ইসরাইল-গাজার
মধ্যবর্তী কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংয়ে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। এতে ইসরাইলের
৩ সৈন্য নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সোমবার (৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবিসির খবরে
বলা হয়েছে, গাজার ভেতর থেকে হামাসের রকেট হামলার পর ইসরাইল গাজায় কেরাম শালোম ক্রসিং
বন্ধ করে দিয়েছে।
এ হামলায় ৩ সৈন্য
নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে ইসরাইল জানিয়েছে।
নতুন করে হামলা
প্রসঙ্গে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে, তারা কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে
হামলা চালিয়েছে এবং স্বল্প-পাল্লার রকেট দিয়ে তারা ইসরাইলি সৈন্যদের লক্ষ্যবস্তু
করেছে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা
বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, কেরেম শালোম থেকে প্রায় ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার (২ দশমিক ২ মাইল)
দক্ষিণে গাজার রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছে একটি এলাকা থেকে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা
হয়েছে।
বাহিনীটি আরও
বলেছে, একটি বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় ৩৫০ মিটার দূরে অবস্থিত একটি স্থাপনা
থেকে এসব রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে পরে তারা লঞ্চার এবং কাছাকাছি একটি সামরিক
স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।
এদিকে গাজায়
ইসরাইল হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে মিসরের রাজধানীতে ইসরাইল ও হামাসের
মধ্যকার যুদ্ধবিরতি আলোচনা কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে।
গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি
প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস রবিবার জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধিদলটি কায়রো থেকে গাজায়
ফিরে যাচ্ছে। এর আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধের দাবির কাছে ‘আত্মসমর্পণ’ করাটা পরাজয়ের সামিল।’
এক হামাস কর্মকর্তা
এএফপিকে বলেন, ‘মিসরীয় গোয়েন্দা
মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ হয়েছে। হামাস প্রতিনিধিদল আরও আলোচনার জন্য দোহায় ফিরে যাচ্ছে।’
নেতানিয়াহুর
অফিস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার মন্ত্রিসভা হামাসকে আবারও গাজার নিয়ন্ত্রণ
নিতে দেবে না। ইসরাইল হামাসের দাবি মেনে নেবে না। তাদের দাবি মানার অর্থ হলো আত্মসমর্পণ
করা। তারা তাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
অন্যদিকে হামাস
এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইতিবাচক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। তারা জানায়, তারা
একটি চুক্তিতে পৌঁছার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।