আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

বঙ্গোপসাগরে মিথেন গ্যাসের সন্ধান পেল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে মিথেন গ্যাসের (গ্যাস হাইড্রেট) সন্ধান মিলেছে। সমুদ্রে এক গবেষণা সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

বঙ্গোপসাগরে গ্যাস হাইড্রেট এবং সামুদ্রিক জেনেটিক সম্পদের ওপর গবেষণার ফলাফল নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইস অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) মোহাম্মাদ খুরশেদ আলম।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইস অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) মোহাম্মাদ খুরশেদ আলম বলেন, ২০১১ সালে জাতিসংঘে মহীসোপানের সীমানা নির্ধারণ বিষয়ক কমিশনে বাংলাদেশের পেশ করা মহীসোপানের দাবি সংবলিত সাবমিশনটি প্রস্তুতের প্রাক্কালে বাংলাদেশ সরকার ২০০৭-২০০৮ সালে বঙ্গোপসাগরে ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩ হাজার ৫০০ লাইন কিলোমিটার এবং ২০১০ সালে একটি ডাচ প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় প্রায় ৩ হাজার লাইন কিলোমিটার সিসমিক ও ব্যাথিম্যাট্রিক জরিপ সম্পন্ন করে। এসব জরিপে ৩৫০ নটিক্যাল মাইলের ভিতরে মহীসোপানে ৬ হাজার ৫০০ লাইন কিলোমিটার পর্যন্ত সমুদ্রাঞ্চলে থাকা সম্পদের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে, যা বাপেক্স, পেট্রোবাংলা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটে সংরক্ষিত রয়েছে। এসব জরিপের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করেই ডেস্কটপ স্টাডিটি পরিচালনা করা হয়।

ডেস্কটপ স্টাডি গ্রুপ গঠনের পর যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটনে অবস্থিত ন্যাশনাল ওশেনোগ্রাফি সেন্টারসহ পেট্রোবাংলা, বাপেক্স এবং স্থানীয় বিশেষজ্ঞগণের যৌথ প্রয়াসে গত ৩ বছর নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। এমনকি কোভিড-১৯ জনিত অচলাবস্থায়ও এই স্টাডি গ্রুপ কাজ করে গেছে। ওই স্টাডিটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অধিকৃত জলসীমায় সমুদ্রে ও তলদেশে গ্যাস হাইড্রেটের উপস্থিতি পাওয়া গেছে এবং এর অবস্থান, প্রকৃতি ও মজুদের ব্যাপারে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।

গ্যাস হাইড্রেট তথা মিথেন গ্যাস মূলতঃ উচ্চচাপ ও নিম্ন তাপমাত্রায় গঠিত জমাট বরফ আকৃতির এক ধরনের কঠিন পদার্থ, যা স্তূপীকৃত বালির ছিদ্রের ভেতরে ছড়ানো স্ফটিক আকারে অথবা কাদার তলানিতে ক্ষুদ্র পিন্ড, শিট বা রেখা আকারে বিদ্যমান থাকে। মহীসোপানের প্রান্তসীমায় ৩০০ মিটারের অধিক গভীরতায় সমুদ্রের তলদেশের নিচে গ্যাস হাইড্রেট পানি ও মাটির চাপে মিথেন বা স্ফটিক রূপে পাওয়া যায়, যা সাধারণত ৫০০ মিটার গভীরতায় স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে। স্থিতিশীল গ্যাস হাইড্রেট সমৃদ্ধ এ অঞ্চলটি সমুদ্রের তলদেশ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে বিশেষ করে ভারতের কৃষ্ণ-গোদাভারী এবং মহানন্দা বেসিনে বিপুল পরিমাণ গ্যাস হাইড্রেট মজুদের সম্ভাবনা বিষয়ে ভারত ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়েছে। কৃষ্ণ-গোদাভারী এবং মহানন্দা বেসিন এলাকায় প্রতিবছর প্রায় ১-২ বিলিয়ন টন মিশ্রিত তলানি জমা হয়। ভারত ইতিমধ্যে কৃষ্ণ-গোদাভারী এবং মহানন্দা বেসিনে এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে তিনটি স্থানে কূপ খনন করেছে। মহানন্দা বেসিনে সাগরের তলদেশে ২০৫ মিটার নিচে ২৫ মিটার পুরু একটি স্তরে প্রায় ১৫ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস হাইড্রেটের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

এর আগে দেশের বিভিন্ন জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গ্যাস হাইড্রেটের ভলিউম এবং এই গ্যাস হাইড্রেটটিতে থাকা মিথেনের ভলিউম অনুমান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই সিসমিক রিমোট সেন্সিং স্টাডিটি কেবলমাত্র গ্যাস হাইড্রেটের সম্ভাব্য উপস্থিতি এবং বিতরণের একটি ইঙ্গিত দিতে পারে। সিসমিক লাইনের অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে শুধুমাত্র বাংলাদেশের ০.১১ থেকে ০.৬৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট সম্ভাব্য প্রাকৃতিক গ্যাস হাইড্রেট জমার অনুমান পাওয়া গেছে, যা ১৭-১০৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদের সমতুল্য। দেশের মহীসোপানের সব এলাকার পূর্ণাঙ্গ সিসমিক জরিপ সম্পন্ন করা হলে প্রকৃত মজুদ নিরূপণ করা সম্ভব হবে।

এই সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাস হাইড্রেটের উপস্থিতি থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ বিপুল পরিমাণ গ্যাস হাইড্রেটের উপস্থিতি ও মজুদের সমূহ সম্ভাবনা আগামী শতকে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের সামগ্রিক চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

সমীক্ষায় আরও বলা হয়, ১ সেন্টিমিটার ৩ স্ফটিকে আনুমানিক ১৬৪ মি ৩ মিথেন গ্যাস মজুদ থাকে। মিথেন গ্যাস অন্য জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। তবে গ্যাস-হাইড্রেট উত্তোলনের প্রযুক্তি সহজলভ্য না হওয়ায় অনেক উন্নত দেশ এখনো গ্যাস হাইড্রেট উত্তোলন শুরু করতে পারেনি। আমরা আশা করছি, অচিরেই এই প্রযুক্তি সহজলভ্য হবে এবং আমরা বিভিন্ন উন্নত দেশের কাছ থেকে প্রযুক্তি নিয়ে গ্যাস হাইড্রেট উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারব।


আরও খবর



আজও পরীক্ষায় অংশ নেননি বুয়েট শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবারও পরীক্ষা বর্জন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

এই নিয়ে তৃতীয় দিনের মত পরীক্ষা বর্জন করেছেন তারা, ঈদের আগে এদিন শেষ পরীক্ষার তারিখ ছিল। এর আগে গত ৩০ ও ৩১ মার্চ দুটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশ নেননি।

ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের বিপরীতমুখী অব্স্থানে কয়েকদিন ধরে থমথমে অবস্থা চলছে বুয়েটে।

বুধবার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের আনাগোনা নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খোলা আছে এবং সেখানে দাপ্তরিক কাজকর্ম চলছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার বুয়েটের ২০১৮ ব্যাচের একটি টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। কিন্তু আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। ঈদের আগে আর কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা না থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকে বাড়ি চলে গেছেন।

এ বিষয়ে বুয়েটের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোহাম্মদ ইমামুল হাসান ভূঁইয়ার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



যাকাত নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

রাজবাড়ীতে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধা নারী মারা গেছেন। আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর এলাকায় হাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভোর থেকেই যাকাতের কাপড় নেওয়ার জন্য হাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে মানুষ ভিড় জমায়। সকাল ৭টার দিকে কাপড় দেওয়া শুরু করা হয়। লাইন দিয়ে কাপড় দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ কাপড় নিতে আসা মানুষেরা হট্টগোল পাকিয়ে ফেলে। তড়িঘড়ি করে কাপড় নিতে আসার সময় এক নারী নিচে পরে যায়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিলন খান নামে একজন বলেন, সকাল ৭টা থেকে যাকাত দেওয়া শুরু হয়। শুরুতে সবাই সিরিয়াল ধরে নিচ্ছিল। যাকাত দেওয়ার কিছু সময় পরে লাইনের পিছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সামনে প্যান্ডেলের বাঁশ ভেঙে যায়। এতে করে হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে এক নারী গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, সকাল ৭টা থেকে যাকাতের লুঙ্গি ও শাড়ি বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের আগেই লোকজন এসে ভিড় জমায়। তাদের লাইন ধরে দাঁড় করানো হয়। কিন্তু একপর্যায়ে লাইন ভেঙে গিয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমরা নিরাপত্তার জন্য পুলিশ চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ ছিল না। দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে এক নারীর মৃত্য হয়েছে। তবে তার নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ওই নারীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে শ্রমিক দলের উদ্যোগে দুপুর সাড়ে ৩টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়।

তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দিতে নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছে শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা। বেলা ১২টার পর থেকে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন সরগরম হয়ে উঠে।

৫টি ট্রাকের উপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিট থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শ্রমিক নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, নেচে-গেয়ে, নানা রঙ্গের পোশাক পরে তারা সমাবেশে অংশ নিয়েছে। মাথায় লাল ক্যাপ পরিধান করেছেন সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা।

এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও বক্তব্য রাখবেন জাতীয়, শ্রমিক ও অঙ্গ সংগঠন নেতারা। সভাপতিত্ব করছেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিতি রয়েছেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ২৭তম বছরে পদার্পণ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রথমেই আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বিশ্বের মহান নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক দেশের জন্ম হতো না। কৃতজ্ঞতা জানাই রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে- যিনি জনগণের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং দেশের চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে তৎকালীন আইপিজিএমএন্ডআরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উন্নীত করার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

ঢাকার প্রথম তিন তারকা হোটেল ছিল হোটেল শাহবাগ। নবাব সলিমুল্লাহ ১৯০৬ সালের ১৪ ও ১৫ এপ্রিল ভবনটি নিখিল ভারত মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনের স্থান হিসেবে নির্বাচন করেন। ১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বরে এ ভবনেই অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে এটিকে সংস্করণ করে হোটেলে রূপান্তর করা হয়, যা ঢাকার প্রথম আন্তর্জাতিক হোটেল। পঞ্চাশের দশকে বিদেশি অতিথিদের আবাস ও আহারের ব্যবস্থা, বড় আকারের অভ্যর্থনা সবই এখানে হতো। এটিই বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। আগে এর নাম ছিল ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ। সাধারণ মানুষের কাছে পিজি হাসপাতাল নামে পরিচিত। ইতিহাসবিদ শরীফ উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত ঢাকা কোষ” এবং ইফতিখার-উল-আউয়াল সম্পাদিত ঐতিহাসিক ঢাকা মহানগরী: বিবর্তন ও সম্ভাবনা বইটিতে এই হাসপাতাল তৈরির ইতিহাস লেখা রয়েছে।

এতে বলা হয়, ১৯৬৫ সালে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চের জন্য শাহবাগের এই জায়গা অধিগ্রহণ করে সরকার। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর ব্যাপক বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯৬৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনজন সার্বক্ষণিক বিশেষজ্ঞ ব্রিটিশ কাউন্সিলের উপদেষ্টা স্যার জেমস ডি এস কেমেরন, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক এ কে এস আহম্মদকে নিয়ে এই ইনস্টিটিউট গড়ে ওঠে। পরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠিত স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিনের সঙ্গে এটি যুক্ত হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালে অধ্যাপক নুরুল ইসলামের অনুরোধে তৎকালীন মন্ত্রী জহুর আহমেদ চৌধুরী মুসলিম লীগের পরিত্যক্ত ভবনটি (ব্লক-এ) পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করেন। এরপর থেকে এখানেই পিজি হাসপাতালের কার্যক্রম চলে। তবে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল মহান জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষা এবং গবেষণার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয়েছিল পিজি হাসপাতালে। এখন এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে তৎকালীন সময়ে দেশের ১৩টি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং নিপসমসহ পাঁচটি পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা পালনে সক্ষম হচ্ছিল না। বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন দেশে একটি স্বতন্ত্র ও গবেষণা সমৃদ্ধ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও সব মেডিকেল কলেজের স্বায়ত্বশাসন দাবি করে আসছিল।

এখানে উল্লেখ্য যে, ৬৯-এর ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের দেওয়া ১১দফার মধ্যেও চিকিৎসকদের দাবির কথা উল্লেখ ছিল। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিকেল শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও আইপিজিএমআর শিক্ষক সমিতি একটি স্বতন্ত্র ও গবেষণা সমৃদ্ধ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে।

জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজ আন্তর্জাতিক মান অর্জন করে দেশের আপামর জনসাধারণের সুচিকিৎসায় নিয়োজিত হবেন এ আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছরের মাথায় ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর কেবলমাত্র হীন রাজনৈতিক সংকীর্ণতায় বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে আবারও আইপিজিএমআর করার উদ্যোগ নেয় বিএনপি-জামাত জোট সরকার। এমনকি তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকা থেকে গাজীপুর, টুঙ্গিপাড়া বা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার হীন উদ্যোগ গ্রহণ করে।

জনসাধারণের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আবারও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত করার উদ্যোগ নেন।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০৫টি পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স পরিচালনা করা হচ্ছে এবং অন্যান্য ৫১টি অধিভুক্ত মেডিকেল/নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০টি রেসিডেন্সি কোর্স রয়েছে। চালু হয়েছে এমএসসি নার্সিং কোর্স। বাংলাদেশের ছাত্রদের বাইরেও ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সোমালিয়া, কানাডা, ইয়েমেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, বতসোয়ানা এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশের প্রায় ১০০ বিদেশি ছাত্র বিভিন্ন কোর্সে লেখাপড়া করছেন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় ১০ হাজার নতুন ও পুরাতন রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে সন্তুষ্টি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এখন আটটি অনুষদসহ ৫৭টি পূর্ণাঙ্গ বিভাগ। আরও সুশৃঙ্খল এবং ডিজিটাল করা হয়েছে আর্থিক ব্যবস্থাপনা। আমাদের হাসপাতালে এখন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখানে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এখন দেশের সকল মানুষের কাছে পরিগণিত হয়েছে চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য ভরসাস্থল হিসেবে।

রোগীদের আরও উন্নত চিকিৎসা দিতে ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে ভিট্রিও রেটিনা, গ্লুকোমা, কর্নিয়া, অকুলোপ্লাস্টি, ক্যাটারেক্ট ও রিফ্রেকটিভ সার্জারি, অর্থোস্কোপিক সার্জারী ও অর্থোপ্লাস্টি, হ্যান্ড এন্ড রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি, শিশু এন্ডোক্রাইনোলজি, জেনারেল রিউম্যাটোলজি ও ইউমিনো রিউম্যাটোলজি।

মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় গবেষণাকে জোরদার করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কেন্দ্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ঘণ্টা ল্যাবরেটরি সার্ভিস চালু আছে। এছাড়া কয়েকটি বিভাগে রোগীর ল্যাবরেটরি রিপোর্ট অনলাইনে মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকারের যৌথ অর্থায়নে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। ফলে দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়ে কম খরচে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা পাবে। এছাড়া দেশে প্রথমবারের মতো পরপর দুটি ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট, লিভারসহ অন্যান্য অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রমও সমান্তরালভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

অনেক সীমাবদ্ধতা নিয়ে আমরা এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করি। তারপরও সকল শিক্ষক, ছাত্র, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সেবা ও গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে সাফল্য নিয়ে। প্রতিনিয়ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ- দেশি-বিদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের উপস্থিতিতে। আমাদের ছাত্র এবং তরুণ চিকিৎসকরা এ সুযোগ নিয়ে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করছে নতুন নতুন জ্ঞান/অভিজ্ঞতা নিয়ে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন সোসাইটির সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চার প্রাণকেন্দ্র।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের চিকিৎসক সমাজের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি যেমন বাস্তবায়ন করছেন, তেমনি এদেশের উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষাক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী অগ্রযাত্রার সূচনা করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান চিকিৎসক সমাজ কৃতজ্ঞতার সাথে চিরদিন স্মরণ করবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের বুকে একটা রোল মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে এবং উন্নত চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সংযুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই প্রত্যাশা আমাদের সবার।

রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতা এবং সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাব, ইনশাল্লাহ।


আরও খবর



এবার কুষ্টিয়ায় ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

বান্দারবানে একাধিক ব্যাংকে চুরি-ডাকাতির পর এবার কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি ব্যাংকে চুরির খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার আলাউদ্দিন নগরে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকের শাখা অফিসে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্যাংকের ভল্ড ভেঙে পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৮ টাকা চুরি হয়েছে। ব্যাংকের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে চোর।

বুধবার (৩ মার্চ) সকালে অফিস খোলার পর বিষয়টি নজরে আসে কর্মকর্তাদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

এজেন্ট ব্যাংক ইনচার্জ শামসুল আলমের দাবি, এ সময় পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৮টাকা, কম্পিউটার, সিসিটিভি, ডিভাইস সহ মালামাল চুরি হয়েছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, পুরো বিষয়টি প্রাথমিকভাবে আমার কাছে নাটকীয় এবং সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করেছে অস্ত্রধারীরা। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে প্রায় ২ কোটি টাকা লুট করে অস্ত্রধারীরা।


আরও খবর