বঙ্গোপসাগরে
সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আজ রবিবার দক্ষিণাঞ্চলে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি
হতে পারে। কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে দেশের অন্যান্য অংশেও। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে,
আগামী দুই দিনে (সোম ও মঙ্গলবার) ক্রমে বৃষ্টি বাড়তে পারে, যা অব্যাহত থাকতে পারে পরের
পাঁচ দিন।
এদিকে সাগরে
লঘুচাপের প্রভাবে গত দুই দিন বাগেরহাটের শরণখোলা ও সুন্দরবনের ওপর দিয়ে থেমে থেমে বৃষ্টি
হয় ও ঝোড়ো বাতাস বয়ে যায়।
গতকাল শনিবার
স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে প্রায় তিন ফুট পানি বাড়ায় সুন্দরবন ও উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় বন্ধ ছিল ইলিশ আহরণ।
গত শুক্রবার উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। লঘুচাপের ফলে ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন>> ডেঙ্গুতে মৃত্যু হাজার ছুঁইছুঁই, হাসপাতালে ২৪২৫ রোগী
উত্তর বঙ্গোপসাগরে
অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি
থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ সন্ধ্যা
৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির
ভাগ জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। বিভাগগুলোর কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু
কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি
হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, লঘুচাপটি আগামীকালই (আজ) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে গিয়ে স্থলভাগে উঠে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। সোম ও মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি কিছুটা বাড়বে। বুধবার থেকে তা আরো বাড়তে পারে। সব মিলিয়ে মৌসুমি বায়ু ও লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি থাকতে পারে আরো সপ্তাহখানেক।
গতকাল সন্ধ্যা
৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৪টি স্টেশনের মধ্যে ৩৯টিতে বৃষ্টি রেকর্ড
করা হয়। সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে রংপুরের রাজারহাটে, ৪৭ মিলিমিটার। ঢাকায় তিন মিলিমিটার
বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।