আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
বায়ুদূষণে শীর্ষে চিয়াং মাই, ১৮০ স্কোর নিয়ে ঢাকা তৃতীয় মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন? সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু ‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

‘বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর ডালিমের ভায়রা ভাই মামুনুল হক’

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
পাকিস্তানে ৪০ দিন অবস্থান করেন মামুনুল হক। সেখান থেকে জঙ্গি ও উগ্রবাদী মতাদর্শ নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। মামুনুল হক হেফাজতকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে কওমি মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফয়দা নেয়ার

হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মেজর ডালিমের আপন ভায়রা ভাই।

রবিবার বিকালে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশীদ রিমান্ডে থাকা মামুনুল হকের বিষয়ে সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পাকিস্তানে ৪০ দিন অবস্থান করেন মামুনুল হক। সেখান থেকে জঙ্গি ও উগ্রবাদী মতাদর্শ নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। মামুনুল হক হেফাজতকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে কওমি মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফয়দা নেয়ার পায়তারা করছিল। রিমান্ডে শাপলা চত্বরে যাওয়া থেকে শুরু করে অনেক কথার বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।

ডিসি হারুন বলেন, ভগ্নিপতি নেয়ামত উল্লাহর মাধ্যমে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয় মামুনুলের। পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী, গ্রেনেড হামলার আসামি এবং জামায়াতের শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কওমি মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে সরকার উৎখাতের ছক এঁকেছিল হেফাজত নেতা মামুনুল হক।

এর আগে ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।গ্রেফতারের পরের দিন মামুনুলকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।


আরও খবর



চট্টগ্রামে চিনিকলের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় চিনিকলের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি। কারখানার গুদামে আগুন আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জ্বলতে দেখা গেছে। তবে আগুন গুদাম থেকে ছড়ায়নি।

গতকাল সোমবার বিকেল চারটার দিকে এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির কারখানার গুদামে আগুন লাগে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে আজ সকাল পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নেভেনি বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করেছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। এরপর পর্যায়ক্রমে নৌবাহিনী এবং সেনাবাহিনীও যোগ দেয় আগুন নেভানোর কাজে। আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ ঘটনায় সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান কর্ণফুলী নদীর পাড়ের ইছানগর এলাকায়। আগুন লাগার সময় কারখানাটি চালু ছিল। সেখানে প্রায় সাড়ে ৫০০ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। আগুন লাগার পর কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কারখানা সূত্রে জানা যায়, সেখানে মোট ৫টি গুদাম রয়েছে। প্রতিটি গুদামের ধারণ ক্ষমতা ৬০ হাজার মেট্রিক টন।

এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপ মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, গুদামে প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি ছিল।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক গতকাল বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। পরে যোগ দেয় নৌবাহিনীর একটি দলও। রাত নয়টার দিকে যুক্ত সেনাবাহিনীর একটি দলও।

ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে কর্ণফুলী নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে সরাসরি পানি ছিটাচ্ছে।

সরেজমিনে এবং কারখানা সূত্র জানায়, সুগার মিলের পাশে একটি গুদামে প্রথমে আগুন লাগে। চিনি পুড়ে পুরো এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরেছে।

এর আগে গত শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় এস আলম গ্রুপের আরেকটি নির্মাণাধীন গুদামে আগুন লেগেছিল। তবে এতে কোনো হতাহত হয়নি। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।


আরও খবর



মস্কোর কনসার্টে হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কাছে একটি কনসার্ট হলে সন্ত্রাসী হামলায় ১৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএসকে)। এবার তাদের ছবি প্রকাশ করেছে জঙ্গি সংগঠনটি।

শনিবার হামলাকারীদের চার সদস্যের ছবি প্রকাশ করেছে তারা। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ছবি প্রকাশ করে আইএস বলেছে, কনসার্ট হলে হামলা চালিয়েছে এই চারজন।

ছবিটি ইসলামিক স্টেট সংশ্লিষ্ট সংবাদ সংস্থা আমাক-এর টেলিগ্রাম চ্যানেলে শেয়ার করা হয়েছে। আমাক এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত দেশগুলোর সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের তুমুল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই হামলা করা হয়েছে।

এদিকে ইসলামিক স্টেট হামলার দায় স্বীকার করলেও এর সঙ্গে ইউক্রেনের যোগসূত্র খুঁজছে রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, হামলাকারী চার ব্যক্তি ইউক্রেনের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল। তারা সীমান্ত অতিক্রম করার আশা করছিল।

পুতিন এই হামলাকারীদের শত্রু এবং তাদের কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, যেসব রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করতে চায়, সেই রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কাজ করতে রাশিয়া প্রস্তুত।

রুশ ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) বরাত দিয়ে রবিবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, এই হামলায় চার সন্দেহভাজন বন্দুকধারীসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের ইউক্রেনে যোগাযোগ ছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের মস্কোতে স্থানান্তর করা হচ্ছে।

তবে ইউক্রেন এই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

এর আগে, শুক্রবার রাতে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। তখন সেখানে একটি কনসার্ট চলছিল। বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক।


আরও খবর



দেশব্যাপী ইন্টারনেটের ধীর গতি থাকবে আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আংশিকভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আজ (০২ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা আংশিক ব্যাহত হবে।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে, বাংলাদেশকে কক্সবাজার থেকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সংযুক্তকারী সাবমেরিন কমিউনিকেশন ক্যাবল সিস্টেম সি-মি-উই-৪ সিঙ্গাপুর অংশের সার্কিট এসময়ের মধ্যে আংশিকভাবে বন্ধ থাকবে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের সময়কালে বিএসসিপিএলসির ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক মন্থরতা বা বাধার সম্মুখীন হতে পারে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজের সময় গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে কুয়াকাটায় স্থাপিত দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৫ চালু থাকবে।

দেশে বর্তমানে মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার জিবিপিএসে। এর অর্ধেকেরও বেশিপ্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএসআসে আন্তর্জাতিক টেরিস্ট্রিয়াল কেবল লাইসেন্সধারীদের মাধ্যমে। বাকি প্রায় ২ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি।

২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হয়। এর মাধ্যমে প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। ২০১৭ সালে সি-মি-উই-৫ চালুর পর থেকে এর মাধ্যমে আরও ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়।

বিএসসিপিএলসি ২০২৫ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৬ স্থাপনের মাধ্যমে আরও ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা প্রায় ছয় গুণ বাড়িয়ে ৪ হাজার ৬০০ জিবিপিএসে উন্নীত করতে তিন দশমিক দুই মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে যাচ্ছে।

দেশের প্রথম বেসরকারি সাবমেরিন কেবল স্থাপনের জন্য কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে সামিট কমিউনিকেশনস, সিডিনেট কমিউনিকেশনস এবং মেটাকোর সাবকম লিমিটেড। ২০২৫ সালের মধ্যে এই কনসোর্টিয়াম ৪৫ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে।


আরও খবর



ডেমরায় আগুন লাগা ভবন যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ডেমরায় কাপড়ের গুদামে আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার পর ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, চারতলা ভবনের পুরোটাতেই খেলাধুলার সামগ্রী রয়েছে। ভবনটিতে স্টোরেজ (গুদাম) নীতিমালা মানা হয়নি। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের চেষ্টায় আগুন আর নতুন করে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই ভবনে পানির রিজার্ভ ট্যাংক নেই, সিঁড়িও বেশ সংকীর্ণ। আশপাশে পানি না থাকায় ড্রেনের পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। ঢাকা ওয়াসাও পানি দিচ্ছে। ভবনটির পূর্ব ও পশ্চিম দুপাশে লাগোয়া আরও ভবন থাকায় ভেতরে ঢুকতেও সমস্যা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কোনো ব্যর্থতা নেই। এ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনের কাঠামোগত শক্তি কমে গেছে। কয়েক জায়গায় ছাদ ফেটে গেছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।

রেজাউল করিম বলেন, পানির সোর্স না থাকায় সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগতে পারে। পুরো ভবনে দাহ্য পদার্থ আছে, খেলাধুলার সামগ্রী বেশি। প্লাস্টিকের পরিমাণও অনেক। সব ফ্লোরেই আগুন আছে।

তবে এখন পর্যন্ত ভবন বা গুদামের মালিকপক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মালিকদের খোঁজার চেষ্টা করছি।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৫মিনিটের দিকে ভবনের তিনতলায় গোডাউনে আগুন লাগে। চারতলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে আরও পাঁচটি ইউনিটসহ মোট ১০ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়। প্রাথমিকভাবে আগুনের ঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



অবশেষে অভিশ্রুতির পরিচয় শনাক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবশেষে সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে তার ডিএনএ। রবিবার (১০ মার্চ) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) ফরেনসিক বিভাগের ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যান বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার মৃতদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।

মৃত্যুর পর রমনা মন্দিরের পুরোহিত বৃষ্টিকে সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন নিজের সন্তান বলে দাবি করেন। এরপর মৃতদেহ শনাক্ত করতে নেওয়া হয় ডিএনএ নমুনা। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর বৃষ্টির ডিএনএ’র সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে।

বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের পশ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন।

ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির পরিবারের সদস্যরা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন। শনিবার তাদের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। বৃষ্টির পরিবারের সঙ্গে ডিএনএ মিলেছে। ডিএনএ শনাক্তের পর তদন্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা তারাই নেবেন।

এ বিষয়ে বৃষ্টির বাবা শাবলুল আলম সবুজ ও নাজমুলের মামা আনোয়ার হোসেন জানান, মৃতদেহ নেওয়ার জন্য এখনো তাদের কিছু জানানো হয়নি। তারা অপেক্ষায় আছেন।


আরও খবর