আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক লাভের ৫০তম বছর আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আজ ২৩ মে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির পঞ্চাশতম বছর । ১৯৭৩ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদক তুলে দেওয়া হয়।

১৯৭১ সালে এই অবিসংবাদিত নেতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এর মাত্র দুবছর পরে বিশ্বশান্তি পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদকে আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে। বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বিশ্বের ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্যের উপস্থিতিতে ও ঐক্যমতের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন, আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদক প্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। আর পরের বছর ২৩ মে, এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বানাচ্ছে এরদোয়ান সরকার

সেই অনুষ্ঠানে রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার সেটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ।

বঙ্গবন্ধু এই পদকপ্রাপ্তির আগে কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো, ভিয়েতনামের সংগ্রামী নেতা হো চি মিন, চিলির গণ-আন্দোলনের নেতা সালভেদর আলেন্দে, ফিলিস্তিনের জনদরদি নেতা ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ এই পদকপ্রাপ্ত হন। মূলত সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা এবং মানবতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তারা এই পদকে ভূষিত হয়ে আসছিলেন । ১৯৫০ সাল থেকে এই পদক প্রদান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের কালপর্বে ভারত-সোভিয়েত শান্তি মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি ১৯৭১ এবং বাংলাদেশ-ভারত শান্তি, মৈত্রী ও সহযোগিতা-চুক্তি ১৯৭২, বাংলাদেশের মৈত্রী-সম্পর্কে এই উপমহাদেশে উত্তেজনা প্রশমন ও শান্তি স্থাপনের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু।

এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সরকারের জোট নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ এবং শান্তি ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান গ্রহণের নীতির ফলে বাংলাদেশ বিশ্ব সভায় একটি ন্যায়ানুগ দেশের মর্যাদা লাভ করে। সবার প্রতি বন্ধুত্বের ভিত্তিতে বৈদেশিক নীতি ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, পৃথিবীর বৃহত্তম শক্তি যে অর্থ ব্যয় করে মানুষ মারার অস্ত্র তৈরি করছে, সেই অর্থ গরিব দেশগুলোকে সাহায্য দিলে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্ব শান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

বাংলায় এই পদকের নাম জুলিও কুরি বলা হলেও এর ফরাসি উচ্চারণ জোলিও ক্যুরি। ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী জ্যঁ ফ্রেডেরিক জোলিও ক্যুরি ১৯৫৮ সালে মৃত্যুবরণ করার পর, তারই নামানুসারে বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৫৯ সাল থেকে তাদের শান্তি পদকের নাম রাখে জোলিও ক্যুরি। ফ্রেডেরিকের মূল নাম ছিল জ্যঁ ফ্রেডেরিক জোলিও। ফ্রেডেরিকের স্ত্রী ইরেন ক্যুরি। তিনিও বিজ্ঞানী। বিয়ের পর ফ্রেডেরিক ও ইরেন উভয়ে উভয়ের পদবি গ্রহণ করেন এবং একজনের নাম হয় জ্যঁ ফ্রেডেরিক জোলিও ক্যুরি এবং অন্যজনের নাম ইরেন জোলিও ক্যুরি। পরে যৌথভাবে তারা নোবেল পুরস্কারও লাভ করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রেডেরিক জোলিও ক্যুরি শুধু বিজ্ঞানী হিসেবেই কাজ করেননি, তিনি গেরিলা বাহিনীতে যোগ দিয়ে এবং তাদের জন্য হাতিয়ার তৈরি করেও অবদান রাখেন। তার অবদানের কারণেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি সহজতর হয়। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এই যুদ্ধ পরিসমাপ্তি ছিল খুবই জরুরি। তিনি নিজে বিশ্বশান্তি পরিষদের সভাপতিও ছিলেন।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার দেবে ইউনেস্কো

বিশ্বশান্তি ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের মূলনীতি। ১৯৫৬ সালের ৫৯ এপ্রিল স্টকহোমে বিশ্বশান্তি পরিষদের সম্মেলনেও অংশ নেন বঙ্গবন্ধু। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বশান্তি আমার জীবনের মূলনীতি। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ, যে কোনো স্থানেই হোক না কেন, তাঁদের সঙ্গে আমি রয়েছি। আমরা চাই বিশ্বের সর্বত্র শান্তি বজায় থাকুক, তাকে সুসংহত করা হোক।

ছাত্রাবস্থা থেকেই বিশ্বশান্তিতে বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে তিনি দীর্ঘদিন কারাভোগ করে মুক্তি পেয়ে সে বছরই অক্টোবরে চীনে অনুষ্ঠিত পিস কনফারেন্স অব দ্য এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক রিজিওন্স-এ যোগ দেন বঙ্গবন্ধু। এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি প্রাসঙ্গিকভাবে অন্য ৩৭টি দেশ থেকে আগত শান্তিকামী নেতাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছিলেন।

বিশিষ্ট জনেরা মনে করেন, ১৯৭১ সালে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধ শুধু স্বাধীনতা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের লড়াই ছিল না। এ লড়াই ছিল দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের আন্তর্জাতিক মোড়ল যুদ্ধবাজ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে শান্তিকামী মানুষের লড়াই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সেই শান্তির লড়াইয়ের প্রধান নেতা। ফলে, বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ২৩ মে অত্যন্ত ন্যায্য কারণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব শান্তি এবং স্বাধীনতার লড়াইয়ে অবদান রাখার জন্য জুলিও কুরি শান্তি পদকের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত করে।

বঙ্গবন্ধুর এই জুলিও কুরি শান্তি পদকপ্রাপ্তি তাই গোটা বাঙালি জাতির জন্যও বিশ্ব দরবারে এক বিরাট সম্মানের বিষয়।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




নোয়াখালীতে এমপি কিরনের বিরুদ্ধে মন্দির কমিটির মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিউর আখড়া (চৌমুহনী দেবালয়) পরিচালনা কমিটির অনুমোদন দেয়ায় নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেগমগঞ্জ সিনিয়র জজ আদালতে মন্দিরের পক্ষে তপন চন্দ্র মজুমদার ও গণেশ চন্দ্র কুরী এ মামলা করেন। পরে মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দফায় মামলার শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য রেখেছেন বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবী মজিবুল হায়দার চৌধুরী।

মামলার বাদী তপন চন্দ্র মজুমদার জানান, চৌমুহনী শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিউর আখড়া তথা চৌমুহনী দেবালয় এর নিজস্ব গঠনতন্ত্র রয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যুগ যুগ ধরে মন্দির পরিচালায় কমিটি হয়েছে। হিন্দু কমিউনিটির লোকজন মূলত এ কমিটি নির্বাচন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় মন্দির পরিচালনায় ২০২২ সালের ১৪ মে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট মন্দির পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ৪ বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১৪ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করার কথা। সে অনুযায়ী প্রায় দুই বছরের কাছাকাছি মন্দির পরিচালনাও করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে মন্দিরের গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন নতুন করে কমিটি গঠনের জন্য ১৪ মার্চ স্বাক্ষরিত তার নিজস্ব প্যাডে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে দায়িত্ব দেয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই ৫জন মাত্র এক দিনের মাথায় ১৫ মার্চ একটি ৫১জন বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে তা এমপি মামুনুর রশিদ কিরনের সামনে উপস্থাপন করলে তিনি ১৬ মার্চ নিজে স্বাক্ষর দিয়ে ওই কমিটির অনুমোদন দেন। যা মন্দিরের গঠনতন্ত্রের বহির্ভূত।

মামলার অপর বাদী গণেশ চন্দ্র কুরী বলেন, সংসদ সদস্য মন্দির কমিটি গঠন বা গঠনের লক্ষ্যে তার নিজ প্যাডে স্বাক্ষর দিয়ে কাউকে কোনো দায়িত্ব দিতে পারেন না। শতবর্ষী এ মন্দিরে এর আগে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মন্দির কমিটি নিয়ে তা হিন্দু কমিউনিটির জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়। এতে করে মারামারির অবস্থাও তৈরি হতে পারে। যার কারণে বাধ্য হয়ে তারা আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন।

হিন্দু ধর্মালম্বী একাধিক ব্যক্তি জানান, মন্দির পরিচালনা কমিটির কয়েকজন নেতা সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় নির্বাচনে মামুনুর রশিদ কিরনের প্রতিপক্ষ ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদের পক্ষে নির্বাচন করায় ক্ষোভ থেকে তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।


আরও খবর



তাইওয়ানে ভূমিকম্প: ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে হুয়ালিয়েন শহরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দ্বীপজুড়ে অন্তত ১০০ ভবন ধসে গেছে এবং এসব ভবনের ধ্বংস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন অন্তত ৭৭ জন মানুষ।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ৭ টা ৫৮ মিনিটে ঘটে এই ভূমিকম্প। তাইওয়ানের পাশাপাশি চীন, ফিলিপাইন ও জাপানেও অনুভূত হয়েছে কম্পণ। তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বিশাল মাত্রার এই ভূমিকম্পের জেরে সুনামির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তাইওয়ান ও তার প্রতিবেশী এই তিন দেশে। এ সময় সময় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার (৯ ফুট) ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মার্কিন ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র বা এপিসেন্টার এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পণটির উৎপত্তিস্থল। ৭ টা ৫৮ থেকে পরবর্তী কয়েক মিনিটে অন্তত ৯ দফা কম্পণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।

স্বায়ত্বশাসিত এই দ্বীপভূখণ্ডের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাইওয়ানজুড়ে অন্তত ১০০ ভবন ধসে পড়েছে ভূমিকম্পে। এই ১০০ ভবনের অর্ধেকই হুয়ালিয়েন শহরের। দুর্যোগ কেটে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা।

তাইওয়ানের ভূকম্পণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা তাইপে সিসমোলজি সেন্টারের পরিচালক উ শিয়েন ফু বিবিসিকে বলেছেন, গত ২৫ বছরে তাইওয়ানে যত ভূমিকম্প ঘটেছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।

এর আগে ১৯৯৯ সারের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল তাইওয়ানে। সেই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, সেই সঙ্গে ধ্বংস হয়েছিল অন্তত ৫ হাজার ভবন।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের একপেশে ভূমিকার জন্য এর আগেও জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। বিদ্যমান পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। বিএনপি ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া এবং নির্বাচনী প্রচারে হামলা এবং শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেওয়া হয়। অনেককেই মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।

এর আগে সোমবার দুপুরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে একই মনোভাবেব কথা জানিয়েছিলেন রুহুল কবির রিজভী। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিএনপির আগের সিদ্ধান্ত (অংশগ্রহণ না করা) বহাল আছে। সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটা আমরা আগেই পরিষ্কার করেছি। সবকিছু আমরা বলেছি। ওই সিদ্ধান্তটাই এখনো বহাল আছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগেই সিদ্ধান্ত বহাল আছে। ওটা তো নাকচ হয়নি। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ইরানি কনস্যুলেটে হামলা, কমান্ডারসহ নিহত ৭

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের এক কমান্ডারসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (০১ এপ্রিল) সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের মাজেহতে অবস্থিত কনস্যুলেট ভবনের এনেক্স ভবনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানার বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

লেবানের একটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছেন, এই হামলায় বিপ্লবী গার্ডের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহিদী নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলিদের চালানো হামলায় ইরানি কনস্যুলেটের সেই ভবনটি পুরোপুরি ধসে গেছে। হামলার পরপর ভবনটি থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখা যায়।

তবে হামলার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি দখলদার ইসরায়েল।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের কনস্যলেট ভবনটি পুরোপুরি ধসে গেছে এবং ভবনের ভেতর যারা ছিলেন তাদের সবাই আহত অথবা নিহত হয়েছেন।

তবে ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ায় নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত হোসেন আকবারি এবং তার পরিবারের কোনও সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হননি। কনস্যুলেটের যে ভবনটিতে হামলা হয়েছে তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

যদিও হামলার পর সিরিয়ার বার্তাসংস্থা সানা নিউজ জানিয়েছিল, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও একটি ক্ষেপণাস্ত্র কনস্যুলেটের এনেক্স ভবনে আঘাত হানতে সমর্থ হয়।

গত সপ্তাহে সিরিয়ায় আরেকটি বড় হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। ওই হামলায় ৫৩ জন নিহত হন। যার মধ্যে ৩৮ সিরীয় সেনা এবং হিজবুল্লাহর ৭ যোদ্ধা ছিলেন।


আরও খবর



ভালো আছেন খালেদা জিয়া, চিকিৎসা নিচ্ছেন বাসায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা রোগে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। যাতে কোনো ধরনের জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সঙ্গে-সঙ্গে হাসপাতালে নেওয়া যায়।

গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) বিএনপি পক্ষে থেকে জানানো হয়, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে পরীক্ষা-নিরিক্ষীর জন্য রাতেই হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে। কিন্তু রাত ১২ দিকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়া দুপুরের দিকে অসুস্থতা বোধ করেন। এরপর চিকিৎসকরা তার বেশকিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করান। রাতে তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করায় হাসপাতাল না নিয়ে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হবে।

তবে, প্রয়োজন হলে যেকোনো সময় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন ডা. জাহিদ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ২টার পর বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ম্যাডাম এখন ভালো আছেন। তিনি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

খালেদা জিয়ার দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন ডা. জাহিদ।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪