আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গোপসাগরে ভাসমান ১১ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করল কোস্টগার্ড

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে ভাসতে থাকা ফিশিং বোট থেকে ১১ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকেলে কোস্টগার্ড সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২৯ জুলাই বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলা থেকে ১১ জন জেলে এফবি জোবায়েদ নামের ফিশিং বোটে মাছ ধরতে সাগরে যায়। মাছ ধরা শেষে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে জেফোড পয়েন্টের কাছে বৈরী আবহাওয়ায় অতিরিক্ত ঢেউয়ের কারণে ইঞ্জিন বিকল হয়ে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ভাসতে থাকে।

পরে ওই এলাকার কাছাকাছি বাংলাদেশ কোস্টগার্ড আউটপোস্ট দুবলা বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পাঠায়। তারা আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে ১১ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে বিকল হয়ে যাওয়া ফিশিং বোটসহ নিরাপদে বিসিজি আউটপোস্ট দুবলায় নিয়ে আসে। পরে উদ্ধার জেলেদের খাবার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

উদ্ধার হওয়া ফিশিং বোট ও জেলেদের মালিকপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



বিয়ে করছেন শাকিব, পাত্রী ডাক্তার

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সিনেমায় অনিয়মিত হলেও অপু বিশ্বাস বুবলীর সঙ্গে নিয়মিত ঝগড়া করেন। তাদের ঝগড়ার মূল কারণ শাকিব খান। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন এই অভিনেতা।

নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, সেই পার্শ্ববর্তী জেলাটি হলো মুন্সিগঞ্জ। এখন অবধি ২-৩ পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এরমধ্যে মুন্সিগঞ্জের ডাক্তার মেয়েই এগিয়ে আছেন। ইতোমধ্যেই শাকিবের মত নিয়ে তার মা, বাবা, বোন, বোনজামাই মিলে পাত্রী দেখছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।

শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।

এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।

শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি।


আরও খবর



বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনে বাধা দেওয়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে গুরুতর ও অযৌক্তিক বাধাসহ বাংলাদেশে সরকারে আছে মারাত্মক দুর্নীতি। এছাড়া দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর আছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। সরকারের তরফ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নিষ্ঠুর নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ ও শাস্তি দেওয়া হয়। আছে জীবনের প্রতি হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি ও আটক। জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি এমন অজুহাতে মিথ্যা অভিযোগসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওই বছরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পুনঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সময় গত রাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ পায়।

এতে বলা হয়েছে, ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে ২০০৮ সালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে তাকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দি করা হয়। রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশের ভিতরকার আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণে ঘাটতি আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক ছক সাজানো হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়ার সদস্যসহ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারে ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেছে। এক্ষত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সীমাবদ্ধতা আছে। সরকারের হয়রানি অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্র মিডিয়ার সদস্যরা ও ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সর করেছেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র, বিচারের ক্ষেত্রে হয়রানি, খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারসহ নানা রকম নিষ্পেষণের কথা।

রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সেই আদালত শাস্তি দিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে মৃত্যুদণ্ড। এ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, আদালত বিশেষত বাছাই করে অভিযুক্ত করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। এতে খেয়ালখুশিমতো ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ বেআইনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তার তদন্ত নিজেরাই করেছে। তারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছে যেখানে তাদের শারীরিক মারাত্মক প্রহারে মানুষ আহত হয়েছে অথবা মারা গেছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে কতজন মানুষ মারা গেছেন তার মোট কোনো সংখ্যা সরকার প্রকাশ করেনি। এমনকি এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তও করেনি। এই তদন্ত যারা করেছেন তাদের স্বাধীনতা ও পেশাগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা বছরেই আইন প্রয়োগকারীরা তল্লাশি বা রেইড দিয়েছে কথিত সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ড, মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো ঘেরাওয়ের কালে, গ্রেপ্তারকালে সন্দেজজনক কিছু মৃত্যু ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্য আইন প্রয়োগকারীদের অপারেশনেও। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যায় গত বছর। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও শালিশ কেন্দ্র রিপোর্ট করেছে যে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অথবা হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে দুজন আইন প্রয়োগকারী এজেন্সির গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনজন নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার আগে বা হেফাজতে নেওয়ার পর শারীরিক নির্যাতনে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার  বিরুদ্ধে প্রাপাগাণ্ডা ছড়ানোর কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সারাবছরই সরকার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইনমন্ত্রী রিপোর্ট করেছেন যে, সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ৭০০০ মামলা মুলতবি আছে।


আরও খবর



সাভারে রিকশাচালককে পুলিশের মারধর, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ভারের আশুলিয়ায় এক রিকশাচালককে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ জানান স্থানীয় রিকশাচালকরা।

খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

রোববার (৫ মে) দুপুরে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ওই রিকশাচালককে ওই পুলিশ সদস্য মারধর করেন বলে জানা যায়। এরপরই বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ জানান রিকশাচালকরা। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ও ভুক্তভোগী রিকশাচালকের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে সড়ক দিয়ে চলাচল করা অটোরিকশা ধরে রেকার বিল করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের ওই সদস্য। এ সময় ভুক্তভোগী চালকের রিকশা আটক করা হয়।  কথা কাটাকাটি হলে রিকশাচালককে কিল-ঘুষি মারেন পুলিশের ওই সদস্য। চোখে ঘুষি লাগলে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি।

পরে তাকে উদ্ধার করে কামারপাড়া ইস্টওয়েস্ট মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এরপর রিকশাচালকেরা একত্রিত হয়ে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে চালকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। 

আশুলিয়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান বলেন, রিকশাচালকের সঙ্গে হালকা একটু ঝামেলা হইছিল। প্রধান সড়কে তো ওরা আসে, আমরা তো ধরি। বিল করতে গিয়ে এরকম একটু হয়। এ ছাড়া কিছু না। আমরা মারধর করিনি।

তিনি বলেন, রিকশা ধরতে গেলে তারা অনেক সময় থামেন না। তখন চাবি নিয়ে গেলে একটু হাতাহাতি হয়, টানাটানি হয় ওরকম কিছু। এমনি মারধরের কিছু নয়। পরে রিকশাচালকরা সামান্য সময় রোড ব্লক করেন। ৫-১০ মিনিটের মতো ছিলেন। এখন রাস্তা পুরোপুরি ক্লিয়ার। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানার ওসিও এসেছিলেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, রিকশাচালকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ করছেন, এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশের নতুন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তানের সাবেক লেগস্পিনার এবং বিশ্বকাপজয়ী মুশতাক আহমেদকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

চলতি মাসের শেষদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেবেন তিনি। মুশতাকের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি হয়েছে চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১ জুন থেকে মাঠে গড়াবে এই বিশ্বকাপ।

৫৩ বছর বয়সী মুশতাকের আগে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড দলের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। নিজ দেশ পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও স্পিন কোচ ছিলেন তিনি।

খেলোয়াড়ি জীবনও বেশ সমৃদ্ধ ছিল মুশতাক আহমেদের। পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে ১৫২ টেস্টে ১৮৫ এবং ১৪৪ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১৬১ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার নামের পাশে ১ হাজার ৪০৭ উইকেট রয়েছে। ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন মুশতাক আহমেদ।


আরও খবর



ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত: ন্যান্সি পেলোসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মনে করেন, ইসরায়েলের কল্যাণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শিগগিরই পদত্যাগ করা উচিত। নেতানিয়াহুকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে বাধা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও টেইলিফিস ইয়েরেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে পেলোসি বলেন, ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আমরা তা স্বীকারও করি; কিন্তু এ অধিকার রক্ষায় নেতানিয়াহু যে নীতি নিয়েছেন এবং যা যা করছেন তা ভয়ঙ্কর এবং আমরা সেসব প্রত্যাখ্যান করছি।

বিশেষ করে (৭ অক্টোবরের) হামলার জবাবে তিনি যা করছেন, তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কী হতে পারে। হামলার দায় স্বীকার করে তার সরকারের গোয়েন্দাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন, তারও পদত্যাগ করা উচিত। গত ছয় মাসে যা যা হয়েছে, সেজন্য সম্পূর্ণভাবে তিনি দায়ী।

নেতানিয়াহুকে আল আকসা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি পথে বাধা মনে করেন কি না প্রশ্নের উত্তরে সাবেক হাউস স্পিকার বলেন, অবশ্যই মনে করি। আমি জানি না তিনি শান্তিকে ভয় পান কি না, শান্তিতে বসবাস করতে অক্ষম কি না কিংবা শান্তির প্রতি অনাগ্রহী কি নাকিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন প্রশাসনকে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা-দূতিয়ালিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল ইসরায়েলও।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি।

ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে এখনও অজানা।

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্রের ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্রকে সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলা ও তার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর পর প্রাথমিক পর্যায়ে সেই অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। পেলোসিও তাদের মধ্যে ছিলেন।

তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা বৃদ্ধি এবং যুদ্ধাবসানের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতি হতাশ হওয়া শুরু করেন মার্কিন রাজনীতিবিদদের অনেকেই।

কিছুদিন আগে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সরকারি দলের নেতা চাক শুমার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমার ধারণা, নেতানিয়াহু তার পথ হারিয়ে ফেলেছেন এবং ইসরায়েলের জনগণের উচিত নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়া।


আরও খবর