আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

বন্যার চরম দুর্ভোগের মাঝেই মধ্যরাতে সিলেটে ডাকাত আতঙ্ক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বন্যার চরম দুর্ভোগের মাঝেই সিলেট ও সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় নৌকায় করে ডাকাতির উপদ্রব দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এই প্রতিবেদককে এসএমএস-এর মাধ্যমে বিষয়টি জানান সেসব এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। আখালিয়া ঘাট এলাকা থেকে রাতুল রাহা নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, এলাকায় ডাকাতি হতে পারে ভেবে মসজিদ থেকে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

সিলেটের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। দীর্ঘসময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় সুনামগঞ্জের অধিকাংশ এলাকায় ফোনের নেটওয়ার্ক কাজ করছে না। বেশিরভাগ মানুষের ফোনে চার্জও নেই। ডাকাতের ভয় থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বন্যদুর্গত এলাকার সাধারণ মানুষ। জেলা শহর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় ডাকাতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৮ জুন) দিবাগত রাতে সিলেট শহরের বাগবাড়ি, বর্ণমালা পয়েন্ট, আখালিয়া, কানিশাইল, শামীমাবাদ সহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাত দল হানা দিয়েছে বলে জানা যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, সুনামগঞ্জ শহরের বাঁধনপাড়া, মরাটিলা, ময়নার পয়েন্ট, নতুনপাড়া, হাজিপাড়া ও হাসন নগরের বিভিন্ন বাসায় ডাকাতরা হানা দিয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতির কারণে নিচু বাসাবাড়িগুলো ছেড়ে অনেকেই বহুতল ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ডুবে যাওয়ায় বিদ্যুৎও নেই। ফলে অন্ধকারে ডুবে থাকা শহরের বিভিন্ন ঘরবাড়িতে আচমকা ডাকাত ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।

সুনামগঞ্জের বাসিন্দা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সৌরভ দাস পার্থ বলেন, 'ডাকাতির ব্যাপারে পরিচিতজনরা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে। আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেও ফোন করে এমনটা জানিয়েছেন।' সেসময় পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে তিনি সিলেট সদরে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের দায়িত্বে থাকা ক্যাপ্টেন ফয়সলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ক্যাপ্টেন ফয়সল তার সহকর্মীদের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে ইতোমধ্যেই পুলিশও টহল শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

সুনামগঞ্জের বাসিন্দা ও প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দূর্বার শামিত আদি জানান, কিছুক্ষণ আগে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।

এর আগে সুনামগঞ্জ শহরের হাসন নগরের ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল লেইস রোকেস জানান, হাসন নগর থেকে হাজীপাড়া পর্যন্ত শহরের দক্ষিণাংশে ডাকাতি হচ্ছে। পুলিশের সুপারের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা হওয়ায় যে কারোর সঙ্গে যোগাযোগে বেগ পেতে হচ্ছে। এদিকে শহরের ময়নার পয়েন্টে পৌর কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল নোমানের বাসায় ডাকাতি হয়েছে।

অ্যাডভোকেট রোকেস আরও জানান, জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ কল দিয়ে সাড়া পাননি তিনি। 'হয়তো একসঙ্গে অনেক চাপ সামলাতে না পেরে তাদের লাইনটি ব্যস্ত আছে। স্থানীয় থানাপুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে'

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. মিজানুর রহমান ডাকাতির ব্যাপারে বেশকিছু ফোন পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন বলে জানান।

সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের সিলেট রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে ও নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।


আরও খবর



খোলাবাজারে ডলার ১২৫ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডলারের দাম ১১০ থেকে ১১৭ টাকা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনাবেচা হবে। এই পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। এর সঙ্গে এক টাকা যোগ বা বিয়োগ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। সেক্ষেত্রে ডলারের দাম আরও বেড়ে হতে পারে ১১৮ টাকা।

অন্যদিকে ডলারের দাম ব্যাংকে ৭ টাকা বাড়লেও মানি এক্সচেঞ্জলোতে বেড়েছে ৯ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। ডলারের সঙ্গে অন্য মুদ্রায়ও এর প্রভাব পড়েছে কার্ব মার্কেটে (খোলাবাজার)। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর ফকিরাপুল, পল্টন, মতিঝিল এলাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলো ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

খোলাবাজারের পাশাপাশি ব্যাংকের এলসি খোলার দামও বেড়েছে। বুধবার (৮ মে) ১১৫ টাকায় এলসি খুলেছিল যেসব ব্যাংক তারাও আজ বৃহস্পতিবার ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা দর নিচ্ছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

উল্লিখিত এলাকাগুলোতে বুধবার প্রতি ডলার কেনার রেট ছিল ১১৪ টাকা ৫০ পয়সা, বিক্রি হয়েছে ১১৬ টাকায়। বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। আর কেনার ক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো যে যার মতো করে দর ঠিক করে দিচ্ছে।

এদিন পল্টন এলাকায় মিলন নামে একজনের সঙ্গে কথা হয়। একটি মানি এক্সচেঞ্জের নির্বাহী হিসেবে আছেন তিনি। ক্রেতা সেজে মিলনের কাছে ডলার কিনতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত হয়েছে বিকেলে। এখনো সিদ্ধান্তই নিতে পারিনি কত দামে বিক্রি করবো। বিকেলের দিকে ভিসা-পাসপোর্ট নিয়ে আসেন দেখি কী করা যায়।

পরে চলে আসার সময় পেছন থেকে ডাক দেন তিনি। বলেন, মামা যদি কিনতে চান এক দাম লাগবে ১২৫ টাকা। যদি নিতে চান তাহলে ওই চায়ের দোকানে আসেন।

সাইদুল নামে অন্য একজন বলেন, মামা এখন গোয়েন্দা-এনএসআই-ডিজিএফআই আছে। আপনি সত্যিকারের ক্রেতা নাকি গোয়েন্দা বুঝি কেমনে। এখনো বিক্রি শুরু করিনি, অল্প পরিমাণ আছে, সন্ধ্যায় কল দিয়ে আসবেন। দোকানের বাইরে গিয়ে দিয়ে আসবো।

তবে দাম কত নেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আসেন, তারপর বাধবে না (দাম নিয়ে)। তবে ১২৫ টাকার নিচে দেওয়া যাবে না।

এদিকে ডলারের সঙ্গে অন্য মুদ্রা বিনিময় দামও বেশি চাওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ মানি একচেঞ্জের কর্মকর্তারা বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্য মুদ্রার দামও বেড়েছে। বুধবার পর্যন্ত ভারতীয় মুদ্রা এক টাকা ৪০ পয়সা ছিল, আজ (বৃহস্পতিবার) এক টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। অন্য দেশের মুদ্রার দামও বাড়িয়েছেন তারা।


আরও খবর



র‍্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি সত্য নয়: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিটি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ওই ব্রিফিংয়ে বেদান্ত প্যাটেলের কাছে জানতে চাওয়া হয় বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে একটি বৈঠক শেষে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেছেন, র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে। এ বিষয়ে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে বলা হয়েছে এবং প্রসেসের মধ্যে আছে। এমন দাবি কী সত্য?

জবাবে প্যাটেল বলেন, এমন দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশে সফররত সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হোয়াইট হাউস থেকে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমরা র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ চৌধুরীকে ফেরানোর কথা বলেছি। লু আমাদের জানিয়েছেন, এ বিষয় দুটি তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টে আছে। তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট স্বাধীন। তারা বলেছে এটি পুশ করছে, সাপোর্ট দিচ্ছে। লু বলেছেন- হোয়াইট হাউস থেকেও জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে বলা হয়েছে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে।


আরও খবর



দোহারে পদ্মায় গোসলে নেমে কিশোরীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার দোহার উপজেলার মৈনট ঘাটে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় কিশোরী জান্নাতুল (১৫)। সোমবার বিকেলে পদ্মানদী মৈনট ঘাট এলাকা থেকে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকার আনোয়ারের মেয়ে।

জানা যায় সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে মৈনট ঘাটে গোসলে নেমে হঠাৎ ডুবে যায়।

পরে স্থানীয়রা কুতুবপুর নৌ পুলিশের সদস্যদের খবর দিলে পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয়রা প্রায় সাড়ে ছয়টার দিকে নিখোঁজ জান্নাতুলকে পানির নিচ থেকে উদ্ধার করে। পরে জান্নাতুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

কুতুবপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রুবেল মোল্লঅ জানান, পাঁচটার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা মৈনটঘাটে ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরে জান্নাতুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিউজ ট্যাগ: মৈনট ঘাট

আরও খবর



চট্টগ্রামে বায়েজিদ বস্তিতে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকায় একটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে বায়েজিদের শ্যামল ছায়া এলাকায় এ আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করেছে। এরইমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে আগ্রাবাদ কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন। এ দুর্ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বায়েজিদ শ্যামল ছায়া এলাকার ওই বস্তিতে প্রায় ১৫টি কাঁচা বসতঘর ছিল। দুপুরে ওই বস্তিতে আগুন জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন বলেন,  রোববার ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। এ মুহুর্তে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই বস্তিতে ১৪-১৫টি এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘর রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।


আরও খবর



সোনারগাঁওয়ে লিচু চাষিদের মাথায় হাত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

সোনারগাঁয়ে এখন প্রতিটা বাড়ির আঙিনা ও উচু জমিতে ব্যপক ভাবে লিচুর চাষ হচ্ছে। লিচু চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও লিচু ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় সোনারগাঁয়ে এখন  ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক লিচু বাগান রয়েছে। এর মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে সোনারগাঁয়ের লিচু।

তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ও সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় কারণে সোনারগাঁয়ে লিচুর ফলন অনেকটা কম হয়েছে। তাছাড়া গুটি থাকার সময় শিলাবৃষ্টিতে লিচুর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। ফলে সোনারগাঁয়ের লিচু ব্যবসায়ীদের এবার মাথায় হাত।

খরার কারণে ঝরে পড়েছে অধিকাংশ বাগানের লিচু। অনাবৃষ্টি ও অতি তাপের কারণে লিচুর সাইজও হয়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ছোট। এ বছর বেশিরভাগ লিচু ব্যবসায়ীই লিচুর সঠিক দাম পাচ্ছেনা।

সোনারগাঁয়ে সাধারণত তিন প্রজাতির লিচুর ফলন হয়ে থাকে। পাতি লিচু, কদমী লিচু ও বোম্বাই (চায়না-৩) লিচু।

বাংলাদেশের অনেক জেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হলেও আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্যের কারণে সোনারগাঁয়ের লিচু আগে পাকে। যে কারণে সোনারগাঁয়ের লিচু প্রতিবছরের মে মাসের প্রথমদিকেই বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যায় লিচু চাষিরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার খাসনগর, চিলারবাগ, দৈলরবাগ, পানাম, নোয়াইল, দত্তপাড়া, বাগমুছা, অর্জুন্দী, হাতকোপা, দরপত, ছাপেরবন্ধ, গোয়ালদী, টিপরদী, হরিষপুর, ভট্টপুর, লোকশিল্প জাদুঘর, গোবিন্দ্রপুর, গাবতলী, হারিয়া, বৈদ্যেরবাজার, তাজপুর, সাদীপুর, ইছাপাড়া, দুলালপুর, বারদী, সেনপাড়া, বালুয়া দিঘীরপাড়সহ প্রায় ৫০টি গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দুই শতাধিক লিচু বাগান। এসব লিচু বাগানে প্রতিবছর পাতি লিচু, কদমী লিচু ও বোম্বাই (চায়না-৩) লিচুর ফলন হয়ে থাকে।

সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লিচুচাষিরা তাদের লিচু বাগানে অব্যাহতভাবে পাহারা দিচ্ছেন। কাক, বাদুর, চামচিকা ও চোরের হাত থেকে লিচু রক্ষা করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

হাড়িয়া চৌধুরী পাড়া গ্রামের লিচু ব্যবসায়ী তাইজুল ইসলাম জানান, সোনারগাঁয়ে এবার লিচুর ফলন খুবই কম হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় লিচু অনেকটা ঝরে পড়েছে। তাছাড়া আকারে অনেকটা ছোট হয়েছে। তাই এবছর লিচু ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে বিক্রি করার জন্য সোনারগাঁয়ের লিচু বাজারে তোলা হবে।

সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁয়ে লিচু পাকার জন্য চাষিরা কোনো কেমিক্যাল প্রয়োগ করে না। তবে লিচু বড় হওয়ার ক্ষেত্রে হরমোন জাতীয় ওষুধ, লিচুর কালার নষ্ট না হওয়ার জন্য ছত্রাকনাশক ও পোকার উপদ্রব বন্ধ করার জন্য তারা কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন। এসব কীটনাশক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার কথা নয়। তবে পরিমাণে বেশি প্রয়োগ করলে অবশ্যই তা ক্ষতিকর।


আরও খবর