসানীতিটা যে কারও ওপর হতে পারে। আবার আমি গত ৩০ বছর ধরে ৫ বছর করে আমেরিকার ভিসা পাই। এরপরও আমি আমেরিকা যাওয়ার পর আমাকে বলতে পারে তোমার ভিসা বাতিল করা হলো। এভাবেও কারও ভিসা বাতিল করা হয়।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কারও ভিসা বাতিল হলেও তিনি ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন। আমরা কোভিড সময়ে কোনো দেশে যেতে পারিনি। এরপরও আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়নি। সেক্ষেত্রে বলা যায় ভিসা বাতিল হলেও বিকল্পভাবে তিনি তার ব্যবসা চালিয়ে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আকু পেমেন্টে কিছু ব্যাংকের ওপরে স্যাংশনস বিষয়ে তিনি বলেন, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকু হচ্ছে একটি আন্তঃআঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিকারী সংস্থা। এর পেমেন্ট কয়েকটি ব্যাংকের ওপর স্যাংশনস হয়েছে তবে সেটা অন্য কোনভাবে পেমেন্ট করা যাবে। সেভাবেই সরকার কাজ করবে। তবে যেকোনো স্যাংশনসই শঙ্কিত হওয়ার, তবুও আশাবাদী ব্যবসায়ী তার ব্যবসায় প্রভাব পড়বে না।

নিউজ ট্যাগ: বিজিএমইএ

আরও খবর



মুরগির দাম কমলেও সবজির মূল্য অপরিবর্তিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি সপ্তাহে গ্রীষ্মকালীন সবজির বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে এমনটি জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৯০ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম কমে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে।

তালতলা বাজারে মুরগি বিক্রেতা রশিদ মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। পাইকারি বাজারে দাম কমায় আমরাও দাম কমিয়ে বিক্রি করছি। 

তিনি বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় দেশি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। এ ছাড়া সোনালি মুরগিরও দাম কমেছে। সোনালি ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা কেজি এবং লেয়ার ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লাল ডিমের ডজন ১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়। আর গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

শুক্রবার এসব বাজারে সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

কলার হালি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ধনে পাতা ৪০০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আলু ৪৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি দাম কিছুটা কমেছে। এসব বাজারে ছোট বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা এবং গাজর ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, মাগুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙাশ ১৯০ থেকে ২৫০ টাকা, ইলিশ (আকারভেদে) ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, মলা ৪৫০ টাকা, বাতাসি-টেংরা ১ হাজার ২০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা এবং পাঁচমিশালি চাষের মাছ ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর
দেশের বাজারে সোনার দাম কমলো ১৭৫০ টাকা

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩